ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত দুদিনব্যাপী গবেষণা-প্রকাশনা মেলার পর্দা নেমেছে। গতকাল রোববার (২৩ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্টার প্রবীর কুমার সরকার।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গবেষণা-প্রকাশনা মেলা সফলভাবে আয়োজনের ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সংস্কৃতি তৈরি এবং নতুন শতকে বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই মেলা কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উপাচার্য বলেন, প্রতিবছর নিয়মিতভাবে এই মেলা আয়োজনের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত কবিতা, রচনা ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা এবং প্রত্যেক জার্নালের বিশেষ সংখ্যার শ্রেষ্ঠ আর্টিক্যাল লেখককে সনদ, ক্রেস্ট ও প্রাইজ মানি প্রদান করা হয়। এছাড়া, প্রত্যেক অনুষদ, ইনস্টিটিউট এবং সেন্টারের পোস্টার সমূহ থেকে নির্বাচিত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোস্টার উপস্থাপনকারীকেও পুরস্কার দেওয়া হয়।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
দুদিনব্যাপী এই মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা সেন্টারের উদ্ভাবন, গবেষণা এবং প্রকাশনা তুলে ধরা হয়। মেলায় বিভিন্ন অনুষদের ১০টি ইনস্টিটিউটের একটি, প্রকাশনা সংস্থার জন্য একটি এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলোর জন্য একটিসহ মোট ১৩টি প্যাভিলিয়নের আয়োজন করা হয়।
এ মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত প্রকাশনাসহ উল্লেখযোগ্য প্রকাশনাসমূহ (যেমন: গ্রন্থ জার্নালের বিশেষ সংখ্যা, গবেষণা প্রকল্প, পোস্টার, ফায়ার, ব্রশিয়ার) প্রদর্শন ও উপস্থাপন হয়। এছাড়া ৫৫টি গ্রন্থ, ২৬টি বিশেষ জার্নাল, ২১৬টি গবেষণা প্রজেক্ট, ৬২৪টি পোস্টার এবং ৮৬টি ফ্লাইয়ার/প্রুশিয়ার মেলায় স্থান পায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান প্রজন্মকে সুদক্ষ কর্মীবাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের রপ্তানি খাতকে বহুমুখী করতে হবে। গবেষকদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য তিনি শিল্প মালিক ও অ্যালামনাইদের প্রতি আহ্বান জানান।
সম্মাননীয় অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী কর্মদক্ষ ও যুগোপযোগী গ্র্যাজুয়েট তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে একাডেমিক মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ফান্ড প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার জন্য তিনি অ্যালামনাইদের প্রতি আহ্বান জানান।
রোববার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত দুদিনব্যাপী গবেষণা-প্রকাশনা মেলার পর্দা নেমেছে। গতকাল রোববার (২৩ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্টার প্রবীর কুমার সরকার।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গবেষণা-প্রকাশনা মেলা সফলভাবে আয়োজনের ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সংস্কৃতি তৈরি এবং নতুন শতকে বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই মেলা কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উপাচার্য বলেন, প্রতিবছর নিয়মিতভাবে এই মেলা আয়োজনের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত কবিতা, রচনা ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা এবং প্রত্যেক জার্নালের বিশেষ সংখ্যার শ্রেষ্ঠ আর্টিক্যাল লেখককে সনদ, ক্রেস্ট ও প্রাইজ মানি প্রদান করা হয়। এছাড়া, প্রত্যেক অনুষদ, ইনস্টিটিউট এবং সেন্টারের পোস্টার সমূহ থেকে নির্বাচিত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোস্টার উপস্থাপনকারীকেও পুরস্কার দেওয়া হয়।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
দুদিনব্যাপী এই মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা সেন্টারের উদ্ভাবন, গবেষণা এবং প্রকাশনা তুলে ধরা হয়। মেলায় বিভিন্ন অনুষদের ১০টি ইনস্টিটিউটের একটি, প্রকাশনা সংস্থার জন্য একটি এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলোর জন্য একটিসহ মোট ১৩টি প্যাভিলিয়নের আয়োজন করা হয়।
এ মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত প্রকাশনাসহ উল্লেখযোগ্য প্রকাশনাসমূহ (যেমন: গ্রন্থ জার্নালের বিশেষ সংখ্যা, গবেষণা প্রকল্প, পোস্টার, ফায়ার, ব্রশিয়ার) প্রদর্শন ও উপস্থাপন হয়। এছাড়া ৫৫টি গ্রন্থ, ২৬টি বিশেষ জার্নাল, ২১৬টি গবেষণা প্রজেক্ট, ৬২৪টি পোস্টার এবং ৮৬টি ফ্লাইয়ার/প্রুশিয়ার মেলায় স্থান পায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান প্রজন্মকে সুদক্ষ কর্মীবাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের রপ্তানি খাতকে বহুমুখী করতে হবে। গবেষকদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য তিনি শিল্প মালিক ও অ্যালামনাইদের প্রতি আহ্বান জানান।
সম্মাননীয় অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী কর্মদক্ষ ও যুগোপযোগী গ্র্যাজুয়েট তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে একাডেমিক মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ফান্ড প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার জন্য তিনি অ্যালামনাইদের প্রতি আহ্বান জানান।