যশোরের কেশবপুরে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে ফেরার পথে একদল বখাটে রাস্তা আটকিয়ে কাটাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুলবাসে হামলা চালিয়েছে। এ সময় বখাটেদের হামলায় এক শিক্ষকসহ ৬ ছাত্রী আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ বখাটেকে আটক করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার কাটাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি যাত্রীবাহী বাসযোগে ২০০ শিক্ষার্থীকে করোনা টিকা দেয়ার জন্যে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা হয়।
যাত্রীবাহী বাসটি পাঁজিয়া বাজারে পৌঁছলে নসিমনে বসা এক যাত্রীর সঙ্গে তাদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। বাসটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনা টিকা দেয়া শেষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাটাখালির উদ্দেশে রওনা হয়। দুপুরের দিকে বাসটি পাঁজিয়া বাজারের পূর্ব মাথায় পৌঁছলে সকালের ঘটনার জের ধরে একদল বখাটে বাসটির গতিরোধ করে ওই বাসের ড্রাইভারকে এলোপাতাড়িভাবে পিটুনি দিতে থাকলে শিক্ষক মহেন্দ্র নাথ গাইন ও উজ্জ্বল বৈরাগী ঠেকাতে যান। তাদেরও মারপিট করা হয়। সহকর্মীদের রক্ষায় শিক্ষক রাখী এগিয়ে আসলে তিনি আহত হন। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী ভয়ে বাস ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপর বখাটেরা বাসের ভেতর থাকা ছাত্রীদের চড়, থাপ্পর মারাসহ শ্লীলতাহানি ঘটানো হয়। এতে ড্রাইভার আবুল হোসেন, শিক্ষার্থী জুঁই বিশ্বাস, ইয়াসমিন, প্রিয়া, কেয়া, তহমিনা ও শ্রাবণী আহত হয়।
আহতদের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ বখাটেকে আটক করে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার এসআই তাপস বলেন, ৭৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কাটাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভাড়া করা বাসযোগে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা হয়। ঘটনাটি শুনেই ঘটনাস্থল থেকে বখাটে এখলাস ও খায়রুলকে আটক করা হয়েছে। কাটাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলয় কুমার ব্রহ্ম বলেন, বখাটেরা তাদের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছে। ভয়ে ২০ ছাত্রী জ্ঞান হারায়। এখনও এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২
যশোরের কেশবপুরে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে ফেরার পথে একদল বখাটে রাস্তা আটকিয়ে কাটাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুলবাসে হামলা চালিয়েছে। এ সময় বখাটেদের হামলায় এক শিক্ষকসহ ৬ ছাত্রী আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ বখাটেকে আটক করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার কাটাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি যাত্রীবাহী বাসযোগে ২০০ শিক্ষার্থীকে করোনা টিকা দেয়ার জন্যে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা হয়।
যাত্রীবাহী বাসটি পাঁজিয়া বাজারে পৌঁছলে নসিমনে বসা এক যাত্রীর সঙ্গে তাদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। বাসটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনা টিকা দেয়া শেষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাটাখালির উদ্দেশে রওনা হয়। দুপুরের দিকে বাসটি পাঁজিয়া বাজারের পূর্ব মাথায় পৌঁছলে সকালের ঘটনার জের ধরে একদল বখাটে বাসটির গতিরোধ করে ওই বাসের ড্রাইভারকে এলোপাতাড়িভাবে পিটুনি দিতে থাকলে শিক্ষক মহেন্দ্র নাথ গাইন ও উজ্জ্বল বৈরাগী ঠেকাতে যান। তাদেরও মারপিট করা হয়। সহকর্মীদের রক্ষায় শিক্ষক রাখী এগিয়ে আসলে তিনি আহত হন। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী ভয়ে বাস ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপর বখাটেরা বাসের ভেতর থাকা ছাত্রীদের চড়, থাপ্পর মারাসহ শ্লীলতাহানি ঘটানো হয়। এতে ড্রাইভার আবুল হোসেন, শিক্ষার্থী জুঁই বিশ্বাস, ইয়াসমিন, প্রিয়া, কেয়া, তহমিনা ও শ্রাবণী আহত হয়।
আহতদের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ বখাটেকে আটক করে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার এসআই তাপস বলেন, ৭৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কাটাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভাড়া করা বাসযোগে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা হয়। ঘটনাটি শুনেই ঘটনাস্থল থেকে বখাটে এখলাস ও খায়রুলকে আটক করা হয়েছে। কাটাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলয় কুমার ব্রহ্ম বলেন, বখাটেরা তাদের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছে। ভয়ে ২০ ছাত্রী জ্ঞান হারায়। এখনও এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।