নীলফামারীর সৈয়দপুরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পে (টিআর) হরিলুটের অভিযোগ মিলেছে। এটি ঘটেছে সৈয়দপুর পৌর এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডের প্রকল্পে। প্রকল্পের সভাপতি করা হয়েছে পৌরসভার টোল আদায়কারী, গাড়িচালক ও নৈশপ্রহরীর ভাইকে। এসব প্রকল্প ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের।
অভিযোগ রয়েছে, পৌরসভার কয়েকজন স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারি সিন্ডিকেট করে এমন অনিয়ম করছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দকৃত অর্থের অর্ধেক টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। অবশিষ্ট টাকাও শিগগির উত্তোলন করতে চলছে দৌড়ঝাপ।
পৌর এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডে ২৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ৫৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯১৭ টাকা। ওইসব প্রকল্পের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৩২ হাজার ৯১৭ টাকা হতে সর্বনিম্ন এক লাখ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ করা হয়েছে।
বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো হলো সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ঘর সংস্কার, স্লাবসহ ড্রেন নির্মাণ, গ্যারেজের ফ্লোর ঢালাই, মাছ ও খাসির মাংসের বাজারের টিনের ছাউনি পরিবর্তন, পুকুরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, গলি রাস্তা সিসি করণ, ডাস্টবিন নির্মাণ, ড্রেনের মাটি ও আবর্জনা পরিষ্কার, পানির লাইন সংস্কার, রাস্তা উঁচু ও সলিংকরণ, কবরস্থান সংস্কার ও ড্রেন সংস্কারের কাজ।
ওইসব কাজের মধ্যে ১১ নং ওয়ার্ডের পুরাতন মাছ বাজার ও খাসির মাংস বাজারের টিনের ছাউনি, পান বাজারের ড্রেনসহ স্লাব নির্মাণ ও ১২ নং ওয়ার্ডে বয়েজ স্কাউটের ঘর সংস্কার কাজ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাসি ও মাছ বাজারের ছাউনিতে নিম্নমানের টিন ব্যবহার করা হয়েছে।
পান বাজারে ৮০ মিটার ড্রেন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও কাজ করা হয়েছে প্রায় ১৫ মিটারের। ড্রেনে নতুন স্লাবের জায়গায় পুরাতন স্লাব ব্যবহার করা হয়েছে। বয়েজ ক্লাবের ঘর সংস্কার কাজে দেখা যায় পুরাতন ইটের ব্যবহার। এমনকি যাদের প্রকল্প চেয়ারম্যান করা হয়েছে তারাও জানে না কোন মানের নির্মাণসামগ্রী কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কথা হয় পুরাতন মাছ বাজার সংস্কার কাজের প্রকল্প চেয়ারম্যান সৈয়দ আফতাব হোসেনের সঙ্গে। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রকল্পের নির্মাণসামগ্রীর কোনো কিছু তিনি কিনেননি। প্রকল্পের মালামাল কিনেছে তার ভাই পৌরসভার নৈশপ্রহরী সৈয়দ আনছার আলী।
পান বাজারের ড্রেন ও স্লাব এবং মাছ ও খাসির মাংস বাজারের টিনের ছাউনি নির্মাণ প্রকল্পের চেয়ারম্যান মো. খালিদ হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি পৌরসভার অস্থায়ী কর্মচারী। বাজারে টোল আদায় করেন। নির্মাণসামগ্রী কেনার বিষয়ে তার সাফ জবাব, নির্মাণসামগ্রী কিনেছেন পৌরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল খালেক। এমনকি তিনি কোন কোন কাজের প্রকল্প চেয়ারম্যান তাও নির্দিষ্ট করে বলতে পারেন না। বয়েজ স্কাউটসের ঘরের সংস্কার কাজ সরেজমিনে দেখতে গেলে দেখা যায়, সেখানে প্রকল্প চেয়ারম্যান কাইয়ুম খানের পরিবর্তে কাজ করছেন সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল খালেক সাবু। সেই কাজে নতুন ইটের বদলে পুরাতন ইট ব্যবহার করা হচ্ছে।
কাজের অনিয়ম বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নূর-ই-আলম সিদ্দিকী ফোন রিসিভ না করায় তার হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ পাঠানো হয়। তিনি সেটিরও উত্তর দেননি।
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫
নীলফামারীর সৈয়দপুরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পে (টিআর) হরিলুটের অভিযোগ মিলেছে। এটি ঘটেছে সৈয়দপুর পৌর এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডের প্রকল্পে। প্রকল্পের সভাপতি করা হয়েছে পৌরসভার টোল আদায়কারী, গাড়িচালক ও নৈশপ্রহরীর ভাইকে। এসব প্রকল্প ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের।
অভিযোগ রয়েছে, পৌরসভার কয়েকজন স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারি সিন্ডিকেট করে এমন অনিয়ম করছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দকৃত অর্থের অর্ধেক টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। অবশিষ্ট টাকাও শিগগির উত্তোলন করতে চলছে দৌড়ঝাপ।
পৌর এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডে ২৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ৫৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯১৭ টাকা। ওইসব প্রকল্পের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৩২ হাজার ৯১৭ টাকা হতে সর্বনিম্ন এক লাখ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ করা হয়েছে।
বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো হলো সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ঘর সংস্কার, স্লাবসহ ড্রেন নির্মাণ, গ্যারেজের ফ্লোর ঢালাই, মাছ ও খাসির মাংসের বাজারের টিনের ছাউনি পরিবর্তন, পুকুরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, গলি রাস্তা সিসি করণ, ডাস্টবিন নির্মাণ, ড্রেনের মাটি ও আবর্জনা পরিষ্কার, পানির লাইন সংস্কার, রাস্তা উঁচু ও সলিংকরণ, কবরস্থান সংস্কার ও ড্রেন সংস্কারের কাজ।
ওইসব কাজের মধ্যে ১১ নং ওয়ার্ডের পুরাতন মাছ বাজার ও খাসির মাংস বাজারের টিনের ছাউনি, পান বাজারের ড্রেনসহ স্লাব নির্মাণ ও ১২ নং ওয়ার্ডে বয়েজ স্কাউটের ঘর সংস্কার কাজ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাসি ও মাছ বাজারের ছাউনিতে নিম্নমানের টিন ব্যবহার করা হয়েছে।
পান বাজারে ৮০ মিটার ড্রেন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও কাজ করা হয়েছে প্রায় ১৫ মিটারের। ড্রেনে নতুন স্লাবের জায়গায় পুরাতন স্লাব ব্যবহার করা হয়েছে। বয়েজ ক্লাবের ঘর সংস্কার কাজে দেখা যায় পুরাতন ইটের ব্যবহার। এমনকি যাদের প্রকল্প চেয়ারম্যান করা হয়েছে তারাও জানে না কোন মানের নির্মাণসামগ্রী কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কথা হয় পুরাতন মাছ বাজার সংস্কার কাজের প্রকল্প চেয়ারম্যান সৈয়দ আফতাব হোসেনের সঙ্গে। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রকল্পের নির্মাণসামগ্রীর কোনো কিছু তিনি কিনেননি। প্রকল্পের মালামাল কিনেছে তার ভাই পৌরসভার নৈশপ্রহরী সৈয়দ আনছার আলী।
পান বাজারের ড্রেন ও স্লাব এবং মাছ ও খাসির মাংস বাজারের টিনের ছাউনি নির্মাণ প্রকল্পের চেয়ারম্যান মো. খালিদ হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি পৌরসভার অস্থায়ী কর্মচারী। বাজারে টোল আদায় করেন। নির্মাণসামগ্রী কেনার বিষয়ে তার সাফ জবাব, নির্মাণসামগ্রী কিনেছেন পৌরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল খালেক। এমনকি তিনি কোন কোন কাজের প্রকল্প চেয়ারম্যান তাও নির্দিষ্ট করে বলতে পারেন না। বয়েজ স্কাউটসের ঘরের সংস্কার কাজ সরেজমিনে দেখতে গেলে দেখা যায়, সেখানে প্রকল্প চেয়ারম্যান কাইয়ুম খানের পরিবর্তে কাজ করছেন সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল খালেক সাবু। সেই কাজে নতুন ইটের বদলে পুরাতন ইট ব্যবহার করা হচ্ছে।
কাজের অনিয়ম বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নূর-ই-আলম সিদ্দিকী ফোন রিসিভ না করায় তার হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ পাঠানো হয়। তিনি সেটিরও উত্তর দেননি।