জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলো কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সুবিধা না পাওয়ায় ভোগান্তির কবলে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির হাজারো শিক্ষার্থী।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল বিভাগগুলোতে পরীক্ষা-টিউটোরিয়াল চলমান। কিন্তু লোডশেডিংয়ের জন্য সময়মতো পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছেন না অনেকেই। হিট ওয়েভের জন্য অনেক পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে ক্লাস চালু থাকলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোদমে অফলাইনে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। হিট ওয়েভের দরুণ বাহিরের কাঠফাটা রোদে তীব্র দাবদাহ থেকে হলে এসে একটু নিস্তারের চেষ্টা করলেও, ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, দেশের উপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে অতি তীব্র ধরণের তাপ প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার উপর, এই অবিসহ তাপমাত্রায় হিট স্ট্রোকের শঙ্কা রয়েই যায়। এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে হলের রুমগুলোতে বৈদ্যুতিক পাখা চালানোর ব্যবস্থা করা অতীব জরুরি।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা যায়, গত কয়েক মাসের তুলনায় বর্তমানে বিদ্যুৎ সারা দিন-রাত যাওয়া আসার মধ্যে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলসহ, বিভাগের ক্লাসরুম, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীরা আগের তুলনায় বিদ্যুৎ সুবিধা কম পাচ্ছেন। একবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিলে এক ঘন্টার পূর্বে বিদ্যুৎ সরবরাহের করা হয় না। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকে প্রশাসনের সুষ্ঠু নজরদারির অভাবে এমনটা হচ্ছে বলে দাবি করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিস বিভাগের শিক্ষার্থী সাকলাইন মুশতাক বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পড়াশোনা করতে পারছি না। দিনে ও রাতে রুটিন করে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা যাচ্ছে। ফলে এসাইনমেন্ট, টিউটোরিয়াল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে বেগ পেতে হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী ইরাজুল ইসলাম তাওসিফ বলেন, দিনে প্রখর রোদ আর রাতে গরমে বেহাল অবস্থা। তার উপর হলে সবসময় বিদ্যুৎ থাকছে না। এ সমস্যা আগে অনেক কম ছিল কিন্তু বর্তমানে প্রচণ্ড রকমের বিদ্যুৎ বিভ্রাট লক্ষ্য করছি। এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান দাবি করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) শরীফুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, লোডশেডিং এখন জাতীয় সমস্যা। প্রচণ্ড তাপদাহে সারাদেশেই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত জ্বালানির ঘাটতি থাকায় বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়েনি। ফলে বিভিন্ন সময় লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে। আর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ কিনে সেটা ব্যবহার করে থাকি। এখানে আমরা নিজেরাও গ্রাহক হিসেবে কাজ করি। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকেই মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুতের বণ্টন করা হয়। তাপদাহ একটু কমলে লোডশেডিংয়ের সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার আবু হাসান বলেন, লোডশেডিং এখন একটি জাতীয় সমস্যা। আমরা তারপরেও বিদ্যুৎ অফিসে কথা বলেছি তারা যাতে অফিস টাইমে বিশেষ করে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লোডশেডিং না দেয়। তবে তারা চেষ্টা করছে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে লোডশেডিং না হয়।
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলো কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সুবিধা না পাওয়ায় ভোগান্তির কবলে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির হাজারো শিক্ষার্থী।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল বিভাগগুলোতে পরীক্ষা-টিউটোরিয়াল চলমান। কিন্তু লোডশেডিংয়ের জন্য সময়মতো পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছেন না অনেকেই। হিট ওয়েভের জন্য অনেক পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে ক্লাস চালু থাকলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোদমে অফলাইনে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। হিট ওয়েভের দরুণ বাহিরের কাঠফাটা রোদে তীব্র দাবদাহ থেকে হলে এসে একটু নিস্তারের চেষ্টা করলেও, ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, দেশের উপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে অতি তীব্র ধরণের তাপ প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার উপর, এই অবিসহ তাপমাত্রায় হিট স্ট্রোকের শঙ্কা রয়েই যায়। এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে হলের রুমগুলোতে বৈদ্যুতিক পাখা চালানোর ব্যবস্থা করা অতীব জরুরি।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা যায়, গত কয়েক মাসের তুলনায় বর্তমানে বিদ্যুৎ সারা দিন-রাত যাওয়া আসার মধ্যে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলসহ, বিভাগের ক্লাসরুম, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীরা আগের তুলনায় বিদ্যুৎ সুবিধা কম পাচ্ছেন। একবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিলে এক ঘন্টার পূর্বে বিদ্যুৎ সরবরাহের করা হয় না। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকে প্রশাসনের সুষ্ঠু নজরদারির অভাবে এমনটা হচ্ছে বলে দাবি করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিস বিভাগের শিক্ষার্থী সাকলাইন মুশতাক বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পড়াশোনা করতে পারছি না। দিনে ও রাতে রুটিন করে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা যাচ্ছে। ফলে এসাইনমেন্ট, টিউটোরিয়াল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে বেগ পেতে হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী ইরাজুল ইসলাম তাওসিফ বলেন, দিনে প্রখর রোদ আর রাতে গরমে বেহাল অবস্থা। তার উপর হলে সবসময় বিদ্যুৎ থাকছে না। এ সমস্যা আগে অনেক কম ছিল কিন্তু বর্তমানে প্রচণ্ড রকমের বিদ্যুৎ বিভ্রাট লক্ষ্য করছি। এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান দাবি করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) শরীফুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, লোডশেডিং এখন জাতীয় সমস্যা। প্রচণ্ড তাপদাহে সারাদেশেই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত জ্বালানির ঘাটতি থাকায় বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়েনি। ফলে বিভিন্ন সময় লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে। আর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ কিনে সেটা ব্যবহার করে থাকি। এখানে আমরা নিজেরাও গ্রাহক হিসেবে কাজ করি। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকেই মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুতের বণ্টন করা হয়। তাপদাহ একটু কমলে লোডশেডিংয়ের সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার আবু হাসান বলেন, লোডশেডিং এখন একটি জাতীয় সমস্যা। আমরা তারপরেও বিদ্যুৎ অফিসে কথা বলেছি তারা যাতে অফিস টাইমে বিশেষ করে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লোডশেডিং না দেয়। তবে তারা চেষ্টা করছে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে লোডশেডিং না হয়।