পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লজ্জার হারের পর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল ভারত। বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে আবুধাবিতে আফগানিস্তানকে ৬৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত।
এদিন সব জড়তা কাটিয়ে রানের ফোয়ারা ছোটালেন রোহিত- রাহুল। রশিদ-নাভিন-গুলবাদিনদের তুলোধোনা করে ৮৯ বলে করেন ১৪০ রানের জুটি গড়লেন তারা।
রেকর্ড গড়া জুটির সুবাদে মাত্র ২ উইকেটে ২১০ রানের পাহাড় জমা করে ভারত । মাত্র কুড়ি ওভারে এ রানের পাহাড়ের ধারে কাছেও পৌঁছাতে পারেনি আফগান ব্যাটাররা।
বুমরা-শামি-অশ্বিনের নিয়ন্ত্রিত ও কিপটে বোলিংয়ে নিয়মিত উইকেট পড়েছে আফগানিস্তানের।
২১১ রানের তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদকে হারায় আফগানিস্তান। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। মোহাম্মদ শামির বলে অশ্বিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
এরপর টপ অর্ডারের ব্যাটাররা ছোট ছোট ইনিংস খেলে বিদায় নেন। ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই (১৫ বলে ১৩ রান), রহমানুল্লাহ গুরবাহ (১০ বলে ১৯ রান), গুলবাদিন নাইব (২০ বলে ১৮ রান) করেন।
৫৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে আফগানিস্তান। বাকি সময়টা ছিল শুধু ভারতের জন্য জয়ের অপেক্ষা।
অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবি ও অলরাউন্ডার করিম জানাতের জুটিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১০০ রানের ঘর পার হয় আফগানিস্তান।
কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ হাতছাড়া। জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে (১৮ বলে) প্রয়োজন পড়ে আরো ১০২ রানের। প্রতি ওভারে ৩৪ রান! যা প্রায় অসম্ভব।
৩৪ রানের লক্ষ্যে ১৮তম ওভারে শার্দুল ঠাকুরের ওভারে ১৬ রান নেয় নাবি-করিম জুটি। অর্থাৎ ১২ বলে প্রয়োজন পড়ে ৮৬ রানের। বলে বলে বাউন্ডারির প্রয়োজন। আর বিগ হিট মারতে গিয়ে ১৯তম ওভারে মোহাম্মদ শামির বলে আউট হয়ে ফেরেন আফগান অধিনায়ক। সাজঘরে ফেরার আগে নাবি করেন ৩২ বলে ৩৫ রান।
শামির ওই ওভারেই একবল পরে শূন্য রানে আউট হয়ে ফেরেন রাশিদ খান। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৮১ রানের। সেই ওভার থেকে ১৪ রান করতে সক্ষম হন করিম জানাত।
ফলে ৭ উইকেটে ১৪৪ রানে শেষ হয় আফগানিস্তানের ইনিংস। করিম জানাত করেন সর্বোচ্চ ২২ বলে ৪৪ রান।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৭ বলে ৮টি চার ও তিন ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৭৪ রান করে আউট হন ওপেনার রোহিত শর্মা।আর ৪৮ বলে ৬টি চার ও দুটি ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৯ রান করে ফেরেন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল।
শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২১ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন হার্দিক পান্ডিয়া ও ঋষভ পন্থ। ১৩ বলে ৪টি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন পান্ডিয়া। আর ১৩ বলে তিন ছক্কায় ২৭ রান করে অপরাজিত পন্থ।
বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১
পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লজ্জার হারের পর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল ভারত। বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে আবুধাবিতে আফগানিস্তানকে ৬৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত।
এদিন সব জড়তা কাটিয়ে রানের ফোয়ারা ছোটালেন রোহিত- রাহুল। রশিদ-নাভিন-গুলবাদিনদের তুলোধোনা করে ৮৯ বলে করেন ১৪০ রানের জুটি গড়লেন তারা।
রেকর্ড গড়া জুটির সুবাদে মাত্র ২ উইকেটে ২১০ রানের পাহাড় জমা করে ভারত । মাত্র কুড়ি ওভারে এ রানের পাহাড়ের ধারে কাছেও পৌঁছাতে পারেনি আফগান ব্যাটাররা।
বুমরা-শামি-অশ্বিনের নিয়ন্ত্রিত ও কিপটে বোলিংয়ে নিয়মিত উইকেট পড়েছে আফগানিস্তানের।
২১১ রানের তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদকে হারায় আফগানিস্তান। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। মোহাম্মদ শামির বলে অশ্বিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
এরপর টপ অর্ডারের ব্যাটাররা ছোট ছোট ইনিংস খেলে বিদায় নেন। ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই (১৫ বলে ১৩ রান), রহমানুল্লাহ গুরবাহ (১০ বলে ১৯ রান), গুলবাদিন নাইব (২০ বলে ১৮ রান) করেন।
৫৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে আফগানিস্তান। বাকি সময়টা ছিল শুধু ভারতের জন্য জয়ের অপেক্ষা।
অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবি ও অলরাউন্ডার করিম জানাতের জুটিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১০০ রানের ঘর পার হয় আফগানিস্তান।
কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ হাতছাড়া। জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে (১৮ বলে) প্রয়োজন পড়ে আরো ১০২ রানের। প্রতি ওভারে ৩৪ রান! যা প্রায় অসম্ভব।
৩৪ রানের লক্ষ্যে ১৮তম ওভারে শার্দুল ঠাকুরের ওভারে ১৬ রান নেয় নাবি-করিম জুটি। অর্থাৎ ১২ বলে প্রয়োজন পড়ে ৮৬ রানের। বলে বলে বাউন্ডারির প্রয়োজন। আর বিগ হিট মারতে গিয়ে ১৯তম ওভারে মোহাম্মদ শামির বলে আউট হয়ে ফেরেন আফগান অধিনায়ক। সাজঘরে ফেরার আগে নাবি করেন ৩২ বলে ৩৫ রান।
শামির ওই ওভারেই একবল পরে শূন্য রানে আউট হয়ে ফেরেন রাশিদ খান। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৮১ রানের। সেই ওভার থেকে ১৪ রান করতে সক্ষম হন করিম জানাত।
ফলে ৭ উইকেটে ১৪৪ রানে শেষ হয় আফগানিস্তানের ইনিংস। করিম জানাত করেন সর্বোচ্চ ২২ বলে ৪৪ রান।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৭ বলে ৮টি চার ও তিন ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৭৪ রান করে আউট হন ওপেনার রোহিত শর্মা।আর ৪৮ বলে ৬টি চার ও দুটি ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৯ রান করে ফেরেন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল।
শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২১ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন হার্দিক পান্ডিয়া ও ঋষভ পন্থ। ১৩ বলে ৪টি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন পান্ডিয়া। আর ১৩ বলে তিন ছক্কায় ২৭ রান করে অপরাজিত পন্থ।