দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম পর্যটন স্পট বাঁশখালী ইকোপার্কের একমাত্র সড়কটি ধসে পড়ায় পর্যটকদের ভোগান্তির চরম আকার ধারণ করেছে। উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়ন ও বাঁশখালী পৌরসভার সীমান্তবর্তী বামের ছড়া নামক পাহাড়ি এলাকায় এই ইকোপার্কটির অবস্থান। বিগত ২০০৩ সালে প্রায় ১ হাজার হেক্টর এলাকাজুড়ে এই ইকোপার্কে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে পর্যটন স্পট হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে এই ইকোপার্কে পর্যটকদের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে শীত মৌসুমকে ঘিরে পর্যটকদের আগমন ঘটে চোখে পড়ার মতো।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এই ইকোপার্কটির রক্ষণাবেক্ষন করেন থাকেন। শীলকূপ টাইম বাজার থেকে এই ইকোপার্কে যাতায়াতের জন্য সাড়ে ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়ক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে টানা বর্ষনের ফলে পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে এই সড়কটি বেশ কয়েকটি স্থান ধসে পড়ে। ইতোমধ্যে এসড়কের হাজী ছবুরের মিশ্র খামার ও মৎস্য প্রজেক্টের পাশে সড়কের ওপর স্থিত একটি মিনি কালর্ভাট পাহাড়ি ঢলের পানিতে সম্পূর্ণ রূপে ধ্বসে পড়ে ইকোপার্কের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যার ফলে দূরদূরান্ত থেকে আগত পর্যটকদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।
ধসে পড়া সড়ক থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে ইকোপার্কে যেতে হচ্ছে। আবার অনেকে পায়ে হেঁটে যেতে না পেরে পুনরায় ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এই পরিস্থিতি ইকোপার্ক কর্তৃপক্ষ সড়কটির ধ্বসে পড়া কালভার্টটি পুনরায় সংস্কারের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে বলে জানান ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি প্রবল বর্ষণের ফলে ইকোপার্কের একমাত্র সড়কটির বিভিন্ন অংশে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে এ সড়কের ওপর স্থিত একটি কালভার্ট ধসে পড়ে। যার ফলে পর্যটকদের আসা যাওয়া করতে কষ্ট হচ্ছে। কালভার্টটি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।’
ইকোপার্কের গেটের ইজারাদার কায়েশ সরোয়ার সুমন বলেন, ‘ইকোপার্কে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটির বিভিন্ন অংশে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি এ সড়কের একটি কালভার্ট ঢলের তোড়ে সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ে যায়। ফলে ইকোপার্কে দর্শনার্থীদের আসা যাওয়া চরম কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
এদিকে পার্কে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, একটু বিনোদনের আশায় এই পার্কে এসেছি। কিন্তু পার্কের একামাত্র সড়কটির একটি অংশে কালভার্ট ধসে পড়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ধসে পড়া এ কালভার্টটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।’
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, এ সপ্তাহের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
রোববার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম পর্যটন স্পট বাঁশখালী ইকোপার্কের একমাত্র সড়কটি ধসে পড়ায় পর্যটকদের ভোগান্তির চরম আকার ধারণ করেছে। উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়ন ও বাঁশখালী পৌরসভার সীমান্তবর্তী বামের ছড়া নামক পাহাড়ি এলাকায় এই ইকোপার্কটির অবস্থান। বিগত ২০০৩ সালে প্রায় ১ হাজার হেক্টর এলাকাজুড়ে এই ইকোপার্কে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে পর্যটন স্পট হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে এই ইকোপার্কে পর্যটকদের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে শীত মৌসুমকে ঘিরে পর্যটকদের আগমন ঘটে চোখে পড়ার মতো।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এই ইকোপার্কটির রক্ষণাবেক্ষন করেন থাকেন। শীলকূপ টাইম বাজার থেকে এই ইকোপার্কে যাতায়াতের জন্য সাড়ে ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়ক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে টানা বর্ষনের ফলে পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে এই সড়কটি বেশ কয়েকটি স্থান ধসে পড়ে। ইতোমধ্যে এসড়কের হাজী ছবুরের মিশ্র খামার ও মৎস্য প্রজেক্টের পাশে সড়কের ওপর স্থিত একটি মিনি কালর্ভাট পাহাড়ি ঢলের পানিতে সম্পূর্ণ রূপে ধ্বসে পড়ে ইকোপার্কের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যার ফলে দূরদূরান্ত থেকে আগত পর্যটকদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।
ধসে পড়া সড়ক থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে ইকোপার্কে যেতে হচ্ছে। আবার অনেকে পায়ে হেঁটে যেতে না পেরে পুনরায় ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এই পরিস্থিতি ইকোপার্ক কর্তৃপক্ষ সড়কটির ধ্বসে পড়া কালভার্টটি পুনরায় সংস্কারের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে বলে জানান ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি প্রবল বর্ষণের ফলে ইকোপার্কের একমাত্র সড়কটির বিভিন্ন অংশে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে এ সড়কের ওপর স্থিত একটি কালভার্ট ধসে পড়ে। যার ফলে পর্যটকদের আসা যাওয়া করতে কষ্ট হচ্ছে। কালভার্টটি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।’
ইকোপার্কের গেটের ইজারাদার কায়েশ সরোয়ার সুমন বলেন, ‘ইকোপার্কে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটির বিভিন্ন অংশে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি এ সড়কের একটি কালভার্ট ঢলের তোড়ে সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ে যায়। ফলে ইকোপার্কে দর্শনার্থীদের আসা যাওয়া চরম কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
এদিকে পার্কে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, একটু বিনোদনের আশায় এই পার্কে এসেছি। কিন্তু পার্কের একামাত্র সড়কটির একটি অংশে কালভার্ট ধসে পড়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ধসে পড়া এ কালভার্টটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।’
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, এ সপ্তাহের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।