ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
টেলিগ্রাম অ্যাপসে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া গ্রুপ খুলে বিনিয়োগের ফাঁদে ফেলে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চক্রের মূলহোতা ফারদিন আহমেদ ওরফে প্রতীক ও সহযোগী মো. সাগর আহমেদ। রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের হওয়া দুইটি প্রতারণা মামলার সূত্র ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চগড়ের ধাক্কামারা ও ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা ‘বিদেশি বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম’ নামে টেলিগ্রামে ভুয়া গ্রুপ খুলে অল্প সময়ে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে বিনিয়োগের ফাঁদে ফেলতো।
শুক্রবার,(০৭ নভেম্বর ২০২৫) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বলেন, বিনিয়োগের প্রলোভনে পড়ে কেউ চক্রের ফাঁদে পা দিলে ওই গ্রুপে যুক্ত করা হতো। তখন গ্রুপে প্রতারকদের কিছু সদস্য কীভাবে লাভবান হয়েছে তা জানিয়ে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ পোস্ট দিতো। এতে ভিকটিমরা প্রলুব্ধ হয়ে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হতো এবং চক্রের ফাঁদে পড়তো। এরপর বিভিন্ন তৃতীয় ব্যক্তির নামে খোলা ব্যাংক ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা আত্মসাৎ করা হতো। প্রতারণার শিকার বহু বিনিয়োগকারী এসব ভুয়া গ্রুপে অর্থ বিনিয়োগ করে ইতোমধ্যে সর্বস্ব হারিয়েছেন।
সিআইডির তদন্ত সূত্র জানায়, মূলহোতা ফারদিন আহমেদ টেলিগ্রাম গ্রুপগুলোতে সক্রিয় থেকে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিতো। সে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ৩০টিরও বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট এবং সিমকার্ড নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করতো। অন্যদিকে তার সহযোগী সাগর আহমেদ একটি ফেইক টেলিগ্রাম আইডি ব্যবহার করে নামীয় গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবে কাজ করতো, যার সদস্য সংখ্যা ছিল ৭ জন। তারা অনলাইন বিনিয়োগের নামে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
তদন্ত সূত্রে আরও জানা যায়, প্রতারণার মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ নগদে রূপান্তরের জন্য তারা অভিনব কৌশল ব্যবহার করতো। ফারদিন আহমেদ বিভিন্ন গাড়ির শোরুম থেকে ব্যাংক লেনদেনের মাধ্যমে গাড়ি কিনে পরে তা বিক্রি করে নগদ অর্থ তুলে নিতো। সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেছে প্রতারকরা। গ্রেপ্তারকৃত ফারদিন আহমেদ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তার নিয়ন্ত্রণাধীন অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে প্রায় পাঁচ কোটি টাকারও বেশি অর্থ লেনদেন হয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
টেলিগ্রাম অ্যাপসে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া গ্রুপ খুলে বিনিয়োগের ফাঁদে ফেলে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চক্রের মূলহোতা ফারদিন আহমেদ ওরফে প্রতীক ও সহযোগী মো. সাগর আহমেদ। রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের হওয়া দুইটি প্রতারণা মামলার সূত্র ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চগড়ের ধাক্কামারা ও ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা ‘বিদেশি বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম’ নামে টেলিগ্রামে ভুয়া গ্রুপ খুলে অল্প সময়ে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে বিনিয়োগের ফাঁদে ফেলতো।
শুক্রবার,(০৭ নভেম্বর ২০২৫) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বলেন, বিনিয়োগের প্রলোভনে পড়ে কেউ চক্রের ফাঁদে পা দিলে ওই গ্রুপে যুক্ত করা হতো। তখন গ্রুপে প্রতারকদের কিছু সদস্য কীভাবে লাভবান হয়েছে তা জানিয়ে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ পোস্ট দিতো। এতে ভিকটিমরা প্রলুব্ধ হয়ে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হতো এবং চক্রের ফাঁদে পড়তো। এরপর বিভিন্ন তৃতীয় ব্যক্তির নামে খোলা ব্যাংক ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা আত্মসাৎ করা হতো। প্রতারণার শিকার বহু বিনিয়োগকারী এসব ভুয়া গ্রুপে অর্থ বিনিয়োগ করে ইতোমধ্যে সর্বস্ব হারিয়েছেন।
সিআইডির তদন্ত সূত্র জানায়, মূলহোতা ফারদিন আহমেদ টেলিগ্রাম গ্রুপগুলোতে সক্রিয় থেকে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিতো। সে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ৩০টিরও বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট এবং সিমকার্ড নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করতো। অন্যদিকে তার সহযোগী সাগর আহমেদ একটি ফেইক টেলিগ্রাম আইডি ব্যবহার করে নামীয় গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবে কাজ করতো, যার সদস্য সংখ্যা ছিল ৭ জন। তারা অনলাইন বিনিয়োগের নামে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
তদন্ত সূত্রে আরও জানা যায়, প্রতারণার মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ নগদে রূপান্তরের জন্য তারা অভিনব কৌশল ব্যবহার করতো। ফারদিন আহমেদ বিভিন্ন গাড়ির শোরুম থেকে ব্যাংক লেনদেনের মাধ্যমে গাড়ি কিনে পরে তা বিক্রি করে নগদ অর্থ তুলে নিতো। সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেছে প্রতারকরা। গ্রেপ্তারকৃত ফারদিন আহমেদ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তার নিয়ন্ত্রণাধীন অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে প্রায় পাঁচ কোটি টাকারও বেশি অর্থ লেনদেন হয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি।