সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে আরও ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম জসিম উদ্দিন দুটি পৃথক মামলায় তাদের পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে, নিউমার্কেট থানা এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্র সবুজ আলী হত্যা মামলায়ও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
আদালতে প্রসিকিউশন পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, তাদের নতুন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর আগে নিউমার্কেট এলাকায় দোকান-কর্মচারী শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় তাদের ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তাদের পুনরায় আদালতে হাজির করে নতুন দুই মামলায় আরও ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
এই শুনানির সময়, আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ‘খুনি’ বলে স্লোগান দেন এবং তাদের ফাঁসির দাবি তোলেন।
তদন্ত কর্মকর্তার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই লালবাগ থানার আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় নিরস্ত্র ছাত্র জনতার ওপর হামলা চালিয়ে খালেদ সাইফুল্লাহকে হত্যা করা হয়। সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারে রিমান্ডের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়।
গত ১৩ আগস্ট, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়, যারা নৌপথে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।
পরে খিলক্ষেত এলাকা থেকে ১৫ আগস্ট রাতে গ্রেপ্তার করা হয় চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে, যাকে একই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেওয়ার পর দেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ৫ আগস্ট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন, যার ফলে সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান।
গ্রেপ্তারের সময়, সালমান এফ রহমানের কাছ থেকে বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা এবং পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়, তার কাছ থেকে পাঁচটি সবুজ রঙের পাসপোর্ট এবং একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়া যায়। আনিসুল হকের কাছ থেকেও বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা এবং কূটনৈতিক পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, শেয়ারবাজার জালিয়াতি এবং অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে।
শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে আরও ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম জসিম উদ্দিন দুটি পৃথক মামলায় তাদের পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে, নিউমার্কেট থানা এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্র সবুজ আলী হত্যা মামলায়ও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
আদালতে প্রসিকিউশন পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, তাদের নতুন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর আগে নিউমার্কেট এলাকায় দোকান-কর্মচারী শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় তাদের ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তাদের পুনরায় আদালতে হাজির করে নতুন দুই মামলায় আরও ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
এই শুনানির সময়, আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ‘খুনি’ বলে স্লোগান দেন এবং তাদের ফাঁসির দাবি তোলেন।
তদন্ত কর্মকর্তার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই লালবাগ থানার আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় নিরস্ত্র ছাত্র জনতার ওপর হামলা চালিয়ে খালেদ সাইফুল্লাহকে হত্যা করা হয়। সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারে রিমান্ডের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়।
গত ১৩ আগস্ট, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়, যারা নৌপথে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।
পরে খিলক্ষেত এলাকা থেকে ১৫ আগস্ট রাতে গ্রেপ্তার করা হয় চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে, যাকে একই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেওয়ার পর দেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ৫ আগস্ট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন, যার ফলে সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান।
গ্রেপ্তারের সময়, সালমান এফ রহমানের কাছ থেকে বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা এবং পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়, তার কাছ থেকে পাঁচটি সবুজ রঙের পাসপোর্ট এবং একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়া যায়। আনিসুল হকের কাছ থেকেও বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা এবং কূটনৈতিক পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, শেয়ারবাজার জালিয়াতি এবং অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে।