সাড়ে ৬ কোটি টাকার টেন্ডার ভাগাভাগির দ্বন্ধ
মাদারীপুরে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের সাড়ে ৬ কোটি টাকার টেন্ডার ভাগাভাগির দ্বন্ধে ৪৮৩ জন ঠিকাদার সিডিউল জমা দিতে পারেনি। ভয়ভীতি উপেক্ষা করে মাত্র ২২ জন ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ে সিডিউল জমা দিতে পেরেছেন। বাকীদের জমা দিতে দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন ছিল নিরবতার ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ ঠিকাদারেরা।
স্থানীয় ও মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের’ অধীনে মাদারীপুর সদর উপজেলায় পাঁচটি প্যাকেজে প্রতি প্যাকেজে ৭ টি ঘর নির্মাণ ব্যয় বাবদ ১ কোট ৩২ লাখ ৬ হাজার ৮’শ ১৬ টাকা করে ৬ কোটি ৬০ লাখ ৩৪ হাজার ৮০ টাকার টেন্ডার চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি আহবান করে সদর উপজেলা প্রশসান। টেন্ডারে অংশগ্রহণ করার জন্য ৫০৫ টি সিডিউল বিক্রি হয়। সোমবার (১১ মার্চ) ছিল সিডিউল জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিন।
এই টেন্ডারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের একটি ঠিকাদারী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী শাজাহান হাওলাদারকে কাজটি পাইয়ে দেওয়ার জন্য সকাল থেকেই উপজেলা নির্বাহীর কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। পরে সাধারণ ঠিকাদাররা সিডিউল জমা দিতে গেলেই শাজাহান হাওলাদার সমর্থিত স্থানীয় নেতাকর্মীরা সাধারণ ঠিকাদারদের মারধর করে। এমনকি সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান ও দুধখালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর খানকেও সিডিউল জমা দিতে দেয়নি শাজাহান হাওলাদার সমর্থিত ঠিকাদার সিন্ডিকেটের লোকজন ও নেতাকর্মীরা।
মাদারীপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইদুল বাশার টফি ইউএনও কার্যালয়ে সিডিউল জমা দিতে গেলে তাকে বাঁধা দেয়। পরে তিনি অনেকটা জোর করেই সিডিউল জমা দিলেও তার কাছে থেকে একটি সাদা কাগজে ওই ঠিকাদার সিন্ডিকেট গ্রুপ সিডিউল তুলে নেওয়ার একটি লিখিত কাগজ সই করিয়ে নেয়। এমন ভীতিকর পরিস্থিতিতে ৫০৫ টি সিডিউল বিক্রি হলেও মাত্র ২২ জন ঠিকাদার সিডিউল জমা প্রদান করেন। পরের দিন ১২ মার্চ সকালে টেন্ডারের কাজটি নিজের কব্জায় নিতে শাজাহান হাওলাদার যে ২২ টি সিডিউল জমা পড়েছে সেই ঠিকাদারগণের সাথে আপোষ করতে একাধিকবার তার নিজ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে বসেন। এই ঘটনায় সাধারণ ঠিকাদারা ক্ষুব্ধ।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ঠিকাদার বলেছেন, বীর নিবাস প্রকল্পের টেন্ডারের জন্য পে-অর্ডার কেটেছি। সিডিউল কিনেছি। কিন্তু আমরা টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করতে পারলাম না। আমরা সকল কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা অফিসে আসলেও আমাদেরকে দোতলায় ঢুকতেই দেয়নি গুটি কয়েকজন ঠিকাদার মিলে যে সিন্ডিকেট তৈরী করেছে তারা। এমনকি তাদের ভাড়া করা কয়েকজন নেতাকর্মী ও উচ্ছ্বংখল ছেলেরা সাধারণ ঠিকাদারদের মারধরও করেছে। ফলে ভয়ে ও আতংকে অনেকে সিডিউল জমা না দিয়ে চলে যায়।
সিডিউল জমা না দেওয়ায় অনেক ঠিকাদারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই বিষয়ে মস্তফাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান বলেন, ‘আমি উপজেলায় পিআইও অফিসের বীর নিবাস প্রজেক্টের টেন্ডারের কাগজপত্র জমা দিতে সঠিক সময়ে এসেছি। কিন্তু আমাকে এখানকার কিছু লোকজ টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে দেয়নি। সিডিউলই জমা দিতে পারিনি। অথচ এই প্রকল্পের একটি প্যাকেজ আমার মস্তফাপুর ইউনিয়নে রয়েছে।’
একই কথা বললেন দুধখালি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর খান। তিনি বললেন, ‘সোমবার সকালে এসেছিলাম বীর নিবাসের টেন্ডারে অংশ নিতে। কিন্তু সিডিউল জমা দিতে দেয়নি এই উপজেলা পরিষদের পাশের কিছু ঠিকাদারের বাড়ি ঘর। তারা প্রভাব বিস্তার করে আমাকে সিডিউল জমা দিতে দেয়নি।’
মাদারীপুর পৌর কাউন্সিলর সাইদুল বাশার টফি বলেন, ‘আমি সিডিউল জমা দিতে পারলেও পরবর্তীতে আমি একটি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। এই বিষয়টি নিয়ে আপাতত আমি আর কিছু বলতে চাই না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঠিকাদার বলেন, ‘ সিডিউল জমা দেওয়ার সময়ে পুলিশ অথবা ইউএনও কোন সাহায্য পাইনি। এই টেন্ডার দ্রুত বাতিল করে নতুন করে আবার টেন্ডার আহবানের দাবী করছি। কারণ এই টেন্ডার প্রক্রিয়াটি এখন বিতর্কিত হয়ে গেছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদারদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়া হোক।’
এই বিষয়ে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, আমরা তো কাউকে টেন্ডার জমা দিতে নিষেধ করিনি। এবং এই টেন্ডার নিয়ে অফিসের বাইরে ঠিকাদাররা নিকো (আপোষ) করবে কি না সেটা তো আমরা বলতে পারব না। আমরা সোমবার যে সকল ঠিকাদাররা সিডিউল জমা দিয়েছে তাদের উপরেই মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি তিনিও বিষয়টি দেখবেন। টেন্ডারে অংশ নিতে বাঁধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রকল্পের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-মামুন বলেন, ‘মারামারি আমার অফিসে হয়নি। অফিসের বাইরে হলেও হতে পারে। ৫০৫ টি সিডিউল বিক্রি হয়েছে সেখানে জমা পড়েছে ২২ টি সিডিউল। আমরা তো সিডিউল জমা দিতে কাউকে নিষেধ করিনি। যারা জমা দিছে তাদের নিয়েই আমরা মূল্যায়ন কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেবো। তবে ঠিকাদারা আরো বেশি সিডিউল জমা দিতে কেন পারেননি সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে এড়িয়ে যান।’
সাড়ে ৬ কোটি টাকার টেন্ডার ভাগাভাগির দ্বন্ধ
মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
মাদারীপুরে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের সাড়ে ৬ কোটি টাকার টেন্ডার ভাগাভাগির দ্বন্ধে ৪৮৩ জন ঠিকাদার সিডিউল জমা দিতে পারেনি। ভয়ভীতি উপেক্ষা করে মাত্র ২২ জন ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ে সিডিউল জমা দিতে পেরেছেন। বাকীদের জমা দিতে দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন ছিল নিরবতার ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ ঠিকাদারেরা।
স্থানীয় ও মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের’ অধীনে মাদারীপুর সদর উপজেলায় পাঁচটি প্যাকেজে প্রতি প্যাকেজে ৭ টি ঘর নির্মাণ ব্যয় বাবদ ১ কোট ৩২ লাখ ৬ হাজার ৮’শ ১৬ টাকা করে ৬ কোটি ৬০ লাখ ৩৪ হাজার ৮০ টাকার টেন্ডার চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি আহবান করে সদর উপজেলা প্রশসান। টেন্ডারে অংশগ্রহণ করার জন্য ৫০৫ টি সিডিউল বিক্রি হয়। সোমবার (১১ মার্চ) ছিল সিডিউল জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিন।
এই টেন্ডারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের একটি ঠিকাদারী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী শাজাহান হাওলাদারকে কাজটি পাইয়ে দেওয়ার জন্য সকাল থেকেই উপজেলা নির্বাহীর কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। পরে সাধারণ ঠিকাদাররা সিডিউল জমা দিতে গেলেই শাজাহান হাওলাদার সমর্থিত স্থানীয় নেতাকর্মীরা সাধারণ ঠিকাদারদের মারধর করে। এমনকি সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান ও দুধখালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর খানকেও সিডিউল জমা দিতে দেয়নি শাজাহান হাওলাদার সমর্থিত ঠিকাদার সিন্ডিকেটের লোকজন ও নেতাকর্মীরা।
মাদারীপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইদুল বাশার টফি ইউএনও কার্যালয়ে সিডিউল জমা দিতে গেলে তাকে বাঁধা দেয়। পরে তিনি অনেকটা জোর করেই সিডিউল জমা দিলেও তার কাছে থেকে একটি সাদা কাগজে ওই ঠিকাদার সিন্ডিকেট গ্রুপ সিডিউল তুলে নেওয়ার একটি লিখিত কাগজ সই করিয়ে নেয়। এমন ভীতিকর পরিস্থিতিতে ৫০৫ টি সিডিউল বিক্রি হলেও মাত্র ২২ জন ঠিকাদার সিডিউল জমা প্রদান করেন। পরের দিন ১২ মার্চ সকালে টেন্ডারের কাজটি নিজের কব্জায় নিতে শাজাহান হাওলাদার যে ২২ টি সিডিউল জমা পড়েছে সেই ঠিকাদারগণের সাথে আপোষ করতে একাধিকবার তার নিজ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে বসেন। এই ঘটনায় সাধারণ ঠিকাদারা ক্ষুব্ধ।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ঠিকাদার বলেছেন, বীর নিবাস প্রকল্পের টেন্ডারের জন্য পে-অর্ডার কেটেছি। সিডিউল কিনেছি। কিন্তু আমরা টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করতে পারলাম না। আমরা সকল কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা অফিসে আসলেও আমাদেরকে দোতলায় ঢুকতেই দেয়নি গুটি কয়েকজন ঠিকাদার মিলে যে সিন্ডিকেট তৈরী করেছে তারা। এমনকি তাদের ভাড়া করা কয়েকজন নেতাকর্মী ও উচ্ছ্বংখল ছেলেরা সাধারণ ঠিকাদারদের মারধরও করেছে। ফলে ভয়ে ও আতংকে অনেকে সিডিউল জমা না দিয়ে চলে যায়।
সিডিউল জমা না দেওয়ায় অনেক ঠিকাদারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই বিষয়ে মস্তফাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান বলেন, ‘আমি উপজেলায় পিআইও অফিসের বীর নিবাস প্রজেক্টের টেন্ডারের কাগজপত্র জমা দিতে সঠিক সময়ে এসেছি। কিন্তু আমাকে এখানকার কিছু লোকজ টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে দেয়নি। সিডিউলই জমা দিতে পারিনি। অথচ এই প্রকল্পের একটি প্যাকেজ আমার মস্তফাপুর ইউনিয়নে রয়েছে।’
একই কথা বললেন দুধখালি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর খান। তিনি বললেন, ‘সোমবার সকালে এসেছিলাম বীর নিবাসের টেন্ডারে অংশ নিতে। কিন্তু সিডিউল জমা দিতে দেয়নি এই উপজেলা পরিষদের পাশের কিছু ঠিকাদারের বাড়ি ঘর। তারা প্রভাব বিস্তার করে আমাকে সিডিউল জমা দিতে দেয়নি।’
মাদারীপুর পৌর কাউন্সিলর সাইদুল বাশার টফি বলেন, ‘আমি সিডিউল জমা দিতে পারলেও পরবর্তীতে আমি একটি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। এই বিষয়টি নিয়ে আপাতত আমি আর কিছু বলতে চাই না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঠিকাদার বলেন, ‘ সিডিউল জমা দেওয়ার সময়ে পুলিশ অথবা ইউএনও কোন সাহায্য পাইনি। এই টেন্ডার দ্রুত বাতিল করে নতুন করে আবার টেন্ডার আহবানের দাবী করছি। কারণ এই টেন্ডার প্রক্রিয়াটি এখন বিতর্কিত হয়ে গেছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদারদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়া হোক।’
এই বিষয়ে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, আমরা তো কাউকে টেন্ডার জমা দিতে নিষেধ করিনি। এবং এই টেন্ডার নিয়ে অফিসের বাইরে ঠিকাদাররা নিকো (আপোষ) করবে কি না সেটা তো আমরা বলতে পারব না। আমরা সোমবার যে সকল ঠিকাদাররা সিডিউল জমা দিয়েছে তাদের উপরেই মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি তিনিও বিষয়টি দেখবেন। টেন্ডারে অংশ নিতে বাঁধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রকল্পের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-মামুন বলেন, ‘মারামারি আমার অফিসে হয়নি। অফিসের বাইরে হলেও হতে পারে। ৫০৫ টি সিডিউল বিক্রি হয়েছে সেখানে জমা পড়েছে ২২ টি সিডিউল। আমরা তো সিডিউল জমা দিতে কাউকে নিষেধ করিনি। যারা জমা দিছে তাদের নিয়েই আমরা মূল্যায়ন কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেবো। তবে ঠিকাদারা আরো বেশি সিডিউল জমা দিতে কেন পারেননি সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে এড়িয়ে যান।’