alt

চিঠিপত্র

চিঠি : পরীক্ষার্থীরা আর কত দিন ঘরে থাকবে?

: বৃহস্পতিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

করোনাভাইরাসে দেশে প্রতিনিয়ত মানুষ মরছে, মানুষের জীবন ও জীবিকা করছে তছনছ; আর তেমনিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে করছে পঙ্গু। স্বাধীনতার পর দেশে যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তার পেছনে শিক্ষা বিস্তারের কৃতিত্ব সবচেয়ে বেশি। অগ্রসর দেশগুলো জীবনের সব ক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতা অর্জন করেছে শিক্ষার জোরে। অথচ করোনাকালে স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার অজুহাতে, প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

রাস্তায় নিয়মিত যানবাহন চলাচল করছে। নদীতে লঞ্চ-স্টিমার সচল। বিপণিবিতানে দোকানিরা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছে। ক্রেতারা নিয়মিত শপিংমলে যাচ্ছেন। বিলাসবহুল শপিং মলের ফুড কোডগুলোতে ভোজনরসিক মানুষের প্রচন্ড ভিড়। পথেঘাটে মানুষ গিজগিজ করছে। হাটবাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। কলকারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক। দেশের সবকিছুই স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক শুধু দেশের শিক্ষাব্যবস্থা।

বর্তমান ডিজিটালাইজেশনের যুগে মানুষের সহজপ্রাপ্যতা যোগাযোগের মাধ্যম ইন্টারনেট। ফলে অনলাইন হচ্ছে সপার হাইওয়ে। কিন্তু আমাদের দেশে করোনাকালীন অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে পরীক্ষা দেয়ার সময় কেউ গাছে চড়ে, কেউ খড়ের পালা আবার কেউ উঁচু ঢিবিতে উঠে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের এমন ঘটনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা দেখেছি। ফলে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখতে পেরেছে তা সবার কাছে স্পষ্ট।

শিক্ষার সংকট কাটাতে হলে সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের টিকাদান নিশ্চিত করে দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ও মাস্টার্সের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্রুত পরীক্ষা শেষ করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর দূর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ছুটির দিনে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা, বাল্যবিবাহ রোধে প্রশাসনের নজরদারি করা, গরিব পরিবারগুলোকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে ড্রপআউট ও শিশু অপুষ্টি দূর করতে হবে। অটোপাসের পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট সংকট নিরসন করে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে। এ ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষা করতে হবে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে চলতে হলে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখা এখন সময়ের দাবি। তা না হলে দেশ হীরক রাজার দেশে পরিণত হতে পারে।

রাশেদ ইসলাম

শিক্ষার্থী, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : পরীক্ষার্থীরা আর কত দিন ঘরে থাকবে?

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১

করোনাভাইরাসে দেশে প্রতিনিয়ত মানুষ মরছে, মানুষের জীবন ও জীবিকা করছে তছনছ; আর তেমনিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে করছে পঙ্গু। স্বাধীনতার পর দেশে যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তার পেছনে শিক্ষা বিস্তারের কৃতিত্ব সবচেয়ে বেশি। অগ্রসর দেশগুলো জীবনের সব ক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতা অর্জন করেছে শিক্ষার জোরে। অথচ করোনাকালে স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার অজুহাতে, প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

রাস্তায় নিয়মিত যানবাহন চলাচল করছে। নদীতে লঞ্চ-স্টিমার সচল। বিপণিবিতানে দোকানিরা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছে। ক্রেতারা নিয়মিত শপিংমলে যাচ্ছেন। বিলাসবহুল শপিং মলের ফুড কোডগুলোতে ভোজনরসিক মানুষের প্রচন্ড ভিড়। পথেঘাটে মানুষ গিজগিজ করছে। হাটবাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। কলকারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক। দেশের সবকিছুই স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক শুধু দেশের শিক্ষাব্যবস্থা।

বর্তমান ডিজিটালাইজেশনের যুগে মানুষের সহজপ্রাপ্যতা যোগাযোগের মাধ্যম ইন্টারনেট। ফলে অনলাইন হচ্ছে সপার হাইওয়ে। কিন্তু আমাদের দেশে করোনাকালীন অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে পরীক্ষা দেয়ার সময় কেউ গাছে চড়ে, কেউ খড়ের পালা আবার কেউ উঁচু ঢিবিতে উঠে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের এমন ঘটনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা দেখেছি। ফলে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখতে পেরেছে তা সবার কাছে স্পষ্ট।

শিক্ষার সংকট কাটাতে হলে সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের টিকাদান নিশ্চিত করে দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ও মাস্টার্সের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্রুত পরীক্ষা শেষ করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর দূর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ছুটির দিনে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা, বাল্যবিবাহ রোধে প্রশাসনের নজরদারি করা, গরিব পরিবারগুলোকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে ড্রপআউট ও শিশু অপুষ্টি দূর করতে হবে। অটোপাসের পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট সংকট নিরসন করে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে। এ ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষা করতে হবে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে চলতে হলে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখা এখন সময়ের দাবি। তা না হলে দেশ হীরক রাজার দেশে পরিণত হতে পারে।

রাশেদ ইসলাম

শিক্ষার্থী, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ

back to top