alt

সংবিধানে গণভোট নেই বললে ২০২৬ সালেও নির্বাচন নেই : জামায়াতের নেতা হামিদুর রহমান

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

নভেম্বরে গণভোটের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া আটটি ধর্মভিত্তিক দলের একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর নেতা বর্তমান সংবিধানে গণভোটের বিধান নেই— বিএনপি নেতাদের এমন যুক্তির জবাবে বলেছেন, আইন অনুযায়ী ২০২৬ সালে দেশে সংসদ নির্বাচনেরও সুযোগ নেই।

আর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান অনুযায়ী গঠিত হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নও তুলেছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।

সোমবার ঢাকার পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

শনিবার দুপুরে ঢাকায় ‘নির্বাচনি ইশতেহারে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বর্তমান সংবিধানে গণভোট নিয়ে কিছু নেই। আগামীতে নির্বাচনে পাস করে সংসদে গিয়ে সংবিধানে গণভোট যুক্ত করার পর গণভোট আসতে পারে।"

সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক সাংবাদিক জানতে চাইলে জামায়াত নেতা আযাদ বলেন “এই কথা যদি বলা হয়, গণভোটের বিধান নাই। সেটা সংবিধানে নাই, পঞ্চম সংশোধনীর আগে কিন্তু গণভোট ছিল। তাহলে একটা ‘ফেসিজিমের’ আমলেই যেই সংবিধানটা সংশোধন করা হয়েছে, এটা কিন্তু কোর্টে মামলা চলছে। চূড়ান্ত রায় এলে আমরা বুঝব, সেটা কোথায় গিয়ে শেষ হয়!

“এই প্রশ্ন যদি কোনো রাজনৈতিক দল তোলে, তাহলে তারা ‘ফেসিবাদের’ অবস্থানকে সমর্থন করে, এটা বোঝা যায়। আমিও তাহলে একটা কথা বলতে পারি, পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন হওয়ার কথা। ২৬ সালে কি পাঁচ বছর পূর্তি হয়? তাহলে এটা কি সংবিধানে আছে? এ সংবিধানের কথা বলে ওবায়দুল কাদের, শেখ হাসিনা বারবার জাতিকে কিন্তু বিপদের মধ্যে ফেলেছে?”

তিনি বলেন, “সংবিধান বড়, নাকি জনগণের অভিপ্রায় বড়? জনগণের জন্য সংবিধান, নাকি সংবিধানের জনগণ?

“আমাদের মাননীয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল সাহেব বহুবার এই বক্তব্য দিয়েছেন। তো তিনি যদি আজ থেকে কয়েক বছর আগে ‘ফেসিবাদের’ আমলে এ বক্তব্য দিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন, আজ তो এই কথা আমরাও বলতে পারি যে সংবিধানে পাঁচ বছরের পরপর নির্বাচন ছাড়া আর কোনো বিধানে নির্বাচন হতে পারে না।”

জামায়াতের এই নেতা বলেন, “কোনো কোনো কারণে সংসদ বাদ হইতে পারে, এটা বিষয় আছে। কিন্তু আমার কথা হলো, সংবিধানের কথা যে আপনারা উঠাচ্ছেন, এই সরকার কি সংবিধানের অধীনে গঠিত হয়েছে?

সুতরাং এই জায়গায় হাত দিতে গেলে বহু ধরনের জটিলতা তৈরি হবে। কারো যদি স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন মানসিকতা দেশের জন্য, দেশের ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হয়, মৌলিক সংস্কারের দিকে এলে আমাদের সমাধানের দিকে যেতে হবে, জটিলতা তৈরি করা সংবিধানের প্রশ্নে নেই। সমাধানের পথকে রুদ্ধ করে দেওয়া। আল্টিমেটলি তারা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায় কিনা এই প্রশ্ন তৈরি হয়ে যাবে। এজন্য আমরা সেদিকে যেতে চাই না। আমরা একটা সুন্দর সমাধান চাই। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হোক। গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসুক।”

সরকারের সমালোচনা করে আযাদ বলেন, “ঐকমত্য কমিশন যেহেতু আদেশ জারির কথা বলেছে। সরকারের ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা যথেষ্ট টাইম ছিল। তো আপনি সেখানে দুই সপ্তাহেরও অধিক সময় জিনিসটা ঝুলেই রেখেছেন। এটা আমরা মনে করি জাতির প্রত্যাশিত বিষয় ছিল না। এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় ছিল। অহেতুক এখানে সময় নষ্ট করা হচ্ছে।

আরেকটি দলের পক্ষ থেকে, বিশেষ করে আমরা বিএনপির কথা বলব। আমরা সমাধানে পৌঁছার জন্য ঐকমত্য কমিশনের এই আদেশ জারি এবং সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য আশা করেছিলাম সবাই এগিয়ে আসবে।”

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণভোট সংসদ নির্বাচনের আগে হবে, নাকি সংসদ নির্বাচনের দিনে হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতে দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছিল সরকার।

সোমবার সেই সময় শেষ হলেও দলগুলোর মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। জামায়াতের নেতারা বলছেন, তারা আলোচনায় বসতে বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সাড়া পাননি।

বিএনপি বলছে, কোনো দলের ডাকে তারা আলোচনায় বসবে না। বসলেও সরকারের আহ্বানে বসবে।

বিএনপির এমন অবস্থানের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত নেতা আযাদ বলেন, “আজ আবার বাস্তবায়ন নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হচ্ছে, সেজন্য আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম বসে আলোচনা করার জন্য। সে আলোচনায় ওনারা সাড়া দেন নাই এবং ওনারা জামাতের ডাকে সাড়া দেবেন না বলেছেন।

“তা আমরা বলেছি, আপনারা জামাতের ডাকে যে সাড়া দিতে চান না কী কারণে আমরা জানি না। কারণ যাই হোক, এটা অতীত রাজনীতি, একটা ‘ব্যাড কালচার’ ছিল।

“এবার ওনারা প্রকাশ্যে বলে দিলেন যে, জামায়াতের সাথে বসবে না। ভালো কথা, আমরাও প্রকাশ্যে বলে দিলাম যে আপনারা ডাকেন আমরা যাব। তো ওনারা সে ডাকটা দিতে পারেন নাই, এতে বোঝা যাচ্ছে যে আমরা যে একটা পজিটিভ মাইন্ডে আলোচনার ভিত্তিতে সলিউশন চেয়েছিলাম, সে পজিটিভ মাইন্ডটাকে ওনারা সম্মান জানাতে পারে নাই।”

দাবি আদায়ে মঙ্গলবার পল্টনের আশপাশের এলাকায় কয়েক লাখ লোক সমাগম করার ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামের এই নেতা।

নির্বাচন নিয়ে গভীর সংশয় তৈরি হয়েছে: হাওলাদার

ছবি

একাত্তরের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চায় একটি চক্র: মির্জা ফখরুল

ছবি

"পোস্টাল ভোট বিডি" অ্যাপ উদ্বোধন ১৮ নভেম্বর :  নির্বাচন কমিশন

ছবি

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা, সাবেক দুই এমপিসহ আসামি ৮ শতাধিক

অর্থনীতি ও সংস্কার নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

ছবি

খালেদা জিয়ার আসনে এনসিপির চূড়ান্ত মনোনয়ন চান জোবায়ের

ছবি

বহিষ্কৃত ৪০ নেতার পদ ফিরিয়ে দিলো বিএনপি

নির্বাচনের অপেক্ষায় স্থবির দেশ, বিনিয়োগ ও পারিবারিক সিদ্ধান্তও থমকে গেছে: আমীর খসরু

ছবি

অর্থনীতি ও সংস্কার নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

ছবি

নির্বাচনের অপেক্ষায় স্থবির দেশ: আমীর খসরু

ছবি

ঢাকা থেকে নির্বাচনের ঘোষণা আসিফ মাহমুদের, বললেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তে পদত্যাগ’

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে থাকবে গণতন্ত্র মানবাধিকার ও ভোটাধিকার’

ছবি

‘আমেরিকা থেকে আসা শিক্ষিত লোকজন আমাদের ঘাড়ে গণভোট চাপাচ্ছে’ : মির্জা ফখরুল

ছবি

নিবন্ধন প্রশ্নে আমজনতার দলকে আইনসম্মত পথে আসার আহ্বান ইসি সচিবের

বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

বিএনপি থেকে ৫ শতাংশ শিক্ষককে মনোনয়ন দেয়ার দাবি

ছবি

নিবন্ধনের দাবিতে ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অনশনে আমজনতার সদস্য সচিব

ছবি

সংবিধানে গণভোটের কিছু নেই: আমীর খসরু

ছবি

আগেই গণভোট, নইলে কঠোর আন্দোলন: জামায়াতসহ ৮ দলের হুঁশিয়ারি

ছবি

কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান

ছবি

বিএনপি বলছে, প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানালে ‘আলোচনায় রাজি’, তবে ‘রাজনৈতিক দল দিয়ে আহ্বান কেন?’

ছবি

জামালপুরে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগে হামলার অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ যুবদলের বিরুদ্ধে

ছবি

বিএনপির আচরণে আওয়ামী লীগের ছায়া দেখছেন হামিদুর রহমান আযাদ

ছবি

বাংলাদেশে মানুষ সংঘর্ষ নয়, স্থিতিশীলতা চায়: আমীর খসরু

ছবি

৫ আগস্টের আগের স্বপ্ন ১৫ মাসেও পূরণ হয়নি: নুরুল হক

ছবি

যতই চালাকি হোক, আগে গণভোট, তারপর সংসদ নির্বাচন: তাহের

নতুন নামে ‘ফ্যাসিবাদ’ কায়েমের পাঁয়তারা চলছে: মুশতাক

ছবি

বিএনপির মনোনয়ন পেলেন আ’লীগের ‘ডোনার খ্যাত’ আনিসুল হক!

ছবি

রংপুরের দুই আসনে এনসিপি ও জামায়াতের মর্যাদার লড়াই

ছবি

জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট বলে কিছু থাকবে না: নাহিদ ইসলাম

ছবি

বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘে মোমেনের চিঠি

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ ও গণভোট ইস্যুতে ফখরুলের কঠোর হুঁশিয়ারি

ছবি

শুক্রবার ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস’

ছবি

জাতীয়তাবাদী চেতনায় ঐক্যের আহ্বান বিএনপি নেতাদের

ছবি

আঙুল বাঁকা করার হুমকি জামায়াতের তাহেরের, কারণ ‘ঘি তাদের লাগবেই’

ছবি

গণতন্ত্রের পথ সরকারকেই সুগম করতে হবে, যশোরে মির্জা ফখরুল

tab

সংবিধানে গণভোট নেই বললে ২০২৬ সালেও নির্বাচন নেই : জামায়াতের নেতা হামিদুর রহমান

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

নভেম্বরে গণভোটের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া আটটি ধর্মভিত্তিক দলের একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর নেতা বর্তমান সংবিধানে গণভোটের বিধান নেই— বিএনপি নেতাদের এমন যুক্তির জবাবে বলেছেন, আইন অনুযায়ী ২০২৬ সালে দেশে সংসদ নির্বাচনেরও সুযোগ নেই।

আর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান অনুযায়ী গঠিত হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নও তুলেছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।

সোমবার ঢাকার পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

শনিবার দুপুরে ঢাকায় ‘নির্বাচনি ইশতেহারে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বর্তমান সংবিধানে গণভোট নিয়ে কিছু নেই। আগামীতে নির্বাচনে পাস করে সংসদে গিয়ে সংবিধানে গণভোট যুক্ত করার পর গণভোট আসতে পারে।"

সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক সাংবাদিক জানতে চাইলে জামায়াত নেতা আযাদ বলেন “এই কথা যদি বলা হয়, গণভোটের বিধান নাই। সেটা সংবিধানে নাই, পঞ্চম সংশোধনীর আগে কিন্তু গণভোট ছিল। তাহলে একটা ‘ফেসিজিমের’ আমলেই যেই সংবিধানটা সংশোধন করা হয়েছে, এটা কিন্তু কোর্টে মামলা চলছে। চূড়ান্ত রায় এলে আমরা বুঝব, সেটা কোথায় গিয়ে শেষ হয়!

“এই প্রশ্ন যদি কোনো রাজনৈতিক দল তোলে, তাহলে তারা ‘ফেসিবাদের’ অবস্থানকে সমর্থন করে, এটা বোঝা যায়। আমিও তাহলে একটা কথা বলতে পারি, পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন হওয়ার কথা। ২৬ সালে কি পাঁচ বছর পূর্তি হয়? তাহলে এটা কি সংবিধানে আছে? এ সংবিধানের কথা বলে ওবায়দুল কাদের, শেখ হাসিনা বারবার জাতিকে কিন্তু বিপদের মধ্যে ফেলেছে?”

তিনি বলেন, “সংবিধান বড়, নাকি জনগণের অভিপ্রায় বড়? জনগণের জন্য সংবিধান, নাকি সংবিধানের জনগণ?

“আমাদের মাননীয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল সাহেব বহুবার এই বক্তব্য দিয়েছেন। তো তিনি যদি আজ থেকে কয়েক বছর আগে ‘ফেসিবাদের’ আমলে এ বক্তব্য দিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন, আজ তो এই কথা আমরাও বলতে পারি যে সংবিধানে পাঁচ বছরের পরপর নির্বাচন ছাড়া আর কোনো বিধানে নির্বাচন হতে পারে না।”

জামায়াতের এই নেতা বলেন, “কোনো কোনো কারণে সংসদ বাদ হইতে পারে, এটা বিষয় আছে। কিন্তু আমার কথা হলো, সংবিধানের কথা যে আপনারা উঠাচ্ছেন, এই সরকার কি সংবিধানের অধীনে গঠিত হয়েছে?

সুতরাং এই জায়গায় হাত দিতে গেলে বহু ধরনের জটিলতা তৈরি হবে। কারো যদি স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন মানসিকতা দেশের জন্য, দেশের ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হয়, মৌলিক সংস্কারের দিকে এলে আমাদের সমাধানের দিকে যেতে হবে, জটিলতা তৈরি করা সংবিধানের প্রশ্নে নেই। সমাধানের পথকে রুদ্ধ করে দেওয়া। আল্টিমেটলি তারা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায় কিনা এই প্রশ্ন তৈরি হয়ে যাবে। এজন্য আমরা সেদিকে যেতে চাই না। আমরা একটা সুন্দর সমাধান চাই। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হোক। গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসুক।”

সরকারের সমালোচনা করে আযাদ বলেন, “ঐকমত্য কমিশন যেহেতু আদেশ জারির কথা বলেছে। সরকারের ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা যথেষ্ট টাইম ছিল। তো আপনি সেখানে দুই সপ্তাহেরও অধিক সময় জিনিসটা ঝুলেই রেখেছেন। এটা আমরা মনে করি জাতির প্রত্যাশিত বিষয় ছিল না। এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় ছিল। অহেতুক এখানে সময় নষ্ট করা হচ্ছে।

আরেকটি দলের পক্ষ থেকে, বিশেষ করে আমরা বিএনপির কথা বলব। আমরা সমাধানে পৌঁছার জন্য ঐকমত্য কমিশনের এই আদেশ জারি এবং সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য আশা করেছিলাম সবাই এগিয়ে আসবে।”

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণভোট সংসদ নির্বাচনের আগে হবে, নাকি সংসদ নির্বাচনের দিনে হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতে দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছিল সরকার।

সোমবার সেই সময় শেষ হলেও দলগুলোর মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। জামায়াতের নেতারা বলছেন, তারা আলোচনায় বসতে বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সাড়া পাননি।

বিএনপি বলছে, কোনো দলের ডাকে তারা আলোচনায় বসবে না। বসলেও সরকারের আহ্বানে বসবে।

বিএনপির এমন অবস্থানের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত নেতা আযাদ বলেন, “আজ আবার বাস্তবায়ন নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হচ্ছে, সেজন্য আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম বসে আলোচনা করার জন্য। সে আলোচনায় ওনারা সাড়া দেন নাই এবং ওনারা জামাতের ডাকে সাড়া দেবেন না বলেছেন।

“তা আমরা বলেছি, আপনারা জামাতের ডাকে যে সাড়া দিতে চান না কী কারণে আমরা জানি না। কারণ যাই হোক, এটা অতীত রাজনীতি, একটা ‘ব্যাড কালচার’ ছিল।

“এবার ওনারা প্রকাশ্যে বলে দিলেন যে, জামায়াতের সাথে বসবে না। ভালো কথা, আমরাও প্রকাশ্যে বলে দিলাম যে আপনারা ডাকেন আমরা যাব। তো ওনারা সে ডাকটা দিতে পারেন নাই, এতে বোঝা যাচ্ছে যে আমরা যে একটা পজিটিভ মাইন্ডে আলোচনার ভিত্তিতে সলিউশন চেয়েছিলাম, সে পজিটিভ মাইন্ডটাকে ওনারা সম্মান জানাতে পারে নাই।”

দাবি আদায়ে মঙ্গলবার পল্টনের আশপাশের এলাকায় কয়েক লাখ লোক সমাগম করার ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামের এই নেতা।

back to top