পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজের ৬০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাছাড়া চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ে জড়িত থাকায় ৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ও ক্যাম্পাসে ভাসমান দোকান বসিয়ে চাঁদা নেওয়ায় প্রক্টরিয়াল টিমের এক সদস্যকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ছয়জনকে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এক সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদের মধ্যে ১৮ জন দুটি সেমিস্টার, ৪০ জন তিনটি সেমিস্টার এবং ২ জন ৪ টি সিমেস্টার পরীক্ষা করে দিতে পারবে না। তাদের অপরাধ ছিল পরীক্ষায় নকল করা। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এছাড়া, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে আটকে রেখে ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগে ৩ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।
গত ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের এক্সটেনশন বিল্ডিং শহীদ শাহনেওয়াজ ছাত্রাবাসে রাজধানীর এক কলেজের শিক্ষার্থীকে চেয়ারের সঙ্গে হাত পা বেঁধে নির্যাতন করে ১০ হাজার টাকা ছিনতাই ও অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাওয়ার কাজে জড়িত থাকায় চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জাহিদ শেখ ও মো. শাহরিন ইসলামকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদেরকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না—এ মর্মে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছিল ভুক্তভোগীর পরিবার।
সিন্ডিকেট সূত্রে আরও জানা যায় — গত জানুয়ারিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক নারী ও তার ভাইকে মারধর ও টাকা ছিনতাই করার অভিযোগে ফলিত গণিত বিভাগের ও ফজলুল হক মুসলিম হলের মো. আযহা ইসলাম, সংগীত বিভাগের ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের মর্তুজা হাসান খান (ফাহিম), মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও ইতিহাস বিভাগের মো. আজিম মাহমুদ তওসিফ এবং সূর্যসেন হল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র মো. রিয়াদ ওরফে রিসাতকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। কেন তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না— এ মর্মে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে এক ব্যবসায়ীকে বাসা থেকে তুলে এনে আটকে রেখে নির্যাতন করায় হাতিরঝিল থানায় মামলা হয়েছিল। এ ঘটনায় জড়িত তিন শিক্ষার্থী মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মোনতাছির হোসাইন এবং ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক উপসম্পাদক আল শাহরিয়ার মাহমুদ ওরফে তানসেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক ও ফিন্যান্স বিভাগের মোহাম্মদ আবুল হাসান সাঈদিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদেরকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে শোকজ করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালে একটি ইংরেজি দৈনিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাসমান দোকান বসিয়ে প্রক্টরিয়াল টিমের চাঁদাবাজি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে প্রশাসন থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রক্টর অফিসের টোকেনম্যান মো. শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদা গ্রহণের পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া শামীম হোসেনের সহযোগী কিষান চন্দ্র দাস, অমিত সরকার, শ্রী শুদর্শন হালদার, মো. মাসুম শেখ, মো. রফিক গাজী এবং মো. মিঠু মীরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সহযোগিতার প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে শোকজ করা হবে। বিষয়টি আরও ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে আরেকটি তদন্ত কমিটি করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বহিষ্কৃত সবার বহিষ্কারের বিষয়টি তাদের স্থানীয় অভিভাবক ও পরিবার এবং সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হবে। এ সময়ে তারা হলে অবস্থান করলে হল প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবে বলে জানান এক সিন্ডিকেট সদস্য।
মঙ্গলবার, ০৫ মার্চ ২০২৪
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজের ৬০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাছাড়া চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ে জড়িত থাকায় ৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ও ক্যাম্পাসে ভাসমান দোকান বসিয়ে চাঁদা নেওয়ায় প্রক্টরিয়াল টিমের এক সদস্যকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ছয়জনকে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এক সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদের মধ্যে ১৮ জন দুটি সেমিস্টার, ৪০ জন তিনটি সেমিস্টার এবং ২ জন ৪ টি সিমেস্টার পরীক্ষা করে দিতে পারবে না। তাদের অপরাধ ছিল পরীক্ষায় নকল করা। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এছাড়া, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে আটকে রেখে ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগে ৩ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।
গত ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের এক্সটেনশন বিল্ডিং শহীদ শাহনেওয়াজ ছাত্রাবাসে রাজধানীর এক কলেজের শিক্ষার্থীকে চেয়ারের সঙ্গে হাত পা বেঁধে নির্যাতন করে ১০ হাজার টাকা ছিনতাই ও অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাওয়ার কাজে জড়িত থাকায় চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জাহিদ শেখ ও মো. শাহরিন ইসলামকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদেরকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না—এ মর্মে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছিল ভুক্তভোগীর পরিবার।
সিন্ডিকেট সূত্রে আরও জানা যায় — গত জানুয়ারিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক নারী ও তার ভাইকে মারধর ও টাকা ছিনতাই করার অভিযোগে ফলিত গণিত বিভাগের ও ফজলুল হক মুসলিম হলের মো. আযহা ইসলাম, সংগীত বিভাগের ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের মর্তুজা হাসান খান (ফাহিম), মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও ইতিহাস বিভাগের মো. আজিম মাহমুদ তওসিফ এবং সূর্যসেন হল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র মো. রিয়াদ ওরফে রিসাতকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। কেন তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না— এ মর্মে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে এক ব্যবসায়ীকে বাসা থেকে তুলে এনে আটকে রেখে নির্যাতন করায় হাতিরঝিল থানায় মামলা হয়েছিল। এ ঘটনায় জড়িত তিন শিক্ষার্থী মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মোনতাছির হোসাইন এবং ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক উপসম্পাদক আল শাহরিয়ার মাহমুদ ওরফে তানসেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক ও ফিন্যান্স বিভাগের মোহাম্মদ আবুল হাসান সাঈদিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদেরকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে শোকজ করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালে একটি ইংরেজি দৈনিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাসমান দোকান বসিয়ে প্রক্টরিয়াল টিমের চাঁদাবাজি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে প্রশাসন থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রক্টর অফিসের টোকেনম্যান মো. শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদা গ্রহণের পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া শামীম হোসেনের সহযোগী কিষান চন্দ্র দাস, অমিত সরকার, শ্রী শুদর্শন হালদার, মো. মাসুম শেখ, মো. রফিক গাজী এবং মো. মিঠু মীরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সহযোগিতার প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে শোকজ করা হবে। বিষয়টি আরও ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে আরেকটি তদন্ত কমিটি করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বহিষ্কৃত সবার বহিষ্কারের বিষয়টি তাদের স্থানীয় অভিভাবক ও পরিবার এবং সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হবে। এ সময়ে তারা হলে অবস্থান করলে হল প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবে বলে জানান এক সিন্ডিকেট সদস্য।