alt

মতামত » সম্পাদকীয়

চরের শিশুদের শিক্ষার পথের বাধা দূর করুন

: রোববার, ১৯ মার্চ ২০২৩

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরবর্তী দুর্গম চরে নেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ। চর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত নয়। স্থানীয় বাসিন্দারা চরে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও রাস্তাঘাট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত শনিবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ওই চরে বসবাসরত প্রতিটি পরিবারেই শিশু রয়েছে। লেখাপড়া করার বয়স হলেও অভিভাবকরা তাদের বিদ্যালয়ে পাঠান না। এর কারণ হচ্ছে, চর থেকে বিদ্যালয় দূরে। যাতায়াত-যোগাযোগের অসুবিধার কারণে অভিভাবকরা সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠান না।

দেশে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ চরাঞ্চলে বসবাস করে। অনেক চরে শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু লক্ষ্মীপুরের চর রমনী মোহন ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরবর্তী চরে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। সেখানে বেসরকারি কোনো উদ্যোগও নেই। শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিতদের অনেকে শিশুশ্রমে যুক্ত হচ্ছে, বাল্যবিয়েরও শিকার হচ্ছে অনেকে। যে বয়সে তাদের কাঁধে স্কুলব্যাগ থাকার কথা, সে বয়সে তারা খেতে-খামারে কাজ করে।

দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠলেও চরবাসীর জীবনে কী তার প্রভাব পড়েছে- এটা একটা প্রশ্ন। দেশে এমন অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে প্রয়োজনের তুলনায় বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেশি। কোনো কোনো এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক প্রভাবে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার কথা জানা যায়।

চরের বড় সমস্যা হলো বন্যা ও নদীভাঙন। ফলে চরের মানুষের দারিদ্র্য মূল ভূখন্ডের মানুষের চেয়ে অনেক বেশি। যে কারণে শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেখানকার শিশুরা। শিক্ষা প্রতিটি শিশুর জন্মগত অধিকার। সরকারিভাবে শিক্ষার সবরকম সুযোগ চরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সেখানকার একজন শিশুও যেন শিক্ষাবঞ্চিত না থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

উক্ত চরের শিশুরা যেন সহজেই নিকটবর্তী বিদ্যালয়ে যেতে পারে সেজন্য যাতায়াত-যোগাযোগের সুব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে কোনো বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যায় কিনা সেটাও ভেবে দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে আসবে সেটা আমাদের আশা। চরের অভিভাবকদের শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। তারা যেন সন্তানদের শিক্ষা গ্রহণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখেন সেটা নিশ্চত করা দরকার।

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

চরের শিশুদের শিক্ষার পথের বাধা দূর করুন

রোববার, ১৯ মার্চ ২০২৩

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরবর্তী দুর্গম চরে নেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ। চর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত নয়। স্থানীয় বাসিন্দারা চরে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও রাস্তাঘাট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত শনিবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ওই চরে বসবাসরত প্রতিটি পরিবারেই শিশু রয়েছে। লেখাপড়া করার বয়স হলেও অভিভাবকরা তাদের বিদ্যালয়ে পাঠান না। এর কারণ হচ্ছে, চর থেকে বিদ্যালয় দূরে। যাতায়াত-যোগাযোগের অসুবিধার কারণে অভিভাবকরা সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠান না।

দেশে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ চরাঞ্চলে বসবাস করে। অনেক চরে শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু লক্ষ্মীপুরের চর রমনী মোহন ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরবর্তী চরে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। সেখানে বেসরকারি কোনো উদ্যোগও নেই। শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিতদের অনেকে শিশুশ্রমে যুক্ত হচ্ছে, বাল্যবিয়েরও শিকার হচ্ছে অনেকে। যে বয়সে তাদের কাঁধে স্কুলব্যাগ থাকার কথা, সে বয়সে তারা খেতে-খামারে কাজ করে।

দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠলেও চরবাসীর জীবনে কী তার প্রভাব পড়েছে- এটা একটা প্রশ্ন। দেশে এমন অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে প্রয়োজনের তুলনায় বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেশি। কোনো কোনো এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক প্রভাবে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার কথা জানা যায়।

চরের বড় সমস্যা হলো বন্যা ও নদীভাঙন। ফলে চরের মানুষের দারিদ্র্য মূল ভূখন্ডের মানুষের চেয়ে অনেক বেশি। যে কারণে শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেখানকার শিশুরা। শিক্ষা প্রতিটি শিশুর জন্মগত অধিকার। সরকারিভাবে শিক্ষার সবরকম সুযোগ চরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সেখানকার একজন শিশুও যেন শিক্ষাবঞ্চিত না থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

উক্ত চরের শিশুরা যেন সহজেই নিকটবর্তী বিদ্যালয়ে যেতে পারে সেজন্য যাতায়াত-যোগাযোগের সুব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে কোনো বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যায় কিনা সেটাও ভেবে দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে আসবে সেটা আমাদের আশা। চরের অভিভাবকদের শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। তারা যেন সন্তানদের শিক্ষা গ্রহণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখেন সেটা নিশ্চত করা দরকার।

back to top