সংবাদ কার্যালয়ে কম্বোডিয়ায় পাচারের শিকার নির্যাতিত যুবক
নির্যাতনের পর পাচারের শিকার ব্যক্তিকে মানব পাচারকারি চক্র এখনো নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। হুমকির ভয়ে আতংকিত হয়ে থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন। এরপরও আতংক কাটেনি।
মানব পাচারের শিকার লক্ষীপুর জেলা সদরের নির্যাতিত নাহিদ হোসাইন শনিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার পল্টনস্থ সংবাদের প্রধান কার্যালয়ে এসে এ সব অভিযোগ করেছেন।
নাহিদ হোসাইন জানান, নানা কষ্টে কম্বোডিয়া থেকে থাইল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরে মানব পাচারকারি চক্রের মূল অভিযুক্ত জাকির হোসেন টিপু, দ্বীন হোম্মদ রাসেলসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে লক্ষীপুর জেলা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়াও স্থানীয় র্যাব অফিসে অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন। এরপরও মানবপাচারকারিরা তাকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। পলাতক মানব পাকারি চক্রের ভয়ে নির্যাতিত যুবক কখনো থানায় আবার কখনো ঢাকায় র্যাব-৩ অফিসে যোগাযোগ করছেন।
নির্যাতিত নাহিদ হোসাইন বলেন, মামলা করলে টাকা খরচ হবে। এ টাকা তার কাছে নেই। থানায় গেলে মামলা করতে বলে। তাহলে হুমকি দেয়ার আসামিকে গ্রেফতার করবে। কিন্তু কম্বোডিয়ায় পাচারের শিকার হয়ে সব কিছু হারিয়ে এখন বিচারের আসায় ধারে ধারে ঘুরছেন। তারপরও কেউ সাহায্য করছে না।
অপর দিকে কম্বোয়িায় মানব পাচার ও ক্রীতদাস হিসেবে ব্যবহার করার ঘটনায় দৈনিক সংবাদে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকায় র্যাব-৩ অফিস থেকে কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে ৩ মানব পাচারকারিকে গ্রেফতার করেছে। তাদের গ্রেফতার ও মানব পাচার এবং কম্বোডিয়ায় পাচারকারিদের আস্তানায় আরও বহু বাংলাদেশী আটকের খবর প্রকাশের পর কম্বোডিয়ায় অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
কম্বোডিয়ার আইন শৃংখলা বাহিনীর অভিযানের কারনে ক্রীতদাস হিসেবে ব্যবহারকারি অনেকেই মুক্তি পেযেছে। অনেকেই আবার আস্তানা ছেড়ে পালিয়েছে। আস্তানা থেকে ছাড়া পাওয়া কয়েকজন এমন তথ্য জানিয়েছে বলে পাচারের শিকার নাহিদ জানিয়েছেন। র্যাব-৩ অফিস থেকে তাদেরকে সহায়তা করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে। শিঘ্রই ক্রীতদাসদের আস্তানা থেকে মুক্তি পাওয়া আরও কয়েকজন দেশে ফিরবে বলে নাহিদ জানিয়েছে। তারাও দেশে ফিরে মানব পাচারকারিদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।
এ দিকে পুলিশের চট্রগ্রাম বিভাগের ডিআইজি সংবাদকে ফোনে জানান,থানায় মামলা করতে কোন টাকা লাগে না। ওই যুবককে থানায় যেতে বলেন। মামলা নিবেন। হয়ত দালার চক্রের খপ্পরে পড়েছেন। এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
সংবাদ কার্যালয়ে কম্বোডিয়ায় পাচারের শিকার নির্যাতিত যুবক
শনিবার, ০১ অক্টোবর ২০২২
নির্যাতনের পর পাচারের শিকার ব্যক্তিকে মানব পাচারকারি চক্র এখনো নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। হুমকির ভয়ে আতংকিত হয়ে থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন। এরপরও আতংক কাটেনি।
মানব পাচারের শিকার লক্ষীপুর জেলা সদরের নির্যাতিত নাহিদ হোসাইন শনিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার পল্টনস্থ সংবাদের প্রধান কার্যালয়ে এসে এ সব অভিযোগ করেছেন।
নাহিদ হোসাইন জানান, নানা কষ্টে কম্বোডিয়া থেকে থাইল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরে মানব পাচারকারি চক্রের মূল অভিযুক্ত জাকির হোসেন টিপু, দ্বীন হোম্মদ রাসেলসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে লক্ষীপুর জেলা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়াও স্থানীয় র্যাব অফিসে অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন। এরপরও মানবপাচারকারিরা তাকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। পলাতক মানব পাকারি চক্রের ভয়ে নির্যাতিত যুবক কখনো থানায় আবার কখনো ঢাকায় র্যাব-৩ অফিসে যোগাযোগ করছেন।
নির্যাতিত নাহিদ হোসাইন বলেন, মামলা করলে টাকা খরচ হবে। এ টাকা তার কাছে নেই। থানায় গেলে মামলা করতে বলে। তাহলে হুমকি দেয়ার আসামিকে গ্রেফতার করবে। কিন্তু কম্বোডিয়ায় পাচারের শিকার হয়ে সব কিছু হারিয়ে এখন বিচারের আসায় ধারে ধারে ঘুরছেন। তারপরও কেউ সাহায্য করছে না।
অপর দিকে কম্বোয়িায় মানব পাচার ও ক্রীতদাস হিসেবে ব্যবহার করার ঘটনায় দৈনিক সংবাদে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকায় র্যাব-৩ অফিস থেকে কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে ৩ মানব পাচারকারিকে গ্রেফতার করেছে। তাদের গ্রেফতার ও মানব পাচার এবং কম্বোডিয়ায় পাচারকারিদের আস্তানায় আরও বহু বাংলাদেশী আটকের খবর প্রকাশের পর কম্বোডিয়ায় অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
কম্বোডিয়ার আইন শৃংখলা বাহিনীর অভিযানের কারনে ক্রীতদাস হিসেবে ব্যবহারকারি অনেকেই মুক্তি পেযেছে। অনেকেই আবার আস্তানা ছেড়ে পালিয়েছে। আস্তানা থেকে ছাড়া পাওয়া কয়েকজন এমন তথ্য জানিয়েছে বলে পাচারের শিকার নাহিদ জানিয়েছেন। র্যাব-৩ অফিস থেকে তাদেরকে সহায়তা করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে। শিঘ্রই ক্রীতদাসদের আস্তানা থেকে মুক্তি পাওয়া আরও কয়েকজন দেশে ফিরবে বলে নাহিদ জানিয়েছে। তারাও দেশে ফিরে মানব পাচারকারিদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।
এ দিকে পুলিশের চট্রগ্রাম বিভাগের ডিআইজি সংবাদকে ফোনে জানান,থানায় মামলা করতে কোন টাকা লাগে না। ওই যুবককে থানায় যেতে বলেন। মামলা নিবেন। হয়ত দালার চক্রের খপ্পরে পড়েছেন। এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।