২৬ মার্চ মঙ্গলবার থেকে ঈদ পর্যন্ত মতিঝিলে সর্বশেষ মেট্রোরেল ছেড়ে যাবে ৯টা ৪০ মিনিটে। অন্যদিকে উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছেড়ে যাবে ৯টা ২০ মিনিটে। রমজান মাসের শেষার্ধে মেট্রোরেলের যাত্রী বাড়ার আশায় এমন উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
আগে থেকে জানিয়ে রাখা এ উদ্যোগের কথা সোমবার (২৫ মার্চ) মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কর্তৃপক্ষ বলেন, ১৬তম রোজার দিন তথা কাল থেকে উভয়দিক থেকে ‘এক ঘণ্টা’ বেশি চলবে মেট্রোরেল।
বর্তমানে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলছে। মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছেড়ে যায় রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ও উত্তরা থেকে ট্রেন ছেড়ে আসে ৮টা ২০ মিনিটে।
ডিএমটিসিএল জানায়, আগামীকাল থেকে বাড়তি সময়ে ১২ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে। ফলে চলাচলরত ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে ১০টি। বর্তমানে দিনে ১৮৪ বার ট্রেন চলে। এখন সময় বাড়লে চলবে ১৯৪ বার।
রোজা শুরুর পর মেট্রোর যাত্রী কমেছে বলে ডিএমটিসিএল জানায়। সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, রোজা শুরুর আগের ১৫ দিন প্রতিদিন গড়ে পৌনে তিন লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছে। আর রোজা শুরুর পর দিনে গড়ে ২ লাখ ৩৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে।
তবে মেট্রোরেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, রোজার শেষ অর্ধে যাত্রীর চাপ বাড়বে। একই সঙ্গে সার্ভিস টাইম বাড়লে যাত্রীসংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। তখন রোজার আগের মতো যাত্রীর সংখ্যা হবে বা এর চেয়েও বেশি হতে পারে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।
ঈদের পর বিরতি কমতে পারে
রোজা ঈদের পরও বাড়তি যাত্রী অব্যাহত থাকলে দুই ট্রেনের মধ্যে নির্ধারিত বিরতির সময় ‘কমিয়ে আনার’ উদ্যোগ নেয়া হবে বলে ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে। সংস্থাটি জানায়, ‘এপ্রিল মাসের মধ্যেই’ দুই ট্রেনের বিরতি সময় কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হতে পারে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক বলেন, তারা মেট্রোরেল চালুর পর থেকেই যাত্রী চলাচলের ধরন নিয়ে ‘বিশ্লেষণ করছেন’। ‘প্রয়োজন অনুসারে’ দুই ট্রেনের সময় কমিয়ে আনছেন।
ঢাকার প্রথম মেট্রোরেলে (এমআরটি লাইন-৬) দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী চলাচল করার সক্ষমতা রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। এ হিসেবে প্রতি চার মিনিট পরপর ট্রেন চালানোর সক্ষমতা আছে তাদের। এর জন্য প্রয়োজনীয় ২৪ সেট ট্রেনও রয়েছে। ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, আগামী জুনের মধ্যে ‘সর্বোচ্চ সক্ষমতায়’ মেট্রোরেল চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে যাত্রী আশানুরূপ না বাড়লে সর্বোচ্চ সক্ষমতায় মেট্রোরেল চালানো যাবে কিনা, এ নিয়ে সংশয়ও রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
ডিএমটিসিএলের এমডি সিদ্দিকও বলেন, তারা সরকার থেকে কোনো ভর্তুকি নিচ্ছেন না। নিজেদের আয়ে চলছেন। ‘মেট্রোরেল পরিচালনা ও বিদ্যুতের খরচ ওঠানো গুরুত্বপূর্ণ। যাত্রী না বাড়িয়ে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালে লোকসান গুনতে হবে’, বলেন তিনি।
সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
২৬ মার্চ মঙ্গলবার থেকে ঈদ পর্যন্ত মতিঝিলে সর্বশেষ মেট্রোরেল ছেড়ে যাবে ৯টা ৪০ মিনিটে। অন্যদিকে উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছেড়ে যাবে ৯টা ২০ মিনিটে। রমজান মাসের শেষার্ধে মেট্রোরেলের যাত্রী বাড়ার আশায় এমন উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
আগে থেকে জানিয়ে রাখা এ উদ্যোগের কথা সোমবার (২৫ মার্চ) মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কর্তৃপক্ষ বলেন, ১৬তম রোজার দিন তথা কাল থেকে উভয়দিক থেকে ‘এক ঘণ্টা’ বেশি চলবে মেট্রোরেল।
বর্তমানে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলছে। মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছেড়ে যায় রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ও উত্তরা থেকে ট্রেন ছেড়ে আসে ৮টা ২০ মিনিটে।
ডিএমটিসিএল জানায়, আগামীকাল থেকে বাড়তি সময়ে ১২ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে। ফলে চলাচলরত ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে ১০টি। বর্তমানে দিনে ১৮৪ বার ট্রেন চলে। এখন সময় বাড়লে চলবে ১৯৪ বার।
রোজা শুরুর পর মেট্রোর যাত্রী কমেছে বলে ডিএমটিসিএল জানায়। সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, রোজা শুরুর আগের ১৫ দিন প্রতিদিন গড়ে পৌনে তিন লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছে। আর রোজা শুরুর পর দিনে গড়ে ২ লাখ ৩৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে।
তবে মেট্রোরেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, রোজার শেষ অর্ধে যাত্রীর চাপ বাড়বে। একই সঙ্গে সার্ভিস টাইম বাড়লে যাত্রীসংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। তখন রোজার আগের মতো যাত্রীর সংখ্যা হবে বা এর চেয়েও বেশি হতে পারে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।
ঈদের পর বিরতি কমতে পারে
রোজা ঈদের পরও বাড়তি যাত্রী অব্যাহত থাকলে দুই ট্রেনের মধ্যে নির্ধারিত বিরতির সময় ‘কমিয়ে আনার’ উদ্যোগ নেয়া হবে বলে ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে। সংস্থাটি জানায়, ‘এপ্রিল মাসের মধ্যেই’ দুই ট্রেনের বিরতি সময় কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হতে পারে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক বলেন, তারা মেট্রোরেল চালুর পর থেকেই যাত্রী চলাচলের ধরন নিয়ে ‘বিশ্লেষণ করছেন’। ‘প্রয়োজন অনুসারে’ দুই ট্রেনের সময় কমিয়ে আনছেন।
ঢাকার প্রথম মেট্রোরেলে (এমআরটি লাইন-৬) দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী চলাচল করার সক্ষমতা রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। এ হিসেবে প্রতি চার মিনিট পরপর ট্রেন চালানোর সক্ষমতা আছে তাদের। এর জন্য প্রয়োজনীয় ২৪ সেট ট্রেনও রয়েছে। ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, আগামী জুনের মধ্যে ‘সর্বোচ্চ সক্ষমতায়’ মেট্রোরেল চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে যাত্রী আশানুরূপ না বাড়লে সর্বোচ্চ সক্ষমতায় মেট্রোরেল চালানো যাবে কিনা, এ নিয়ে সংশয়ও রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
ডিএমটিসিএলের এমডি সিদ্দিকও বলেন, তারা সরকার থেকে কোনো ভর্তুকি নিচ্ছেন না। নিজেদের আয়ে চলছেন। ‘মেট্রোরেল পরিচালনা ও বিদ্যুতের খরচ ওঠানো গুরুত্বপূর্ণ। যাত্রী না বাড়িয়ে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালে লোকসান গুনতে হবে’, বলেন তিনি।