মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চিকিৎসা সেবার সংকটে নিমজ্জিত। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান এবং যন্ত্রপাতির অভাবে ভুগছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। জনসাধারণের জন্য একটি মৌলিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান হয়েও এখানে রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সাত বছর ধরে অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম বন্ধ থাকা স্বাস্থ্য খাতের অযোগ্য ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকলেও টেকনিশিয়ান এবং আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের অভাবে এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। এমনকি ২০১৯ সালে শল্যচিকিৎসার জন্য চারটি কক্ষ উদ্বোধন করা হলেও কর্মী ও যন্ত্রপাতির অভাবে এগুলোও অব্যবহৃত। একটি ৫০ শয্যার হাসপাতাল যেখানে ২৫টি পদের প্রয়োজন, সেখানে মাত্র ৮ জন কর্মরত, তাও চারজন ডেপুটেশনে। চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি এবং দায়িত্বহীনতার অভিযোগ এখানে রোগীদের আরও অসহায় করে তুলেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ সময়মতো অফিস করেন না এবং দায়িত্বের প্রতি উদাসীন। কেউ কেউ হাসপাতালের প্যাথলজিতে বসে ব্যক্তিগত রোগী দেখেন, যা সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি চরম উদাসীনতার পরিচায়ক। চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে এ ধরনের মনোভাব শুধু রোগীদের ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং সাধারণ মানুষের সরকারি সেবা ব্যবস্থার প্রতি আস্থাও নষ্ট করে।
পরীক্ষাগারের নোংরা পরিবেশ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে রোগীদের অধিকাংশ পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে যেতে হয়। মুমূর্ষু রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিশ্চিত না হওয়া এবং নবজাতকদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডের অভাব স্বাস্থ্যসেবার ন্যূনতম মান নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার প্রমাণ।
এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্য খাতের কাঠামোগত সংস্কার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। আমরা বলতে চাই, ঘিওর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং অনুপস্থিতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। অপারেশন থিয়েটারসহ অন্যান্য অব্যবহৃত সুযোগ-সুবিধা চালু করার জন্য দ্রুত টেকনিশিয়ান এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে হবে।
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চিকিৎসা সেবার সংকটে নিমজ্জিত। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান এবং যন্ত্রপাতির অভাবে ভুগছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। জনসাধারণের জন্য একটি মৌলিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান হয়েও এখানে রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সাত বছর ধরে অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম বন্ধ থাকা স্বাস্থ্য খাতের অযোগ্য ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকলেও টেকনিশিয়ান এবং আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের অভাবে এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। এমনকি ২০১৯ সালে শল্যচিকিৎসার জন্য চারটি কক্ষ উদ্বোধন করা হলেও কর্মী ও যন্ত্রপাতির অভাবে এগুলোও অব্যবহৃত। একটি ৫০ শয্যার হাসপাতাল যেখানে ২৫টি পদের প্রয়োজন, সেখানে মাত্র ৮ জন কর্মরত, তাও চারজন ডেপুটেশনে। চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি এবং দায়িত্বহীনতার অভিযোগ এখানে রোগীদের আরও অসহায় করে তুলেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ সময়মতো অফিস করেন না এবং দায়িত্বের প্রতি উদাসীন। কেউ কেউ হাসপাতালের প্যাথলজিতে বসে ব্যক্তিগত রোগী দেখেন, যা সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি চরম উদাসীনতার পরিচায়ক। চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে এ ধরনের মনোভাব শুধু রোগীদের ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং সাধারণ মানুষের সরকারি সেবা ব্যবস্থার প্রতি আস্থাও নষ্ট করে।
পরীক্ষাগারের নোংরা পরিবেশ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে রোগীদের অধিকাংশ পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে যেতে হয়। মুমূর্ষু রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিশ্চিত না হওয়া এবং নবজাতকদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডের অভাব স্বাস্থ্যসেবার ন্যূনতম মান নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার প্রমাণ।
এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্য খাতের কাঠামোগত সংস্কার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। আমরা বলতে চাই, ঘিওর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং অনুপস্থিতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। অপারেশন থিয়েটারসহ অন্যান্য অব্যবহৃত সুযোগ-সুবিধা চালু করার জন্য দ্রুত টেকনিশিয়ান এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে হবে।