কুমুদিনী হাসপাতাল রোড
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌর এলাকার অতি জনগুরুত্বপুর্ণ কুমুদিনী হাসপাতাল রোডে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে জনদুর্ভোগ চরম পৌছেছে। একটু বৃষ্টি হলেই পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে হাসপাতালে যাওয়ার সম্পূর্ণ সড়কে হাটু পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
গত কয়েকদিনের একাধিকবার এবং বৃস্পতিবারের (১০ জুন) বৃষ্টিতে হাসপাতালে আসা ও ভর্তি থাকা রোগী এবং তাদের স্বজনদের পাশাপাশি চিকিৎসক নার্স মেডিকেল কলেজ ও ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রীসহ ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে।
জানা গেছে, আর্তমানবতার সেবায় দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা প্রতিষ্ঠিত এক হাজার ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে মির্জাপুর উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই থেকে তিন হাজার মানুষ আসে। এছাড়া হাসপাতাল কমপ্লেক্সে রয়েছে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমস, কুমুদিনী নাসিং স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের ২৫ থেকে ৩০ টি গ্রামের মানুষও লৌহজং নদী পার হয়ে কুমুদিনী হাসপাতাল রোড হয়ে উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করে থাকে। আধা কিলোমিটারেরও কম দৈর্ঘ্যের সড়কটিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে যায়। এতে এই সড়কে চলাচলকারী রোগী ও তাদের স্বজনদের পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমস, কুমদিনী নাসিং স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীসহ উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বুধবার (৯ জুন) বেলা সাড়ে বারটায় কুমুদিনী হাসপাতাল রোডে সরেজমিনে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে। বৃষ্টিতে ভিজে নারী পুরুষ হাটু পানির মধ্যেও চলাচল করছে।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্বজন খাদিজা বেগম ও সাইদ মিয়া জানান, গত কয়েক দিন ধরেই হালকা এবং আজ সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। তাতেই সড়কে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
হাসপাতাল রোডের ব্যবসায়ী জোবায়ের হোসেন জানান, বৃষ্টি বেশি হলে সড়ক তলিয়ে গিয়ে আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে পানি ঢুকে।
পুষ্টকামুরী গ্রামের বাসিন্দা রিকশাচালক হানিফ মিয়া বরেন, একদিন একটু বৃষ্টি এলে হাটু পানিতে রিকশা নিয়ে যেতে খুব কষ্ট হয়।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক পবন কুমার জানান, আধা কিলোমিটারের কম দৈর্ঘ্য সড়কে ড্রেন না থাকায় বৃষ্টি মৌসুমে তাদের দুর্ভোগ চরমে পৌছে।
মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, যেহেতু সড়কটি পৌরসভার ভেতরে সেজন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর রাস্তাটির ড্রেন নির্মাণ করতে পারবে না। সড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ড্রেন নির্মাণে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশে পৌরসভায় বিশেষ প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল বলেন, সড়কটির একপাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন হলেই ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
কুমুদিনী হাসপাতাল রোড
শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌর এলাকার অতি জনগুরুত্বপুর্ণ কুমুদিনী হাসপাতাল রোডে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে জনদুর্ভোগ চরম পৌছেছে। একটু বৃষ্টি হলেই পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে হাসপাতালে যাওয়ার সম্পূর্ণ সড়কে হাটু পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
গত কয়েকদিনের একাধিকবার এবং বৃস্পতিবারের (১০ জুন) বৃষ্টিতে হাসপাতালে আসা ও ভর্তি থাকা রোগী এবং তাদের স্বজনদের পাশাপাশি চিকিৎসক নার্স মেডিকেল কলেজ ও ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রীসহ ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে।
জানা গেছে, আর্তমানবতার সেবায় দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা প্রতিষ্ঠিত এক হাজার ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে মির্জাপুর উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই থেকে তিন হাজার মানুষ আসে। এছাড়া হাসপাতাল কমপ্লেক্সে রয়েছে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমস, কুমুদিনী নাসিং স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের ২৫ থেকে ৩০ টি গ্রামের মানুষও লৌহজং নদী পার হয়ে কুমুদিনী হাসপাতাল রোড হয়ে উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করে থাকে। আধা কিলোমিটারেরও কম দৈর্ঘ্যের সড়কটিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে যায়। এতে এই সড়কে চলাচলকারী রোগী ও তাদের স্বজনদের পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমস, কুমদিনী নাসিং স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীসহ উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বুধবার (৯ জুন) বেলা সাড়ে বারটায় কুমুদিনী হাসপাতাল রোডে সরেজমিনে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে। বৃষ্টিতে ভিজে নারী পুরুষ হাটু পানির মধ্যেও চলাচল করছে।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্বজন খাদিজা বেগম ও সাইদ মিয়া জানান, গত কয়েক দিন ধরেই হালকা এবং আজ সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। তাতেই সড়কে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
হাসপাতাল রোডের ব্যবসায়ী জোবায়ের হোসেন জানান, বৃষ্টি বেশি হলে সড়ক তলিয়ে গিয়ে আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে পানি ঢুকে।
পুষ্টকামুরী গ্রামের বাসিন্দা রিকশাচালক হানিফ মিয়া বরেন, একদিন একটু বৃষ্টি এলে হাটু পানিতে রিকশা নিয়ে যেতে খুব কষ্ট হয়।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক পবন কুমার জানান, আধা কিলোমিটারের কম দৈর্ঘ্য সড়কে ড্রেন না থাকায় বৃষ্টি মৌসুমে তাদের দুর্ভোগ চরমে পৌছে।
মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, যেহেতু সড়কটি পৌরসভার ভেতরে সেজন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর রাস্তাটির ড্রেন নির্মাণ করতে পারবে না। সড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ড্রেন নির্মাণে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশে পৌরসভায় বিশেষ প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল বলেন, সড়কটির একপাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন হলেই ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।