ব্রয়লার মুরগির দাম প্রসঙ্গে

ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকার বেশি হওয়ার কোন যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। খামারি ও করপোরেট পর্যায়ের খরচ বিবেচনায় যে মুরগির দর সর্বোচ্চ দুইশ টাকা কেজি হতে পারে বাজারে সেটা বিক্রি হচ্ছে প্রায় তিনশ টাকায়।

শুধু যে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে তা নয়। সোনালি, লেয়ার এবং দেশি মুরগির দামও ঊর্ধ্বমুখী। অন্যান্য নিতপণ্যের দামও চড়া। তবে এবারের রোজায় মুরগির দরই সাধারণ মানুষকে ভাবাচ্ছে বেশি। কারণ অল্প আয়ের মানুষের প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর সহজ উৎস ছিল ব্রয়লার মুরগি। সেটাও তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অনেকেই মুরগি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন, কেউ কেউ কম খাচ্ছেন। এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

মুরগির দর নীতি-নির্ধারকদেরও ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে কেউ কেউ মুরগি আমদানি করার কথা বলছেন।

প্রশ্ন হচ্ছে, ব্রয়লার মুরগির দাম তরতর করে বাড়ছে কেন। ব্যবসায়ী নেতারও এই প্রশ্ন তুলেছেন যে, ‘এক মাসের ব্যবধানে এর দাম কেজিতে একশ টাকা বাড়ে কিভাবে।’ আমরাও এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই।

জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর যে হিসাব দিচ্ছে তা থেকে জানা যাচ্ছে যে, মুরগির খাবারসহ আনুষাঙ্গিক জিনিসের ব্যয় বাড়া সত্ত্বেও করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদনে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা খরচ হয়। এক্ষত্রে প্রান্তিক খামারিদের খরচ হয় ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে বিভিন্ন স্তরে আর যেসব খরচ হয় তাতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হতে পারে বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর।

পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অভিযোগ করে বলেছেন যে, ‘মুরগির বাজারে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সিন্ডিকেট করেছে। তারাই মুরগি, ডিম, বাচ্চা ও খাবারের দাম নির্ধারণ করে।’

ব্রয়লার মুরগির মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে উৎপাদনকারী সংশ্লিষ্ট চার প্রতিষ্ঠানকে তলব করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তারা সেখানে বলেছে, রোজায় তারা প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। এখন তারা এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

‘সম্পাদকীয়’ : আরও খবর

» সেচযন্ত্র চুরি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

» শীতজনিত রোগ: চাই সমন্বিত পদক্ষেপ

» সারের কৃত্রিম সংকট: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

» প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

» দুস্থ নারীদের অধিকার নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্য কাম্য নয়

» দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

» চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

» এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

» অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

» পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

» মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

» জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

সম্প্রতি