alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বরন্দ্রে অঞ্চলে পানি সংকট

: শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

সুপেয় পানির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহীর আদিবাসীরা। ভুক্তভোগীরা বলছেন, তানোরের মাহালীপাড়ায় ভূঅভ্যন্তরের পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। সুপেয় পানির অভাবে তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত বৃহস্পতিবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির সংকট দীর্ঘ দিনের। ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে সেখানে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এরপরও সেখান থেকে যে পানি মেলে তাতে আয়রন ও আর্সেনিকের উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি।

পানির অভাবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে প্রান্তিক দরিদ্র মানুষদের। যাদের বড় একটি অংশই আদিবাসী। তাদেরকে সুপেয় পানি সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। এরপরও কোনো কোনো দিন পানি মেলে না। পানি সংগ্রহের ভোগান্তি পোহাতে হয় নারী ও শিশুদের।

পানি সংকট দূর করতে বরেন্দ্র অঞ্চলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে স্থানীয়দের চাহিদা মিটছে না। আবার অনেক প্রকল্প টেকসই হয়নি। এজন্য অনেকে অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুপেয় পানিসংকট ভবিষ্যতে বাড়বে বৈ কমবে না। কাজেই এ বিষয়ে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ দূর করা যাবে না। পানি সংকট দূর করতে টেকসই প্রকল্প নিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও অনেক করণীয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। এ কাজে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও সম্পৃক্ত করা জরুরি।

ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারেও সচেতন হওয়া জরুরি। বরেন্দ্র অঞ্চলে বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম হয়। তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলের বার্ষিক বৃষ্টিপাত ছিল গড়ে ১ হাজার ৪০০ মিলিমিটারের কম। আর এ সময়ে দেশে গড়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২ হাজার ৫৫০ মিলিমিটার। অর্থাৎ বরেন্দ্র অঞ্চলে ৪৫ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টি কম হওয়ায় কৃষিসহ নানান কাজে সেখানে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণেও সেখানে পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। নির্বিচারে পানি উত্তোলন বন্ধ করা না গেলে এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে না।

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বরন্দ্রে অঞ্চলে পানি সংকট

শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

সুপেয় পানির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহীর আদিবাসীরা। ভুক্তভোগীরা বলছেন, তানোরের মাহালীপাড়ায় ভূঅভ্যন্তরের পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। সুপেয় পানির অভাবে তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত বৃহস্পতিবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির সংকট দীর্ঘ দিনের। ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে সেখানে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এরপরও সেখান থেকে যে পানি মেলে তাতে আয়রন ও আর্সেনিকের উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি।

পানির অভাবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে প্রান্তিক দরিদ্র মানুষদের। যাদের বড় একটি অংশই আদিবাসী। তাদেরকে সুপেয় পানি সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। এরপরও কোনো কোনো দিন পানি মেলে না। পানি সংগ্রহের ভোগান্তি পোহাতে হয় নারী ও শিশুদের।

পানি সংকট দূর করতে বরেন্দ্র অঞ্চলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে স্থানীয়দের চাহিদা মিটছে না। আবার অনেক প্রকল্প টেকসই হয়নি। এজন্য অনেকে অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুপেয় পানিসংকট ভবিষ্যতে বাড়বে বৈ কমবে না। কাজেই এ বিষয়ে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ দূর করা যাবে না। পানি সংকট দূর করতে টেকসই প্রকল্প নিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও অনেক করণীয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। এ কাজে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও সম্পৃক্ত করা জরুরি।

ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারেও সচেতন হওয়া জরুরি। বরেন্দ্র অঞ্চলে বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম হয়। তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলের বার্ষিক বৃষ্টিপাত ছিল গড়ে ১ হাজার ৪০০ মিলিমিটারের কম। আর এ সময়ে দেশে গড়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২ হাজার ৫৫০ মিলিমিটার। অর্থাৎ বরেন্দ্র অঞ্চলে ৪৫ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টি কম হওয়ায় কৃষিসহ নানান কাজে সেখানে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণেও সেখানে পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। নির্বিচারে পানি উত্তোলন বন্ধ করা না গেলে এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে না।

back to top