ব্যাপক সমালোচনার পর পাবনায় গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র নিয়ে ঢোকা সেই আওয়ামী লীগ নেতাদের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে তারা সেইসব অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করার সুপারিশ করেছে। তবে ইতিমধ্যে পুলিশ সেই অস্ত্র জব্দ করেছে বলে জানা গেছে।
অস্ত্র আইনের শর্ত ‘ভঙ্গ’ করায় অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছে বলে জানিয়েছেন পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান। তিনি সাংবাদিকদের জানান, অস্ত্রগুলির লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
তদন্তে অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
‘গণপূর্ত বিভাগে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রবেশের ঘটনা জানার পরই বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে’ বলে জানান পুলিশ পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা লিখিত অভিযোগ না করলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তাদের প্রদর্শিত সেই অস্ত্রগুলো জব্দও করা হয়েছে।’
“সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে, অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের প্রমাণ মেলায় প্রদর্শিত অস্ত্রগুলোর লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয় কেবল জানমালের নিরপত্তার স্বার্থে। সরকারি দপ্তরটিতে জানমালের ক্ষতি হবার কোনো আশঙ্কা ছিল না। তাদের সঙ্গে ২৫ থেকে ৩০ জন লোকও ছিল।
“অস্ত্রের মালিকগণ সেখানে অস্ত্র বহনের যৌক্তিক কোনো কারণ দেখাতে পারেননি” বলে জানান পুলিশ সুপার।
এদিকে পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে জানা গেছে, এ ঘটনার পর পাবনা গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি ।
গত ৬ জুন দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে গণপূর্ত ভবনে প্রবেশ করেন।
তারা বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজতে থাকেন। তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কক্ষে যান। আবার কিছুক্ষণ পর বের হয়ে যান।
এ ঘটনার পর পাবনা গণপূর্ত অফিস থেকে লিখিত অভিযোগ না করা হলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে জেলা আইনশৃংখলা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। এ নিয়ে শুধু পাবনায়ই নয় সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
ব্যাপক সমালোচনার পর পাবনায় গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র নিয়ে ঢোকা সেই আওয়ামী লীগ নেতাদের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে তারা সেইসব অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করার সুপারিশ করেছে। তবে ইতিমধ্যে পুলিশ সেই অস্ত্র জব্দ করেছে বলে জানা গেছে।
অস্ত্র আইনের শর্ত ‘ভঙ্গ’ করায় অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছে বলে জানিয়েছেন পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান। তিনি সাংবাদিকদের জানান, অস্ত্রগুলির লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
তদন্তে অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
‘গণপূর্ত বিভাগে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রবেশের ঘটনা জানার পরই বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে’ বলে জানান পুলিশ পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা লিখিত অভিযোগ না করলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তাদের প্রদর্শিত সেই অস্ত্রগুলো জব্দও করা হয়েছে।’
“সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে, অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের প্রমাণ মেলায় প্রদর্শিত অস্ত্রগুলোর লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয় কেবল জানমালের নিরপত্তার স্বার্থে। সরকারি দপ্তরটিতে জানমালের ক্ষতি হবার কোনো আশঙ্কা ছিল না। তাদের সঙ্গে ২৫ থেকে ৩০ জন লোকও ছিল।
“অস্ত্রের মালিকগণ সেখানে অস্ত্র বহনের যৌক্তিক কোনো কারণ দেখাতে পারেননি” বলে জানান পুলিশ সুপার।
এদিকে পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে জানা গেছে, এ ঘটনার পর পাবনা গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি ।
গত ৬ জুন দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে গণপূর্ত ভবনে প্রবেশ করেন।
তারা বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজতে থাকেন। তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কক্ষে যান। আবার কিছুক্ষণ পর বের হয়ে যান।
এ ঘটনার পর পাবনা গণপূর্ত অফিস থেকে লিখিত অভিযোগ না করা হলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে জেলা আইনশৃংখলা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। এ নিয়ে শুধু পাবনায়ই নয় সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।