কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে চোরাই শিকারীরা স্থানীয় অভয়ারণ্য বনের একটি হরিণ শিকার করে হরিণ জবাই দিয়ে মাংস ভাগবাঁটোয়ারা করে নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানান, গত ৪ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে হারবাং অভয়ারণ্য বনবিটের নলবনিয়া নামক বনাঞ্চল থেকে কতিপয় শিকারী চক্র কৌশলে ফাঁদ পেতে একটি হরিণ ধরে ফেলে।
পরে হরিণটি সেখান থেকে আব্দুস সালাম নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জবাই করে একটি চক্র মাংস ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়ে যায়। এ সময় কেউ একজন হরিণ এবং জবাইয়ের পর মাংসের ছবি তুলে তা সোমবার ৭ এপ্রিল সকালের দিকে হাতবদল হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
স্থানীয় লোকজন থেকে বিষয়টি শুনে হরিণটি ধরা পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে হারবাং অভয়ারণ্য বনবিট কর্মকর্তা কবির আহম্মেদ দ্রুত ঘটনাস্থলে উজ্জল ভাওয়াল ও লিটনসহ চারজন বনরক্ষীকে সেখানে পাঠান। কিন্তু বনরক্ষীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হরিণ শিকারের বিষয়ে সত্যতা পেলেও রহস্যজনক কারণে জবাইকৃত হরিণের মাংস জব্দ কিংবা কোন ধরনের আলামত সংগ্রহ না করে ঘটনাস্থল থেকে ফিরে যান বনকর্মীরা।
পরে এলাকাবাসীর কাছ থেকে বিষয়টি অবগত হয়ে সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে জানা যায়, হারবাং অভয়ারণ্য বনবিটের নলবনিয়া পাহাড়ের পাশে ধান চাষ করেন হারবাং ইউনিয়নের একাধিক কৃষক।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের আওতাধীন চুনতি অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা বাহার উদ্দিনকে ঘটনার বিষয়ে ওইদিনই ঘটনাস্থলে যাওয়া সাংবাদিকরা অবগত করলে তিনি পুনরায় ঘটনাস্থলে পাঠান হারবাং অভয়ারণ্য বনবিট কর্মকর্তা কবির আহমেদকে। ততক্ষণে শিকারীরা হরিণের মাংস ভাগবাঁটোয়ারা করে যার যার বাড়িতে নিয়ে যায়।
এ সময় আলামত হিসেবে মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মো. মিরানের বাড়ির আঙিনার যে স্থানে হরিণটিকে জবাই করা হয়েছিল সেখান থেকে রক্তমাখা মাটি ও হরিণ জবাইয়ে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করে বনবিট কর্মকর্তা নিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ ব্যাপারে চুনতি অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা বাহার উদ্দিন বলেন, হরিণ শিকারের ঘটনাটি আমরা অবগত আছি। এ কাজে জড়িতদের পরিচয় শনাক্ত করতে আমাদের অনুসন্ধান চলছে।
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে চোরাই শিকারীরা স্থানীয় অভয়ারণ্য বনের একটি হরিণ শিকার করে হরিণ জবাই দিয়ে মাংস ভাগবাঁটোয়ারা করে নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানান, গত ৪ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে হারবাং অভয়ারণ্য বনবিটের নলবনিয়া নামক বনাঞ্চল থেকে কতিপয় শিকারী চক্র কৌশলে ফাঁদ পেতে একটি হরিণ ধরে ফেলে।
পরে হরিণটি সেখান থেকে আব্দুস সালাম নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জবাই করে একটি চক্র মাংস ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়ে যায়। এ সময় কেউ একজন হরিণ এবং জবাইয়ের পর মাংসের ছবি তুলে তা সোমবার ৭ এপ্রিল সকালের দিকে হাতবদল হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
স্থানীয় লোকজন থেকে বিষয়টি শুনে হরিণটি ধরা পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে হারবাং অভয়ারণ্য বনবিট কর্মকর্তা কবির আহম্মেদ দ্রুত ঘটনাস্থলে উজ্জল ভাওয়াল ও লিটনসহ চারজন বনরক্ষীকে সেখানে পাঠান। কিন্তু বনরক্ষীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হরিণ শিকারের বিষয়ে সত্যতা পেলেও রহস্যজনক কারণে জবাইকৃত হরিণের মাংস জব্দ কিংবা কোন ধরনের আলামত সংগ্রহ না করে ঘটনাস্থল থেকে ফিরে যান বনকর্মীরা।
পরে এলাকাবাসীর কাছ থেকে বিষয়টি অবগত হয়ে সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে জানা যায়, হারবাং অভয়ারণ্য বনবিটের নলবনিয়া পাহাড়ের পাশে ধান চাষ করেন হারবাং ইউনিয়নের একাধিক কৃষক।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের আওতাধীন চুনতি অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা বাহার উদ্দিনকে ঘটনার বিষয়ে ওইদিনই ঘটনাস্থলে যাওয়া সাংবাদিকরা অবগত করলে তিনি পুনরায় ঘটনাস্থলে পাঠান হারবাং অভয়ারণ্য বনবিট কর্মকর্তা কবির আহমেদকে। ততক্ষণে শিকারীরা হরিণের মাংস ভাগবাঁটোয়ারা করে যার যার বাড়িতে নিয়ে যায়।
এ সময় আলামত হিসেবে মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মো. মিরানের বাড়ির আঙিনার যে স্থানে হরিণটিকে জবাই করা হয়েছিল সেখান থেকে রক্তমাখা মাটি ও হরিণ জবাইয়ে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করে বনবিট কর্মকর্তা নিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ ব্যাপারে চুনতি অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা বাহার উদ্দিন বলেন, হরিণ শিকারের ঘটনাটি আমরা অবগত আছি। এ কাজে জড়িতদের পরিচয় শনাক্ত করতে আমাদের অনুসন্ধান চলছে।