বিএনপি যতটুকু সম্ভব নয়, তার চেয়েও বেশি সংগ্রাম করেছে এবং এখনো করছে বলে দাবি করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘দমনপীড়ন না করে’ আওয়ামী লীগ সরকার ‘ক্ষমতায় থাকতে পারবে না’ জেনেই খালেদা জিয়ার ওপর প্রথম ‘জুলুম শুরু করে’ বলে অভিযোগ বিএনপি মহাসচিবের।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শহীদ, গুম ও পঙ্গুত্বের শিকার নেতাকর্মীদের পরিবারে ঈদ উপহার বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন। তিনি খালেদা জিয়ার শারিরিক অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘খালেদা জিয়া বুধবার অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মনে হচ্ছিলো তিনি হয়তো আর সময় পাবেন না। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে শামিল হওয়ায় আমাদের ছাত্রদল-যুবদলের ছেলেদের নির্যাতন করা হয়েছে। তারা কোনো চিকিৎসা পায়নি। তাদের নির্যাতন করে জেলে ফেলে রাখা হয়েছে। এরপর জেলেও তাদের কোনো চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা খবর পেয়ে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।’
বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী সরকারের দমন পীড়নের শিকার হয়েছেন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সারা দেশে এখন এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যেখানে ভয় আর ত্রাসের রাজত্ব। এই পরিস্থিতি তৈরী করে সরকার পুরো জাতির ওপর জুলুম চালাচ্ছে। সারাদেশে ভয়ের এমন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফেসবুকে মনের কথা লিখলেও তুলে নিয়ে যায়।’
কারাবাসে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি ছেলের সিরাজগঞ্জে বাড়ি, ফেসবুকে একটি পোস্টে লাইক দেওয়ার কারণে র্যাব তাকে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় ১৪ দিন নির্যাতন করার পর একটি মিথ্যা মামলায় তাকে জেলে পাঠায়। এখনও সে জেলে, জামিন পাচ্ছে না।’
বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘ছত্রদল-যুবদলের ছেলেদের নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। কারও পায়ের নখ তুলে নেওয়া হয়েছে, কারও পা মুচড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে, কারও হাত ভেঙে দিয়েছে এবং অবিশ্বাস্যভাবে সত্য যে, তারা কোনো চিকিৎসা পায়নি। তাদের সেইভাবেই জেলে ফেলে দিয়ে গেছে, সেখানেও তাদের কোনো চিকিৎসা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র, সুশান ও মানবাধিকার নেই। একটি জাতি আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আমরা সংগ্রাম করছি। একটি গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে যতটুকু সম্ভব নয় তার চেয়েও বেশি সংগ্রাম আমরা করছি। হাজার হাজার মানুষ রাজপথে এসেছে, রাজপথে আমাদের ছেলেরা প্রাণ দিয়েছে।’ গোটা জাতি আজ নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হবে। সংগ্রাম করতে হবে। স্বৈরাচার সরকারকে পরাজিত করতে হলে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন আমাদের প্রথম লক্ষ্য হবে নিজেদের সংগঠিত করা, এরপর আবারও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বিদ্রোহ করতে হবে, সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
এরপর বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনে ঢাকা লেডিস ক্লাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে যোগ দেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, ‘সরকারের পতন ঘাটাতে চাইলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। আমাদের আন্দোলন সফল করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভ‚মিকা রাখতে হবে।’
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘৬৩টি দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। সরকারের পতন ঘটিয়ে সাধারণ মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে হবে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘পুরো দেশ আজ বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে পড়েছে। সরকার ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ওপর হামলা চালায়, ইফতার নিষেধ করে দেয়। আমাদের দাবি আদায় করেই ছাড়ব। আজ পারিনি, কাল পারব। লড়াই অব্যাহত রাখব।’
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
বিএনপি যতটুকু সম্ভব নয়, তার চেয়েও বেশি সংগ্রাম করেছে এবং এখনো করছে বলে দাবি করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘দমনপীড়ন না করে’ আওয়ামী লীগ সরকার ‘ক্ষমতায় থাকতে পারবে না’ জেনেই খালেদা জিয়ার ওপর প্রথম ‘জুলুম শুরু করে’ বলে অভিযোগ বিএনপি মহাসচিবের।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শহীদ, গুম ও পঙ্গুত্বের শিকার নেতাকর্মীদের পরিবারে ঈদ উপহার বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন। তিনি খালেদা জিয়ার শারিরিক অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘খালেদা জিয়া বুধবার অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মনে হচ্ছিলো তিনি হয়তো আর সময় পাবেন না। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে শামিল হওয়ায় আমাদের ছাত্রদল-যুবদলের ছেলেদের নির্যাতন করা হয়েছে। তারা কোনো চিকিৎসা পায়নি। তাদের নির্যাতন করে জেলে ফেলে রাখা হয়েছে। এরপর জেলেও তাদের কোনো চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা খবর পেয়ে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।’
বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী সরকারের দমন পীড়নের শিকার হয়েছেন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সারা দেশে এখন এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যেখানে ভয় আর ত্রাসের রাজত্ব। এই পরিস্থিতি তৈরী করে সরকার পুরো জাতির ওপর জুলুম চালাচ্ছে। সারাদেশে ভয়ের এমন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফেসবুকে মনের কথা লিখলেও তুলে নিয়ে যায়।’
কারাবাসে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি ছেলের সিরাজগঞ্জে বাড়ি, ফেসবুকে একটি পোস্টে লাইক দেওয়ার কারণে র্যাব তাকে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় ১৪ দিন নির্যাতন করার পর একটি মিথ্যা মামলায় তাকে জেলে পাঠায়। এখনও সে জেলে, জামিন পাচ্ছে না।’
বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘ছত্রদল-যুবদলের ছেলেদের নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। কারও পায়ের নখ তুলে নেওয়া হয়েছে, কারও পা মুচড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে, কারও হাত ভেঙে দিয়েছে এবং অবিশ্বাস্যভাবে সত্য যে, তারা কোনো চিকিৎসা পায়নি। তাদের সেইভাবেই জেলে ফেলে দিয়ে গেছে, সেখানেও তাদের কোনো চিকিৎসা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র, সুশান ও মানবাধিকার নেই। একটি জাতি আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আমরা সংগ্রাম করছি। একটি গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে যতটুকু সম্ভব নয় তার চেয়েও বেশি সংগ্রাম আমরা করছি। হাজার হাজার মানুষ রাজপথে এসেছে, রাজপথে আমাদের ছেলেরা প্রাণ দিয়েছে।’ গোটা জাতি আজ নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হবে। সংগ্রাম করতে হবে। স্বৈরাচার সরকারকে পরাজিত করতে হলে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন আমাদের প্রথম লক্ষ্য হবে নিজেদের সংগঠিত করা, এরপর আবারও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বিদ্রোহ করতে হবে, সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
এরপর বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনে ঢাকা লেডিস ক্লাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে যোগ দেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, ‘সরকারের পতন ঘাটাতে চাইলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। আমাদের আন্দোলন সফল করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভ‚মিকা রাখতে হবে।’
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘৬৩টি দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। সরকারের পতন ঘটিয়ে সাধারণ মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে হবে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘পুরো দেশ আজ বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে পড়েছে। সরকার ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ওপর হামলা চালায়, ইফতার নিষেধ করে দেয়। আমাদের দাবি আদায় করেই ছাড়ব। আজ পারিনি, কাল পারব। লড়াই অব্যাহত রাখব।’