মামলা করে উল্টো হুমকির মুখে পড়েছে এক পরিবার। রাজশাহীর পুঠিয়ার কান্দ্রা দুদুর মোড়ের বাসিন্দা বাদী মাসুমা সুলতানার পরিবার এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। যেকোন মুহূর্তে প্রতিপক্ষ তাদের হত্যা করতে পারে এমন আশঙ্কাও করছেন। এ ঘটনায় তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৫ এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বুধবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, তাদের বাড়ির পাশে একটি জমির আইলে ইসাহাক আলী জোরপূর্বক গাছ লাগিয়ে দখল নিতে চায়। মাসুমা সুলতানার স্বামী মিজানুর রহমান এতে বাধা দিতে যাওয়া নিয়ে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। গত ১ জুন মিজানুর রহমান তার জমিতে গেলে ইসাহাক, তার ছেলে তানভির রোমান হৃদয় এবং মোজাহার মোল্লা মিজানুর রহমানকে বেদম মারপিট করে। পরে মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মিজানুর রহমানের স্ত্রী মাসুমা সুলতানা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করলে আদালত ইসাহাক ও মোজাহার মোল্লার জামিন দেন এবং হৃদয়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে জামিন পেয়ে হৃদয় ও তার সহযোগীরা মিলে আবারও মিজানুর রহমানের ওপর হামলা করে। পাশাপাশি চাঁদা দাবি করে তারা। এ ঘটনায় গত ১৮ জুলাই আবারও মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীর পরিবার। এ মামলায় হৃদয় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জামিন দেয়।
এদিকে ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা মাসুমা সুলতানা অভিযোগ করেন, জামিনে আসার পর প্রতিপক্ষরা নানা ধরনের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার অভিযোগ তার এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। প্রতিপক্ষরা ছেলে সন্তানকে টার্গেট করে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। যেকোন মুহূর্তে তারা পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তিনি বলেন, আমরা এখন চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। আদালতে আত্মসমর্পণ করেই জামিন পাওয়ার কারণেই সে এত বেপরোয়া আচরণ করছে। আদালত তার ব্যাপারে কঠোর হলেই তার এ আচরণ থাকবে না বলে মনে করেন তিনি। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, আসামিরা এলাকায় সংঘবদ্ধভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। সন্ত্রাসী বাহিনী প্রশাসন ও আদালতের চোখে ধুলো দিয়ে এলাকা চালিয়ে যাচ্ছেন চঁাঁদাবাজি, হত্যা চেষ্টা, মানুষের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া, জমি দখলসহ ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট আবু তালেবের আত্মীয় পরিচয়ে এসব কর্মকান্ড চালাচ্ছে। এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে আসামিরা জামিনেও আছে। যদি আসামিরা আবারও এ ধরনের কার্যকলাপ করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ওই পরিবারের খোঁজ খবর আমরা রাখছি। পাশাপাশি আসামি জয়কেও নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।
বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০২২
মামলা করে উল্টো হুমকির মুখে পড়েছে এক পরিবার। রাজশাহীর পুঠিয়ার কান্দ্রা দুদুর মোড়ের বাসিন্দা বাদী মাসুমা সুলতানার পরিবার এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। যেকোন মুহূর্তে প্রতিপক্ষ তাদের হত্যা করতে পারে এমন আশঙ্কাও করছেন। এ ঘটনায় তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৫ এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বুধবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, তাদের বাড়ির পাশে একটি জমির আইলে ইসাহাক আলী জোরপূর্বক গাছ লাগিয়ে দখল নিতে চায়। মাসুমা সুলতানার স্বামী মিজানুর রহমান এতে বাধা দিতে যাওয়া নিয়ে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। গত ১ জুন মিজানুর রহমান তার জমিতে গেলে ইসাহাক, তার ছেলে তানভির রোমান হৃদয় এবং মোজাহার মোল্লা মিজানুর রহমানকে বেদম মারপিট করে। পরে মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মিজানুর রহমানের স্ত্রী মাসুমা সুলতানা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করলে আদালত ইসাহাক ও মোজাহার মোল্লার জামিন দেন এবং হৃদয়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে জামিন পেয়ে হৃদয় ও তার সহযোগীরা মিলে আবারও মিজানুর রহমানের ওপর হামলা করে। পাশাপাশি চাঁদা দাবি করে তারা। এ ঘটনায় গত ১৮ জুলাই আবারও মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীর পরিবার। এ মামলায় হৃদয় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জামিন দেয়।
এদিকে ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা মাসুমা সুলতানা অভিযোগ করেন, জামিনে আসার পর প্রতিপক্ষরা নানা ধরনের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার অভিযোগ তার এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। প্রতিপক্ষরা ছেলে সন্তানকে টার্গেট করে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। যেকোন মুহূর্তে তারা পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তিনি বলেন, আমরা এখন চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। আদালতে আত্মসমর্পণ করেই জামিন পাওয়ার কারণেই সে এত বেপরোয়া আচরণ করছে। আদালত তার ব্যাপারে কঠোর হলেই তার এ আচরণ থাকবে না বলে মনে করেন তিনি। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, আসামিরা এলাকায় সংঘবদ্ধভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। সন্ত্রাসী বাহিনী প্রশাসন ও আদালতের চোখে ধুলো দিয়ে এলাকা চালিয়ে যাচ্ছেন চঁাঁদাবাজি, হত্যা চেষ্টা, মানুষের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া, জমি দখলসহ ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট আবু তালেবের আত্মীয় পরিচয়ে এসব কর্মকান্ড চালাচ্ছে। এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে আসামিরা জামিনেও আছে। যদি আসামিরা আবারও এ ধরনের কার্যকলাপ করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ওই পরিবারের খোঁজ খবর আমরা রাখছি। পাশাপাশি আসামি জয়কেও নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।