ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান আর্চারি ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীরা
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই শুরু হয়েছে। রোববার,(০৯ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে রিকার্ভ পুরুষ ও কম্পাউন্ড নারী বিভাগের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে বাংলাদেশের আর্চারদের মধ্যে আলো ছড়িয়েছেন বন্যা আক্তার ও রামকৃষ্ণ সাহা।
কম্পাউন্ড নারী বিভাগের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে বাংলাদেশের আর্চারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২তম হয়েছেন বন্যা আক্তার। ৬৯৩ স্কোর করেন তিনি। বন্যার এটি ব্যক্তিগত সেরা স্কোর। কম্পাউন্ড ইভেন্টে দলীয় রেকর্ড স্কোর (২০৬১) গড়েছে বাংলাদেশও। আগে ছিল ২০৪৫। ৭২ তীর ছোঁড়ার লড়াইয়ে শুরু থেকে নিশানা ঠিক রেখেছিলেন রামকৃষ্ণ। ৬২ প্রতিযোগীর মধ্যে ৬৬৮ স্কোর গড়ে ষষ্ঠ হন তিনি। কম্পাউন্ড নারী এককে বাংলাদেশের বাকি তিন আর্চার কুলসুম আক্তার ৬৮৮ স্কোর নিয়ে ১৭তম, পুষ্পিতা জামান ৬৮০ স্কোর নিয়ে ২৪তম ও মিথিলা আক্তার ৬৬২ স্কোর নিয়ে ৩২তম হয়েছেন। কম্পাউন্ড নারী এককে বাংলাদেশের চার আর্চারের মধ্যে তিনজন ‘বাই’ পেয়েছে উঠেছেন ১/১৬-এর মঞ্চে।
ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারসেরা স্কোর করার পর বন্যা আক্তার বলেন, ‘আমি আমার পারফরম্যান্সে খুশি ছিলাম। আশা করি, ভালো কিছু দিতে পারবো। অনুশীলনে যে স্কোর ছিল, সেটা এখানে দিতে পেরেছি। বাতাস এখানে অনেক ছিল। বিশেষ করে প্রথম স্কোরিংয়ের সময় বাতাসটা বেশি ছিল। এতে একটু প্রভাব পড়েছে। তবে আস্তে আস্তে এটা কমে গেছে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রথমবার ক্যারিয়ারসেরা স্কোর করেছি। এটা কালকের জন্য কাজে দেবে। আমার আত্মবিশ্বাসও বাড়াবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এর আগেও দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। শেষবার কোরিয়ার আর্চারকে হারিয়েছিলাম। সেরা স্কোরটা যেন ধরে রাখতে পারি। ভারতের যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, তার সঙ্গেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে আমার। যদি সেরাটা দিতে পারি, তাহলে ভালো কিছুই হবে ইনশাহআল্লাহ। আমাদের দলটা শক্তিশালী, লক্ষ্যও অনেকদূর। যেহেতু স্কোরিংয়ের দিক দিয়ে এথন আমরা শক্তিশালী, আশা করি ভালো পজিশনে যেতে পারবো আমরা।’
এদিকে রিকার্ভ পুরুষ বিভাগে রিকার্ভ পুরুষ এককে সাগর, আলিফ ও রামকৃষ্ণের কাছেই প্রত্যাশা বেশি বাংলাদেশের। এলিমিনেশন রাউন্ডের প্রথম ধাপে অবশ্য এ ইভেন্টে বাংলাদেশের চার আর্চার ‘বাই’ পেয়েছেন। রামকৃষ্ণ সাহা দুটি ‘বাই’ পেয়ে একলাফে পৌঁছে গেছেন সেরা ষোলোতে। বাংলাদেশের বাকি তিন আর্চার মোহাম্মদ রাকিব ৬৪৭ স্কোর নিয়ে ৩২তম, সাগর ইসলাম ৬৩৯ স্কোর নিয়ে ৩৮তম ও আব্দুর রহমান আলিফ ৬৩৭ স্কোর নিয়ে ৪১তম হয়েছেন। রিকার্ভ আরচার রামকৃষ্ণ এখন এলিমিনেশন রাউন্ডে সেরাটা নিংড়ে দিতে উš§ুখ হয়ে আছেন। সেরা ষোলতে উঠে রামকৃষ্ণ বলেন, ‘আমার যথেষ্ট ভালো র্যাংকিং হয়েছে।
৬ নম্বর এসেছি, এটা আমার জন্য ভালো পজিশন। অবশ্যই বাতাস ছিল, বাতাসের প্রভাব ছিল। তারপরও আমার যা করার ছিল, সেটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। এখন যে স্কোর হয়েছে, সেটা ভালো। নকআউট এমন একটা রাউন্ড, যেখানে যে কেউ হারিয়ে দিতে পারে। আমি নিজের সেরা পারফরম্যান্স করতে পারলে অবশ্যই ভালো হবে। একটা পদক আশা করতে পারি।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান আর্চারি ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীরা
রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই শুরু হয়েছে। রোববার,(০৯ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে রিকার্ভ পুরুষ ও কম্পাউন্ড নারী বিভাগের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে বাংলাদেশের আর্চারদের মধ্যে আলো ছড়িয়েছেন বন্যা আক্তার ও রামকৃষ্ণ সাহা।
কম্পাউন্ড নারী বিভাগের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে বাংলাদেশের আর্চারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২তম হয়েছেন বন্যা আক্তার। ৬৯৩ স্কোর করেন তিনি। বন্যার এটি ব্যক্তিগত সেরা স্কোর। কম্পাউন্ড ইভেন্টে দলীয় রেকর্ড স্কোর (২০৬১) গড়েছে বাংলাদেশও। আগে ছিল ২০৪৫। ৭২ তীর ছোঁড়ার লড়াইয়ে শুরু থেকে নিশানা ঠিক রেখেছিলেন রামকৃষ্ণ। ৬২ প্রতিযোগীর মধ্যে ৬৬৮ স্কোর গড়ে ষষ্ঠ হন তিনি। কম্পাউন্ড নারী এককে বাংলাদেশের বাকি তিন আর্চার কুলসুম আক্তার ৬৮৮ স্কোর নিয়ে ১৭তম, পুষ্পিতা জামান ৬৮০ স্কোর নিয়ে ২৪তম ও মিথিলা আক্তার ৬৬২ স্কোর নিয়ে ৩২তম হয়েছেন। কম্পাউন্ড নারী এককে বাংলাদেশের চার আর্চারের মধ্যে তিনজন ‘বাই’ পেয়েছে উঠেছেন ১/১৬-এর মঞ্চে।
ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারসেরা স্কোর করার পর বন্যা আক্তার বলেন, ‘আমি আমার পারফরম্যান্সে খুশি ছিলাম। আশা করি, ভালো কিছু দিতে পারবো। অনুশীলনে যে স্কোর ছিল, সেটা এখানে দিতে পেরেছি। বাতাস এখানে অনেক ছিল। বিশেষ করে প্রথম স্কোরিংয়ের সময় বাতাসটা বেশি ছিল। এতে একটু প্রভাব পড়েছে। তবে আস্তে আস্তে এটা কমে গেছে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রথমবার ক্যারিয়ারসেরা স্কোর করেছি। এটা কালকের জন্য কাজে দেবে। আমার আত্মবিশ্বাসও বাড়াবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এর আগেও দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। শেষবার কোরিয়ার আর্চারকে হারিয়েছিলাম। সেরা স্কোরটা যেন ধরে রাখতে পারি। ভারতের যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, তার সঙ্গেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে আমার। যদি সেরাটা দিতে পারি, তাহলে ভালো কিছুই হবে ইনশাহআল্লাহ। আমাদের দলটা শক্তিশালী, লক্ষ্যও অনেকদূর। যেহেতু স্কোরিংয়ের দিক দিয়ে এথন আমরা শক্তিশালী, আশা করি ভালো পজিশনে যেতে পারবো আমরা।’
এদিকে রিকার্ভ পুরুষ বিভাগে রিকার্ভ পুরুষ এককে সাগর, আলিফ ও রামকৃষ্ণের কাছেই প্রত্যাশা বেশি বাংলাদেশের। এলিমিনেশন রাউন্ডের প্রথম ধাপে অবশ্য এ ইভেন্টে বাংলাদেশের চার আর্চার ‘বাই’ পেয়েছেন। রামকৃষ্ণ সাহা দুটি ‘বাই’ পেয়ে একলাফে পৌঁছে গেছেন সেরা ষোলোতে। বাংলাদেশের বাকি তিন আর্চার মোহাম্মদ রাকিব ৬৪৭ স্কোর নিয়ে ৩২তম, সাগর ইসলাম ৬৩৯ স্কোর নিয়ে ৩৮তম ও আব্দুর রহমান আলিফ ৬৩৭ স্কোর নিয়ে ৪১তম হয়েছেন। রিকার্ভ আরচার রামকৃষ্ণ এখন এলিমিনেশন রাউন্ডে সেরাটা নিংড়ে দিতে উš§ুখ হয়ে আছেন। সেরা ষোলতে উঠে রামকৃষ্ণ বলেন, ‘আমার যথেষ্ট ভালো র্যাংকিং হয়েছে।
৬ নম্বর এসেছি, এটা আমার জন্য ভালো পজিশন। অবশ্যই বাতাস ছিল, বাতাসের প্রভাব ছিল। তারপরও আমার যা করার ছিল, সেটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। এখন যে স্কোর হয়েছে, সেটা ভালো। নকআউট এমন একটা রাউন্ড, যেখানে যে কেউ হারিয়ে দিতে পারে। আমি নিজের সেরা পারফরম্যান্স করতে পারলে অবশ্যই ভালো হবে। একটা পদক আশা করতে পারি।’