ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের ‘গেস্টরুমে’ ডাকা হয়েছিলো একদল জুনিয়র শিক্ষার্থীকে। উদ্দেশ্য ‘আদব-কায়দা’ শেখানো। আর তাতে এই গরমে অচেতন হয়ে পড়েন এক শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেছেন, কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গেস্টরুমে থাকা একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি আহম্মেদের অনুসারীরা জুনিয়রদের হলের অতিথি কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তাদের দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখেন, উদ্দেশ্য ‘আদব-কায়দা’ শেখানো। আর তখন এই গরমে একজন অসুস্থ বোধ করেন। সে শারীরিক অস্বস্তির কথা জানালেও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাকে ছাড়েননি।
এক পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নিয়ামুল ইসলাম। পরে তার বন্ধুরা গণরুমে নিয়ে মাথায় পানি ঢেলে তাকে সুস্থ করেন।
নিয়ামুল এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
ওই হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি আহম্মেদ বলছেন, ঈদের পর ‘সিনিয়র-জুনিয়রা বসেছিল’। কেন বসেছিলো? রাব্বির ভাষ্যঃ ‘কীভাবে ঈদের ছুটি কেটেছে তা নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছিল।’
‘বসার পর’, রাব্বি বলছেন, ‘গরমের কারণেই’ নিয়ামুল অস্বস্তি বোধ করেন। তখন বন্ধুরা তাকে ডাবের পানি খাইয়ে তার কক্ষে রেখে আসেন। ‘তাকে হাসপাতালেও নিতে হয়ন,’ বলেন রাব্বি।
হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুল বাছির জানান, ঘটনাটি জানার পর তারা খোঁজ নিয়েছেন। ‘গেস্টরুমের নামে যে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক ঘটেছে, এর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বুধবার হলের আবাসিক শিক্ষক মোহাম্মদ শাহ মিরানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য – আবাসিক শিক্ষক মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন ও আবু হোসেন মুহাম্মদ আহসান।
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের ‘গেস্টরুমে’ ডাকা হয়েছিলো একদল জুনিয়র শিক্ষার্থীকে। উদ্দেশ্য ‘আদব-কায়দা’ শেখানো। আর তাতে এই গরমে অচেতন হয়ে পড়েন এক শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেছেন, কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গেস্টরুমে থাকা একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি আহম্মেদের অনুসারীরা জুনিয়রদের হলের অতিথি কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তাদের দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখেন, উদ্দেশ্য ‘আদব-কায়দা’ শেখানো। আর তখন এই গরমে একজন অসুস্থ বোধ করেন। সে শারীরিক অস্বস্তির কথা জানালেও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাকে ছাড়েননি।
এক পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নিয়ামুল ইসলাম। পরে তার বন্ধুরা গণরুমে নিয়ে মাথায় পানি ঢেলে তাকে সুস্থ করেন।
নিয়ামুল এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
ওই হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি আহম্মেদ বলছেন, ঈদের পর ‘সিনিয়র-জুনিয়রা বসেছিল’। কেন বসেছিলো? রাব্বির ভাষ্যঃ ‘কীভাবে ঈদের ছুটি কেটেছে তা নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছিল।’
‘বসার পর’, রাব্বি বলছেন, ‘গরমের কারণেই’ নিয়ামুল অস্বস্তি বোধ করেন। তখন বন্ধুরা তাকে ডাবের পানি খাইয়ে তার কক্ষে রেখে আসেন। ‘তাকে হাসপাতালেও নিতে হয়ন,’ বলেন রাব্বি।
হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুল বাছির জানান, ঘটনাটি জানার পর তারা খোঁজ নিয়েছেন। ‘গেস্টরুমের নামে যে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক ঘটেছে, এর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বুধবার হলের আবাসিক শিক্ষক মোহাম্মদ শাহ মিরানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য – আবাসিক শিক্ষক মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন ও আবু হোসেন মুহাম্মদ আহসান।