alt

মতামত » চিঠিপত্র

দুর্বোধ্য অক্ষরের প্রেসক্রিপশন

: সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

‘ডাক্তার’ বা চিকিৎসক শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের বিশাল এক অনুভূতি, যার নাম বিশ্বস্ততা কিংবা নির্ভরতা। তাদের আমরা এত বিশ্বাস করি যে প্রেসক্রিপশন প্যাডে যা লিখে দেন নির্দ্ধিধায় আমরা তা সেবন করি। কিন্তু অনেক সময় সেই প্রেসক্রিপশন প্যাডের লেখাই যদি আমাদের বোধগম্য না হয় এবং ভুল ওষুধ সেবন করে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হয় তাহলে এর থেকে বেশি দুঃখজনক ব্যাপার আর কি হতে পারে। বেশিরভাগ চিকিৎসকের লেখা এত দুর্বোধ্য যে অনেক ফার্মেসির বিক্রয়কর্মীদেরও বুঝতে হিমশিম খেতে হয়।

ডাক্তারদের এই দুর্বোধ্য হাতের লেখার অভিযোগ কেবল বাংলাদেশেই না বরং বিশ্বের অনেক দেশেই কমবেশি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব মেডিসিনের (আইওএম) এক গবেষণার প্রতিবেদনে জানা যায়, বিশ্বে প্রতি বছর সাত হাজার রোগী মারা যায় শুধু প্রেসক্রিপশনে ডাক্তারদের হাতের লেখা না বুঝতে পারায় এবং ভুল ওষুধ সেবন করায়। কিন্তু বেশিরভাগ চিকিৎসকই দুর্বোধ্য অক্ষরে লিখতে লিখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হয় রোগীদের। সুতরাং কারণ যা-ই হোক সেটার জন্য অতি দুর্বোধ্য অক্ষরে প্রেসক্রিপশন লেখা কোনভাবেই যুক্তিসংগত নয়। তাই চিকিৎসকদের উচিত এই সীমাহীন অসচেতনতা থেকে বেরিয়ে এসে স্পষ্টাক্ষরে পাঠোপযোগী প্রেসক্রিপশন লেখা।

ফারজানা আক্তার ঝিমি

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষির অবদান

শহরের পাখিরা যখন মরার প্রহর গুনে

ধর্মের নামে বর্বরতা

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

tab

মতামত » চিঠিপত্র

দুর্বোধ্য অক্ষরের প্রেসক্রিপশন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

‘ডাক্তার’ বা চিকিৎসক শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের বিশাল এক অনুভূতি, যার নাম বিশ্বস্ততা কিংবা নির্ভরতা। তাদের আমরা এত বিশ্বাস করি যে প্রেসক্রিপশন প্যাডে যা লিখে দেন নির্দ্ধিধায় আমরা তা সেবন করি। কিন্তু অনেক সময় সেই প্রেসক্রিপশন প্যাডের লেখাই যদি আমাদের বোধগম্য না হয় এবং ভুল ওষুধ সেবন করে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হয় তাহলে এর থেকে বেশি দুঃখজনক ব্যাপার আর কি হতে পারে। বেশিরভাগ চিকিৎসকের লেখা এত দুর্বোধ্য যে অনেক ফার্মেসির বিক্রয়কর্মীদেরও বুঝতে হিমশিম খেতে হয়।

ডাক্তারদের এই দুর্বোধ্য হাতের লেখার অভিযোগ কেবল বাংলাদেশেই না বরং বিশ্বের অনেক দেশেই কমবেশি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব মেডিসিনের (আইওএম) এক গবেষণার প্রতিবেদনে জানা যায়, বিশ্বে প্রতি বছর সাত হাজার রোগী মারা যায় শুধু প্রেসক্রিপশনে ডাক্তারদের হাতের লেখা না বুঝতে পারায় এবং ভুল ওষুধ সেবন করায়। কিন্তু বেশিরভাগ চিকিৎসকই দুর্বোধ্য অক্ষরে লিখতে লিখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হয় রোগীদের। সুতরাং কারণ যা-ই হোক সেটার জন্য অতি দুর্বোধ্য অক্ষরে প্রেসক্রিপশন লেখা কোনভাবেই যুক্তিসংগত নয়। তাই চিকিৎসকদের উচিত এই সীমাহীন অসচেতনতা থেকে বেরিয়ে এসে স্পষ্টাক্ষরে পাঠোপযোগী প্রেসক্রিপশন লেখা।

ফারজানা আক্তার ঝিমি

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

back to top