হাসপাতালে এখনও তিনজন চিকিৎসাধীন
সাড়ে তিন মাস চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আহত যমজ বোন। দুই বোনকে বিদায় জানান বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা -সংবাদ
রাজধানীর উওরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় আহত যমজ বোন সাড়ে তিন মাস বাদে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বুধবার,(১২ নভেম্বর ২০২৫) সকালে তারা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে বাড়ি ফেরে বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় আছে আরও তিন শিক্ষার্থী। মাইলস্টোনের স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষক খাদিজা আক্তার জানান, বাড়ি ফেরা সারিনাহ জাহান সায়রা ও সাইবাহ জাহান সায়মা চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
নাসির উদ্দিন জানান, ১০ বছর বয়সি সায়রার শরীরের ৩০ শতাংশ এবং সায়মার ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি বলেন, ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক, নার্সসহ অন্য যারা তাদের সেবায় ছিলেন তাদের অনেকেই দুই বোনকে সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান।
গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনের মুখে বিধ্বস্ত হয়।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই বিমান দুর্ঘটনায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়, যাদের বেশির ভাগই শিশু।
বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৫৭ জন এখানে এসেছিল। তাদের মধ্যে ২০ জন মারা যান। একজনকে ট্রমা ম্যানেজমেন্টের জন্য মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ‘সর্বশেষ দুই বোনসহ মোট ৩৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেলেন। তিনজন এখন আছেন, তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।’
মাইলস্টোনের দুর্ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি গত ৫ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণার্থী পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটির কারণে বিমান বিধ্বস্ত ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
হাসপাতালে এখনও তিনজন চিকিৎসাধীন
সাড়ে তিন মাস চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আহত যমজ বোন। দুই বোনকে বিদায় জানান বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা -সংবাদ
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
রাজধানীর উওরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় আহত যমজ বোন সাড়ে তিন মাস বাদে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বুধবার,(১২ নভেম্বর ২০২৫) সকালে তারা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে বাড়ি ফেরে বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় আছে আরও তিন শিক্ষার্থী। মাইলস্টোনের স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষক খাদিজা আক্তার জানান, বাড়ি ফেরা সারিনাহ জাহান সায়রা ও সাইবাহ জাহান সায়মা চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
নাসির উদ্দিন জানান, ১০ বছর বয়সি সায়রার শরীরের ৩০ শতাংশ এবং সায়মার ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি বলেন, ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক, নার্সসহ অন্য যারা তাদের সেবায় ছিলেন তাদের অনেকেই দুই বোনকে সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান।
গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনের মুখে বিধ্বস্ত হয়।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই বিমান দুর্ঘটনায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়, যাদের বেশির ভাগই শিশু।
বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৫৭ জন এখানে এসেছিল। তাদের মধ্যে ২০ জন মারা যান। একজনকে ট্রমা ম্যানেজমেন্টের জন্য মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ‘সর্বশেষ দুই বোনসহ মোট ৩৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেলেন। তিনজন এখন আছেন, তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।’
মাইলস্টোনের দুর্ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি গত ৫ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণার্থী পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটির কারণে বিমান বিধ্বস্ত ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল।