মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
করোনাভাইরাসে দেশে প্রতিনিয়ত মানুষ মরছে, মানুষের জীবন ও জীবিকা করছে তছনছ; আর তেমনিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে করছে পঙ্গু। স্বাধীনতার পর দেশে যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তার পেছনে শিক্ষা বিস্তারের কৃতিত্ব সবচেয়ে বেশি। অগ্রসর দেশগুলো জীবনের সব ক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতা অর্জন করেছে শিক্ষার জোরে। অথচ করোনাকালে স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার অজুহাতে, প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
রাস্তায় নিয়মিত যানবাহন চলাচল করছে। নদীতে লঞ্চ-স্টিমার সচল। বিপণিবিতানে দোকানিরা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছে। ক্রেতারা নিয়মিত শপিংমলে যাচ্ছেন। বিলাসবহুল শপিং মলের ফুড কোডগুলোতে ভোজনরসিক মানুষের প্রচন্ড ভিড়। পথেঘাটে মানুষ গিজগিজ করছে। হাটবাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। কলকারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক। দেশের সবকিছুই স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক শুধু দেশের শিক্ষাব্যবস্থা।
বর্তমান ডিজিটালাইজেশনের যুগে মানুষের সহজপ্রাপ্যতা যোগাযোগের মাধ্যম ইন্টারনেট। ফলে অনলাইন হচ্ছে সপার হাইওয়ে। কিন্তু আমাদের দেশে করোনাকালীন অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে পরীক্ষা দেয়ার সময় কেউ গাছে চড়ে, কেউ খড়ের পালা আবার কেউ উঁচু ঢিবিতে উঠে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের এমন ঘটনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা দেখেছি। ফলে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখতে পেরেছে তা সবার কাছে স্পষ্ট।
শিক্ষার সংকট কাটাতে হলে সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের টিকাদান নিশ্চিত করে দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ও মাস্টার্সের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্রুত পরীক্ষা শেষ করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর দূর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ছুটির দিনে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা, বাল্যবিবাহ রোধে প্রশাসনের নজরদারি করা, গরিব পরিবারগুলোকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে ড্রপআউট ও শিশু অপুষ্টি দূর করতে হবে। অটোপাসের পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট সংকট নিরসন করে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে। এ ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষা করতে হবে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে চলতে হলে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখা এখন সময়ের দাবি। তা না হলে দেশ হীরক রাজার দেশে পরিণত হতে পারে।
রাশেদ ইসলাম
শিক্ষার্থী, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বৃহস্পতিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১
করোনাভাইরাসে দেশে প্রতিনিয়ত মানুষ মরছে, মানুষের জীবন ও জীবিকা করছে তছনছ; আর তেমনিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে করছে পঙ্গু। স্বাধীনতার পর দেশে যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তার পেছনে শিক্ষা বিস্তারের কৃতিত্ব সবচেয়ে বেশি। অগ্রসর দেশগুলো জীবনের সব ক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতা অর্জন করেছে শিক্ষার জোরে। অথচ করোনাকালে স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার অজুহাতে, প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
রাস্তায় নিয়মিত যানবাহন চলাচল করছে। নদীতে লঞ্চ-স্টিমার সচল। বিপণিবিতানে দোকানিরা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছে। ক্রেতারা নিয়মিত শপিংমলে যাচ্ছেন। বিলাসবহুল শপিং মলের ফুড কোডগুলোতে ভোজনরসিক মানুষের প্রচন্ড ভিড়। পথেঘাটে মানুষ গিজগিজ করছে। হাটবাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। কলকারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক। দেশের সবকিছুই স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক শুধু দেশের শিক্ষাব্যবস্থা।
বর্তমান ডিজিটালাইজেশনের যুগে মানুষের সহজপ্রাপ্যতা যোগাযোগের মাধ্যম ইন্টারনেট। ফলে অনলাইন হচ্ছে সপার হাইওয়ে। কিন্তু আমাদের দেশে করোনাকালীন অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে পরীক্ষা দেয়ার সময় কেউ গাছে চড়ে, কেউ খড়ের পালা আবার কেউ উঁচু ঢিবিতে উঠে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের এমন ঘটনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা দেখেছি। ফলে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখতে পেরেছে তা সবার কাছে স্পষ্ট।
শিক্ষার সংকট কাটাতে হলে সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের টিকাদান নিশ্চিত করে দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ও মাস্টার্সের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্রুত পরীক্ষা শেষ করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর দূর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ছুটির দিনে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা, বাল্যবিবাহ রোধে প্রশাসনের নজরদারি করা, গরিব পরিবারগুলোকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে ড্রপআউট ও শিশু অপুষ্টি দূর করতে হবে। অটোপাসের পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট সংকট নিরসন করে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে। এ ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষা করতে হবে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে চলতে হলে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখা এখন সময়ের দাবি। তা না হলে দেশ হীরক রাজার দেশে পরিণত হতে পারে।
রাশেদ ইসলাম
শিক্ষার্থী, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ