মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
টিসিবির লাইনে মধ্যবিত্তরাও! কী অবাক লাগছে? অবাক লাগারই কথা। বর্তমানে বাজারমূল্য নিয়ে সকলেই বিপদের সম্মুখীন। রাজধানীসহ সারাদেশে নিম্নআয়ের ব্যক্তিদের স্বল্পমূল্যে পণ্য সরবরাহে টিসিবির কার্যক্রম চললেও সেখানে বর্তমানে মধ্যবিত্তদেরও দেখা মিলছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন নাভিস্বাস উঠেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের, তখন টিসিবি যেনো তাদের কাছে সোনার হরিণ। ঢাকা শহরের বেশকিছু জায়গায় প্রতিনিয়ত পণ্য সরবরাহ করে থাকে সরকারি এই প্রতিষ্ঠান। দেশের জেলা উপজেলা পর্যায়েও টিসিবির কার্যক্রম লক্ষণীয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা স্বল্প মুল্যে পণ্য কিনতে টিসিবির দীর্ঘ সারিতে সামিল হচ্ছে। টিসিবি থেকে একজন ব্যক্তি ১০০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার ভোজ্যতেল, ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল ও ৪০ টাকা কেজি দরে তিন কেজি আলু কিনতে পারে। বাজারে থেকে এসব পণ্য প্রায় দ্বিগুণ দামে কিনতে হয়। টিসিবির প্রতিটি ট্রাকে ৩৫০ জনের জন্য পণ্য থাকে। ফলে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়ানোর পরও অনেক ব্যক্তি তার পণ্য সংগ্রহে ব্যর্থ হয়। অনেক সময় সারিতে দাঁড়ানো নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়।
সরকারের উচিত পণ্য কিনে তা মজুত করা এবং তা প্রতিনিয়ত সরবরাহ করা। যেনো বাজারে পণ্যের সংকট না দেখা দেয়। আবার সরকারের আয় বৃদ্ধি না পেলেও এদিকে যতটুকু মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন তা দিতে পারছে না। টিসিবির মাধ্যমে যে পণ্য দেওয়া হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উচিত বাজার মনিটরিং এর কার্যক্রম বৃদ্ধি করে নিয়মিত বাজার মনিটর করা।
নাফিজ-উর-রহমান
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
টিসিবির লাইনে মধ্যবিত্তরাও! কী অবাক লাগছে? অবাক লাগারই কথা। বর্তমানে বাজারমূল্য নিয়ে সকলেই বিপদের সম্মুখীন। রাজধানীসহ সারাদেশে নিম্নআয়ের ব্যক্তিদের স্বল্পমূল্যে পণ্য সরবরাহে টিসিবির কার্যক্রম চললেও সেখানে বর্তমানে মধ্যবিত্তদেরও দেখা মিলছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন নাভিস্বাস উঠেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের, তখন টিসিবি যেনো তাদের কাছে সোনার হরিণ। ঢাকা শহরের বেশকিছু জায়গায় প্রতিনিয়ত পণ্য সরবরাহ করে থাকে সরকারি এই প্রতিষ্ঠান। দেশের জেলা উপজেলা পর্যায়েও টিসিবির কার্যক্রম লক্ষণীয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা স্বল্প মুল্যে পণ্য কিনতে টিসিবির দীর্ঘ সারিতে সামিল হচ্ছে। টিসিবি থেকে একজন ব্যক্তি ১০০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার ভোজ্যতেল, ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল ও ৪০ টাকা কেজি দরে তিন কেজি আলু কিনতে পারে। বাজারে থেকে এসব পণ্য প্রায় দ্বিগুণ দামে কিনতে হয়। টিসিবির প্রতিটি ট্রাকে ৩৫০ জনের জন্য পণ্য থাকে। ফলে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়ানোর পরও অনেক ব্যক্তি তার পণ্য সংগ্রহে ব্যর্থ হয়। অনেক সময় সারিতে দাঁড়ানো নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়।
সরকারের উচিত পণ্য কিনে তা মজুত করা এবং তা প্রতিনিয়ত সরবরাহ করা। যেনো বাজারে পণ্যের সংকট না দেখা দেয়। আবার সরকারের আয় বৃদ্ধি না পেলেও এদিকে যতটুকু মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন তা দিতে পারছে না। টিসিবির মাধ্যমে যে পণ্য দেওয়া হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উচিত বাজার মনিটরিং এর কার্যক্রম বৃদ্ধি করে নিয়মিত বাজার মনিটর করা।
নাফিজ-উর-রহমান
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা