alt

সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

: শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সড়কে ট্রাক-পিকআপের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন নির্মাণ শ্রমিক। ট্রাকটি ছিল দ্রুতগামী। ট্রাকের চালক চোখে ঘুম নিয়ে ট্রাক চালাচ্ছিলেন। একারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের স্বজনদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই। আর যারা আহত হয়েছেন, তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন-এই প্রত্যাশা করি।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত গতি। যদি উচ্চগতিতে যানবাহন চলাচল কমানো যেত তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যেত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। সড়কের নানান স্থঅনে গতিসীমা সংক্রান্ত নির্দেশনা থাকে, যেন চালকরা সেই গতিসীমা মেনে চলেন। গতিরোধকও থাকে যাতে করে চালকরা গতি কমাতে বাধ্য হন। সমস্যা হচ্ছে- সড়কে যানবাহন চলাচলে গতি নির্দেশনাল পরোয়া করেন না একশ্রেণীর চালক। ফলে যা হবার তা-ই হয়, দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষ হতাহত হয়।

একশ্রেণীর চালক শুধু যে গতিসীমার নির্দেশনা অমান্য করে তা না। তারা যেখানে সেখানে যানবাহন থামায়, চলন্ত বাসে যাত্রী উঠা-নামা করায়। বেশি বেশি যাত্রী উঠানো আর দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর প্রতিযোগিতায় ওভারটেকিং করে। পাশাপাশি আছে ওভারলোডিংয়ের বিষয়টি।

বেশিরভাগ চালকের মধ্যে নিয়ম-নীতি না মানার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তারা ধরেই নেন সড়কে নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলেও তাদের শাস্তি পেতে হবে না। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হলেও সেখানে শাস্তি কম থাকে।

সড়কের নিরাপত্তার জন্য ২০১৮ সালে সরকার আইন করেছে। সেই আইনে উল্লেখ করা হয়েছে সড়ক চলাচলে কোনো যানবাহন আইন ভঙ্গ করলে ৩ (তিন) মাসের কারাদ- বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে। আইন প্রয়োগে শৈথল্যের কারণে তা-ও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। আর একশ্রেণীর মালিক ও শ্রমিকের বিরোধিতার কারণে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটানো যাচ্ছে না।

সড়কে কেউ খেয়াল-খুশিমতো যানবাহন চালাবে- সেটা হতে পারে না। আইন মেনে গাড়ি চালাতে হবে। আইনের কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি চালকদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সড়কে ট্রাক-পিকআপের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন নির্মাণ শ্রমিক। ট্রাকটি ছিল দ্রুতগামী। ট্রাকের চালক চোখে ঘুম নিয়ে ট্রাক চালাচ্ছিলেন। একারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের স্বজনদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই। আর যারা আহত হয়েছেন, তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন-এই প্রত্যাশা করি।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত গতি। যদি উচ্চগতিতে যানবাহন চলাচল কমানো যেত তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যেত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। সড়কের নানান স্থঅনে গতিসীমা সংক্রান্ত নির্দেশনা থাকে, যেন চালকরা সেই গতিসীমা মেনে চলেন। গতিরোধকও থাকে যাতে করে চালকরা গতি কমাতে বাধ্য হন। সমস্যা হচ্ছে- সড়কে যানবাহন চলাচলে গতি নির্দেশনাল পরোয়া করেন না একশ্রেণীর চালক। ফলে যা হবার তা-ই হয়, দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষ হতাহত হয়।

একশ্রেণীর চালক শুধু যে গতিসীমার নির্দেশনা অমান্য করে তা না। তারা যেখানে সেখানে যানবাহন থামায়, চলন্ত বাসে যাত্রী উঠা-নামা করায়। বেশি বেশি যাত্রী উঠানো আর দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর প্রতিযোগিতায় ওভারটেকিং করে। পাশাপাশি আছে ওভারলোডিংয়ের বিষয়টি।

বেশিরভাগ চালকের মধ্যে নিয়ম-নীতি না মানার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তারা ধরেই নেন সড়কে নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলেও তাদের শাস্তি পেতে হবে না। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হলেও সেখানে শাস্তি কম থাকে।

সড়কের নিরাপত্তার জন্য ২০১৮ সালে সরকার আইন করেছে। সেই আইনে উল্লেখ করা হয়েছে সড়ক চলাচলে কোনো যানবাহন আইন ভঙ্গ করলে ৩ (তিন) মাসের কারাদ- বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে। আইন প্রয়োগে শৈথল্যের কারণে তা-ও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। আর একশ্রেণীর মালিক ও শ্রমিকের বিরোধিতার কারণে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটানো যাচ্ছে না।

সড়কে কেউ খেয়াল-খুশিমতো যানবাহন চালাবে- সেটা হতে পারে না। আইন মেনে গাড়ি চালাতে হবে। আইনের কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি চালকদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে।

back to top