alt

চিঠিপত্র

চিঠি : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : যাতায়াতে মিলবে স্বস্তি

: সোমবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

যানজটের নগরী ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ২ সেপ্টেম্বর এই উড়ালপথের একাংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। এতে কমবে যানজট, সাশ্রয় হবে মূল্যবান কর্মঘণ্টা। এই উড়ালপথ ব্যবহার করে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট প্রায় ১১ কিলোমিটার পথ যেতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট।

এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা নিতে যানবাহন কর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ টোল। যানজট এড়াতে উন্নত বিশ্বে পরীক্ষিত যোগাযোগব্যবস্থা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এ ধরনের সড়কে বিরামহীনভাবে গাড়ি দ্রুতগতিতে চলে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চলবে অন্তত ৮০ কিলোমিটার গতিতে। এ উন্নয়ন প্রকল্পের বাকি অংশের (তেজগাঁও-কুতুবখালী) জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছর পর্যন্ত।

প্রকল্পের পুরোটা চালু হলে দিনে অন্তত ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করবে নির্বিঘ্নে। ২৪ কিলোমিটার উড়ালপথে থাকবে না কোনো ট্রাফিক সিগন্যাল। এতে বদলে যাবে ঢাকার দৃশ্যপট। এ প্রকল্প পুরোটা চালু হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহন খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল ও পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় না ঢুকে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করবে। আবার উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলোও ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে। ফলে ঢাকা ও পাশের এলাকার যানজট কমবে। কমবে ভ্রমণের সময়, খরচ। সবই আশাপ্রদ বিষয়। তবে মনে রাখা চাই, রক্ষণাবেক্ষণে যেন ন্যূনতম অবহেলা না ঘটে।

রাজধানীর যানজট নিরসনে অনেকগুলো বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে মেট্রোরেলের মতো প্রকল্পের সুবিধা পেতে শুরু করেছেন নগরবাসী। আরেকটি মেগাপ্রকল্পের স্বাদ মিলল শনিবার থেকে। খুলে দেয়া হল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ (বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত)। আপাতত এ সড়কের বিমানবন্দরের দিক থেকে ওঠা গাড়ি নামবে ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড দিয়ে। আর ফার্মগেট প্রান্ত থেকে গাড়ি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে বিজয় সরণি ফ্লাইওভার দিয়ে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হচ্ছে বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পটি ঢাকা শহরের উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের সড়কপথের ধারণক্ষমতা বাড়াবে।

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

পরিচালক, এফবিসিসিআই

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : যাতায়াতে মিলবে স্বস্তি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

যানজটের নগরী ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ২ সেপ্টেম্বর এই উড়ালপথের একাংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। এতে কমবে যানজট, সাশ্রয় হবে মূল্যবান কর্মঘণ্টা। এই উড়ালপথ ব্যবহার করে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট প্রায় ১১ কিলোমিটার পথ যেতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট।

এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা নিতে যানবাহন কর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ টোল। যানজট এড়াতে উন্নত বিশ্বে পরীক্ষিত যোগাযোগব্যবস্থা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এ ধরনের সড়কে বিরামহীনভাবে গাড়ি দ্রুতগতিতে চলে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চলবে অন্তত ৮০ কিলোমিটার গতিতে। এ উন্নয়ন প্রকল্পের বাকি অংশের (তেজগাঁও-কুতুবখালী) জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছর পর্যন্ত।

প্রকল্পের পুরোটা চালু হলে দিনে অন্তত ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করবে নির্বিঘ্নে। ২৪ কিলোমিটার উড়ালপথে থাকবে না কোনো ট্রাফিক সিগন্যাল। এতে বদলে যাবে ঢাকার দৃশ্যপট। এ প্রকল্প পুরোটা চালু হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহন খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল ও পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় না ঢুকে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করবে। আবার উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলোও ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে। ফলে ঢাকা ও পাশের এলাকার যানজট কমবে। কমবে ভ্রমণের সময়, খরচ। সবই আশাপ্রদ বিষয়। তবে মনে রাখা চাই, রক্ষণাবেক্ষণে যেন ন্যূনতম অবহেলা না ঘটে।

রাজধানীর যানজট নিরসনে অনেকগুলো বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে মেট্রোরেলের মতো প্রকল্পের সুবিধা পেতে শুরু করেছেন নগরবাসী। আরেকটি মেগাপ্রকল্পের স্বাদ মিলল শনিবার থেকে। খুলে দেয়া হল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ (বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত)। আপাতত এ সড়কের বিমানবন্দরের দিক থেকে ওঠা গাড়ি নামবে ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড দিয়ে। আর ফার্মগেট প্রান্ত থেকে গাড়ি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে বিজয় সরণি ফ্লাইওভার দিয়ে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হচ্ছে বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পটি ঢাকা শহরের উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের সড়কপথের ধারণক্ষমতা বাড়াবে।

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

পরিচালক, এফবিসিসিআই

back to top