প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আটকে রেখে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুমতি ছাড়া কিছু গোপন নথির ছবি তুলেছেন তিনি।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সচিবালয়ে পুলিশ পাঠানো হয় শাহবাগ থানা থেকে। পরে তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোজিনা ইসলামকে আটক করা হয়। রাত সাড়ে ৯ টায় সচিবালয় থেকে রোজিনা ইসলামকে পুলিশের গাড়িতে থানায় নেয়া হয়।
এ ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাত ১০টা পর্যন্ত থানায় লিখিতভাবে কোন এজাহার দায়ের করেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়।
গণমাধ্যম কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের একটি ফাইলের ছবি তোলেন রোজিনা ইসলাম। বিষয়টি জেনে স্বাস্থ্য মন্ত্রানলয়ের লোকজন রোজিনা ইসলামকে আটক করেন। এক পর্যায়ে তার মোবাইল নিয়ে নেন তারা। সেখানে মন্ত্রনালয়ে রোজিনা ইসলামকে বিকেল ৩ থেকে আটকে রাখা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ৫ ঘন্টা আটকে রাখার পর রোজিনা ইসলাম সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এক পর্যায়ে খবর পেয়ে সেখানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই ভবনে যান। তবে রোজিনাকে আটকে রাখার কারণ সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কিছুই জানাননি। পরে বিকেলে সাংবাদিকেরা সচিবালয়ের বাইরে জড়ো হয়ে রোজিনাকে ‘হেনস্তা ও আটকে’ রাখার প্রতিবাদ করেন।
এ বিষয়ে সচিবালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকেরা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু সচিবের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু নথির ছবি তোলার অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রথম আলো সূত্র জানিয়েছে, রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য ১৭ মে সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। তাঁকে সেখানে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয় এবং তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোজিনা ইসলামকে পুলিশ সচিবালয় থেকে বের করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। এ সময় তাঁকে বেশ অসুস্থ দেখাচ্ছিল ।
রোজিনা ইসলাম সেখানে মাটিতে শুয়ে রয়েছেন এরকম একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
রোজিনা ইসলামের বোন গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, মন্ত্রানলয়ে এক সচিবের কক্ষে প্রবেশের পর তিনি টেবিলে থাকা একটি পত্রিকা হাতে নেন। এ সময় কয়েকজন লোক এসে তাকে পত্রিকা কেন হাতে নেওয়া হয়েছে জানতে চেয়ে মোবাইল ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ কেড়ে নেন। তার অভিযোগ সেখানে তাকে আটকে রাখা হয়। তাকে ‘লাঞ্চিত’ করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন সম্প্রতি করোনার টিকাসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বেশকিছু অনিয়ম নিয়ে রিপোর্ট করেছিলেন রোজিনা ইসলাম। এ কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কতিপয় কর্মকতারা তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন।
পুলিশের ডিসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, তার চিকিৎসার বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সোমবার, ১৭ মে ২০২১
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আটকে রেখে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুমতি ছাড়া কিছু গোপন নথির ছবি তুলেছেন তিনি।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সচিবালয়ে পুলিশ পাঠানো হয় শাহবাগ থানা থেকে। পরে তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোজিনা ইসলামকে আটক করা হয়। রাত সাড়ে ৯ টায় সচিবালয় থেকে রোজিনা ইসলামকে পুলিশের গাড়িতে থানায় নেয়া হয়।
এ ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাত ১০টা পর্যন্ত থানায় লিখিতভাবে কোন এজাহার দায়ের করেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়।
গণমাধ্যম কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের একটি ফাইলের ছবি তোলেন রোজিনা ইসলাম। বিষয়টি জেনে স্বাস্থ্য মন্ত্রানলয়ের লোকজন রোজিনা ইসলামকে আটক করেন। এক পর্যায়ে তার মোবাইল নিয়ে নেন তারা। সেখানে মন্ত্রনালয়ে রোজিনা ইসলামকে বিকেল ৩ থেকে আটকে রাখা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ৫ ঘন্টা আটকে রাখার পর রোজিনা ইসলাম সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এক পর্যায়ে খবর পেয়ে সেখানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই ভবনে যান। তবে রোজিনাকে আটকে রাখার কারণ সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কিছুই জানাননি। পরে বিকেলে সাংবাদিকেরা সচিবালয়ের বাইরে জড়ো হয়ে রোজিনাকে ‘হেনস্তা ও আটকে’ রাখার প্রতিবাদ করেন।
এ বিষয়ে সচিবালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকেরা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু সচিবের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু নথির ছবি তোলার অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রথম আলো সূত্র জানিয়েছে, রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য ১৭ মে সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। তাঁকে সেখানে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয় এবং তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোজিনা ইসলামকে পুলিশ সচিবালয় থেকে বের করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। এ সময় তাঁকে বেশ অসুস্থ দেখাচ্ছিল ।
রোজিনা ইসলাম সেখানে মাটিতে শুয়ে রয়েছেন এরকম একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
রোজিনা ইসলামের বোন গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, মন্ত্রানলয়ে এক সচিবের কক্ষে প্রবেশের পর তিনি টেবিলে থাকা একটি পত্রিকা হাতে নেন। এ সময় কয়েকজন লোক এসে তাকে পত্রিকা কেন হাতে নেওয়া হয়েছে জানতে চেয়ে মোবাইল ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ কেড়ে নেন। তার অভিযোগ সেখানে তাকে আটকে রাখা হয়। তাকে ‘লাঞ্চিত’ করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন সম্প্রতি করোনার টিকাসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বেশকিছু অনিয়ম নিয়ে রিপোর্ট করেছিলেন রোজিনা ইসলাম। এ কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কতিপয় কর্মকতারা তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন।
পুলিশের ডিসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, তার চিকিৎসার বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।