alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ব্রয়লার মুরগির দাম প্রসঙ্গে

: শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকার বেশি হওয়ার কোন যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। খামারি ও করপোরেট পর্যায়ের খরচ বিবেচনায় যে মুরগির দর সর্বোচ্চ দুইশ টাকা কেজি হতে পারে বাজারে সেটা বিক্রি হচ্ছে প্রায় তিনশ টাকায়।

শুধু যে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে তা নয়। সোনালি, লেয়ার এবং দেশি মুরগির দামও ঊর্ধ্বমুখী। অন্যান্য নিতপণ্যের দামও চড়া। তবে এবারের রোজায় মুরগির দরই সাধারণ মানুষকে ভাবাচ্ছে বেশি। কারণ অল্প আয়ের মানুষের প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর সহজ উৎস ছিল ব্রয়লার মুরগি। সেটাও তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অনেকেই মুরগি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন, কেউ কেউ কম খাচ্ছেন। এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

মুরগির দর নীতি-নির্ধারকদেরও ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে কেউ কেউ মুরগি আমদানি করার কথা বলছেন।

প্রশ্ন হচ্ছে, ব্রয়লার মুরগির দাম তরতর করে বাড়ছে কেন। ব্যবসায়ী নেতারও এই প্রশ্ন তুলেছেন যে, ‘এক মাসের ব্যবধানে এর দাম কেজিতে একশ টাকা বাড়ে কিভাবে।’ আমরাও এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই।

জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর যে হিসাব দিচ্ছে তা থেকে জানা যাচ্ছে যে, মুরগির খাবারসহ আনুষাঙ্গিক জিনিসের ব্যয় বাড়া সত্ত্বেও করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদনে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা খরচ হয়। এক্ষত্রে প্রান্তিক খামারিদের খরচ হয় ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে বিভিন্ন স্তরে আর যেসব খরচ হয় তাতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হতে পারে বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর।

পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অভিযোগ করে বলেছেন যে, ‘মুরগির বাজারে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সিন্ডিকেট করেছে। তারাই মুরগি, ডিম, বাচ্চা ও খাবারের দাম নির্ধারণ করে।’

ব্রয়লার মুরগির মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে উৎপাদনকারী সংশ্লিষ্ট চার প্রতিষ্ঠানকে তলব করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তারা সেখানে বলেছে, রোজায় তারা প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। এখন তারা এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ব্রয়লার মুরগির দাম প্রসঙ্গে

শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকার বেশি হওয়ার কোন যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। খামারি ও করপোরেট পর্যায়ের খরচ বিবেচনায় যে মুরগির দর সর্বোচ্চ দুইশ টাকা কেজি হতে পারে বাজারে সেটা বিক্রি হচ্ছে প্রায় তিনশ টাকায়।

শুধু যে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে তা নয়। সোনালি, লেয়ার এবং দেশি মুরগির দামও ঊর্ধ্বমুখী। অন্যান্য নিতপণ্যের দামও চড়া। তবে এবারের রোজায় মুরগির দরই সাধারণ মানুষকে ভাবাচ্ছে বেশি। কারণ অল্প আয়ের মানুষের প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর সহজ উৎস ছিল ব্রয়লার মুরগি। সেটাও তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অনেকেই মুরগি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন, কেউ কেউ কম খাচ্ছেন। এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

মুরগির দর নীতি-নির্ধারকদেরও ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে কেউ কেউ মুরগি আমদানি করার কথা বলছেন।

প্রশ্ন হচ্ছে, ব্রয়লার মুরগির দাম তরতর করে বাড়ছে কেন। ব্যবসায়ী নেতারও এই প্রশ্ন তুলেছেন যে, ‘এক মাসের ব্যবধানে এর দাম কেজিতে একশ টাকা বাড়ে কিভাবে।’ আমরাও এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই।

জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর যে হিসাব দিচ্ছে তা থেকে জানা যাচ্ছে যে, মুরগির খাবারসহ আনুষাঙ্গিক জিনিসের ব্যয় বাড়া সত্ত্বেও করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদনে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা খরচ হয়। এক্ষত্রে প্রান্তিক খামারিদের খরচ হয় ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে বিভিন্ন স্তরে আর যেসব খরচ হয় তাতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হতে পারে বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর।

পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অভিযোগ করে বলেছেন যে, ‘মুরগির বাজারে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সিন্ডিকেট করেছে। তারাই মুরগি, ডিম, বাচ্চা ও খাবারের দাম নির্ধারণ করে।’

ব্রয়লার মুরগির মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে উৎপাদনকারী সংশ্লিষ্ট চার প্রতিষ্ঠানকে তলব করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তারা সেখানে বলেছে, রোজায় তারা প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। এখন তারা এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

back to top