চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের আগে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তি প্রকাশ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার, জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল এবং বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম পাল্টাপাল্টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়, যা ক্যাম্পাসের শিক্ষকসমাজে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
প্রথম বিজ্ঞপ্তি আসে সাদা দল থেকে, যেখানে তাদের পরিচয় স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী শিক্ষক সমাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তারা তাদের আহ্বায়ক অধ্যাপক শামিম উদ্দিন খানকে উপাচার্য পদে সুপারিশ করার কথা জানায়। তবে এই সুপারিশ কোথায় বা কীভাবে করা হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
এর পরপরই জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম পাল্টা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় যে, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত সাদা দল নামে কোনো মোর্চা সক্রিয় নেই। তারা দাবি করে, বর্তমানে সাদা দল বলতে জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকদের দলকে বোঝানো হয়, এবং এ কারণে জাতীয়তাবাদী শিক্ষকেরা আলাদা হয়ে ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ ব্যানারে সক্রিয় আছেন।
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক শামিম উদ্দিন খান জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের এই দাবি মিথ্যা বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, "এটা ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য তাঁরা ১০-১৫ জন দল থেকে বের হয়েছেন। আমাদের দলের অধিকাংশই বিএনপি সমর্থক, তাই তাঁদের চলে যাওয়া দলের কার্যক্রমে কোনো প্রভাব ফেলবে না।"
এদিকে, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস এম নছরুল কাদির বলেন, "যদি সাদা দল জাতীয়বাদে বিশ্বাসী হয়, তাহলে কেন এটি জামায়াতের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে? গত এক দশকে তাঁরা বিএনপি বা বেগম জিয়ার জন্য কোনো বিবৃতি দেননি।"
তিনি আরও জানান যে, সাদা দল থেকে বেরিয়ে এসে প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী শিক্ষকরা জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম গঠন করেছেন। তিনি বলেন, "এই সংগঠন ক্যাডারভিত্তিক নয় এবং আমাদের কোনো সংকট নেই। তবে জামায়াতের নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাঁরা জাতীয়তাবাদের নাম ব্যবহার করছেন।"
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে অধ্যাপক শামিম উদ্দিন খান বলেন, "আমাদের দল থেকে একজনকে উপাচার্য পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটিই আমরা মেনে নেব। আলাদাভাবে কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে না।"
শুক্রবার, ২৩ আগস্ট ২০২৪
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের আগে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তি প্রকাশ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার, জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল এবং বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম পাল্টাপাল্টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়, যা ক্যাম্পাসের শিক্ষকসমাজে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
প্রথম বিজ্ঞপ্তি আসে সাদা দল থেকে, যেখানে তাদের পরিচয় স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী শিক্ষক সমাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তারা তাদের আহ্বায়ক অধ্যাপক শামিম উদ্দিন খানকে উপাচার্য পদে সুপারিশ করার কথা জানায়। তবে এই সুপারিশ কোথায় বা কীভাবে করা হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
এর পরপরই জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম পাল্টা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় যে, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত সাদা দল নামে কোনো মোর্চা সক্রিয় নেই। তারা দাবি করে, বর্তমানে সাদা দল বলতে জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকদের দলকে বোঝানো হয়, এবং এ কারণে জাতীয়তাবাদী শিক্ষকেরা আলাদা হয়ে ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ ব্যানারে সক্রিয় আছেন।
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক শামিম উদ্দিন খান জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের এই দাবি মিথ্যা বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, "এটা ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য তাঁরা ১০-১৫ জন দল থেকে বের হয়েছেন। আমাদের দলের অধিকাংশই বিএনপি সমর্থক, তাই তাঁদের চলে যাওয়া দলের কার্যক্রমে কোনো প্রভাব ফেলবে না।"
এদিকে, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস এম নছরুল কাদির বলেন, "যদি সাদা দল জাতীয়বাদে বিশ্বাসী হয়, তাহলে কেন এটি জামায়াতের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে? গত এক দশকে তাঁরা বিএনপি বা বেগম জিয়ার জন্য কোনো বিবৃতি দেননি।"
তিনি আরও জানান যে, সাদা দল থেকে বেরিয়ে এসে প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী শিক্ষকরা জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম গঠন করেছেন। তিনি বলেন, "এই সংগঠন ক্যাডারভিত্তিক নয় এবং আমাদের কোনো সংকট নেই। তবে জামায়াতের নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাঁরা জাতীয়তাবাদের নাম ব্যবহার করছেন।"
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে অধ্যাপক শামিম উদ্দিন খান বলেন, "আমাদের দল থেকে একজনকে উপাচার্য পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটিই আমরা মেনে নেব। আলাদাভাবে কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে না।"