প্রতিনিয়তই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভুয়া ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার খবর মিলছে। দেশজুড়ে এই অবস্থা এখন উদ্বেগজনক। চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন প্রদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নীরব দর্শকের ভূমিকায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তারা এমবিবিএস পাসের পর নামের আগে-পরে দেশ-বিদেশের ভুয়া উচ্চতর ডিগ্রি ব্যবহার করে বছরের পর বছর রোগী দেখছেন, হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের ফি। ভুয়া ডাক্তার-দালালদের দৌরাত্ম্য, ভুল চিকিৎসা, অবহেলা আর চিকিৎসা-বাণিজ্যের নির্মমতায় একের পর এক রোগী মারা যাচ্ছে ।
হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগরের মুন জেনারেল হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় এক ডাক্তারসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে র্যাব-৯ এর হবিগঞ্জ ক্যাম্প কমান্ডার নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করে।
র্যাব জানান, এ প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সেবার নামে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অভিযান পরিচালনার সময় তাসনিম সুলতানা নামে এক ডাক্তার এমবিবিএস পাশ না করেও অন্যজনের নাম পদবী ব্যবহার করে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। শুধু তাই নয়, বিদেশী পদ পদবী ব্যবহার করে মোটা অংকের ভিজিট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সাথে করে আসছেন প্রতারণা। এ অভিনব প্রতারণার দায়ে তাসনিম সুলতানাকে দুই মাসের কারাদণ্ডসহ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। এর সাথে মুন জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে র্যাব হবিগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার নাহিদ হাসান জানান, তাসনিম সুলতানা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকা এক চিকিৎসকের নাম-পদবি ব্যবহার করে আসছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে তাকে জরিমানা করা হয়েছে।
চিকিৎসার নামে দেশজুড়ে চলছে প্রতারণা। আর্তমানবতার সেবার বদলে যেভাবেই অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় এ পেশার সুনামকে জিম্মি করে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা কথিত হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলো এখন ভুয়া ডিগ্রিধারী ডাক্তারের ছড়াছড়ি। নানা নামের বাহারি ডিগ্রি ব্যবহার করে চকচকে সাইনবোর্ড সেঁটে নিরীহ ও সাধারণ রোগীদের প্রতারিত করে আসছে তারা। ফলে জনস্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এক চরম অরাজকতা বিরাজ করছে।
সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রতিনিয়তই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভুয়া ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার খবর মিলছে। দেশজুড়ে এই অবস্থা এখন উদ্বেগজনক। চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন প্রদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নীরব দর্শকের ভূমিকায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তারা এমবিবিএস পাসের পর নামের আগে-পরে দেশ-বিদেশের ভুয়া উচ্চতর ডিগ্রি ব্যবহার করে বছরের পর বছর রোগী দেখছেন, হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের ফি। ভুয়া ডাক্তার-দালালদের দৌরাত্ম্য, ভুল চিকিৎসা, অবহেলা আর চিকিৎসা-বাণিজ্যের নির্মমতায় একের পর এক রোগী মারা যাচ্ছে ।
হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগরের মুন জেনারেল হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় এক ডাক্তারসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে র্যাব-৯ এর হবিগঞ্জ ক্যাম্প কমান্ডার নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করে।
র্যাব জানান, এ প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সেবার নামে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অভিযান পরিচালনার সময় তাসনিম সুলতানা নামে এক ডাক্তার এমবিবিএস পাশ না করেও অন্যজনের নাম পদবী ব্যবহার করে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। শুধু তাই নয়, বিদেশী পদ পদবী ব্যবহার করে মোটা অংকের ভিজিট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সাথে করে আসছেন প্রতারণা। এ অভিনব প্রতারণার দায়ে তাসনিম সুলতানাকে দুই মাসের কারাদণ্ডসহ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। এর সাথে মুন জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে র্যাব হবিগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার নাহিদ হাসান জানান, তাসনিম সুলতানা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকা এক চিকিৎসকের নাম-পদবি ব্যবহার করে আসছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে তাকে জরিমানা করা হয়েছে।
চিকিৎসার নামে দেশজুড়ে চলছে প্রতারণা। আর্তমানবতার সেবার বদলে যেভাবেই অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় এ পেশার সুনামকে জিম্মি করে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা কথিত হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলো এখন ভুয়া ডিগ্রিধারী ডাক্তারের ছড়াছড়ি। নানা নামের বাহারি ডিগ্রি ব্যবহার করে চকচকে সাইনবোর্ড সেঁটে নিরীহ ও সাধারণ রোগীদের প্রতারিত করে আসছে তারা। ফলে জনস্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এক চরম অরাজকতা বিরাজ করছে।