গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কৃষকরা পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে কম মূল্যে পাট কিনছে। এছাড়া বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্লাস্টিক। এর প্রভাবে পাটজাত দ্রব্যের বেচাকেনা কমে গেছে। পাশাপাশি কালিয়াকৈরের কৃষকরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহার আমাদের জীবনে কী কী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তার একটি উদাহরণ হচ্ছে কালিয়াকৈরের ঘটনা। সেখানে বাজারঘাটে নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটের অস্তিত্বই আজ সংকটের মুখে পড়েছে।
শুধু কালিয়াকৈরে নয়, সারাদেশে পলিথিনের ব্যবহার বেড়েছে। সরকার ২০০২ সালে পলিথিন উৎপাদন, ব্যবহার, বিপণন ও বাজারজাতকরণের ওপর আইন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু আইনের কঠোর প্রয়োগের অভাবে সেটা দুই যুগেও কার্যকর হয়নি। একটা আইন করলেই সব কাজ শেষ হয়ে যায় না। সেটা সঠিকভাবে প্রয়োগ হলো কিনা এবং জনগণ এর সুবিধাভোগ করতে পারছে কিনা সেটাও নজরদারির প্রয়োজন।
বাংলাদেশে ১০০ কারখানায় প্রতিদিন ১ লাখ ৪০ হাজার টন প্লাস্টিক উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে- পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা যাচ্ছে না। আর এটা বন্ধ না হওয়ায় খেসারত দিতে হচ্ছে পাটশিল্পকে। পাটশিল্পকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আইনের কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে স্থায়ীভাবে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
পাশাপাশি এটাও ভাবতে হবে যে, দেশে পাটশিল্পের দুরবস্থার পেছনে শুধু পলিথিনের ব্যবহারই এককভাবে দায়ী নয়। কৃষিনির্ভর দেশে অর্থকারী সোনালি আঁশের পাট আজ বিলুপ্তির পথে। এর কারণ কী সেটা গবেষণা করে বের করতে হবে। পাটশিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। সবার আগে জরুরি হচ্ছে, কৃষককে ন্যায্যমূল্য দেয়া। কৃষক যদি পাট বিক্রি করে উৎপাদন খরচ ওঠাতে না পারেন তাহলে তারা পাট চাষে নিরুৎসাহিত হবেন। ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে কালিয়াকৈরের কৃষকরা পাটের সঠিক দাম পান না বলে যে অভিযোগ তুলেছেন সেটা আমলে নিতে হবে এবং তারা যাতে ন্যায্য দাম পান সে ব্যবস্থা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কৃষকরা পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে কম মূল্যে পাট কিনছে। এছাড়া বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্লাস্টিক। এর প্রভাবে পাটজাত দ্রব্যের বেচাকেনা কমে গেছে। পাশাপাশি কালিয়াকৈরের কৃষকরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহার আমাদের জীবনে কী কী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তার একটি উদাহরণ হচ্ছে কালিয়াকৈরের ঘটনা। সেখানে বাজারঘাটে নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটের অস্তিত্বই আজ সংকটের মুখে পড়েছে।
শুধু কালিয়াকৈরে নয়, সারাদেশে পলিথিনের ব্যবহার বেড়েছে। সরকার ২০০২ সালে পলিথিন উৎপাদন, ব্যবহার, বিপণন ও বাজারজাতকরণের ওপর আইন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু আইনের কঠোর প্রয়োগের অভাবে সেটা দুই যুগেও কার্যকর হয়নি। একটা আইন করলেই সব কাজ শেষ হয়ে যায় না। সেটা সঠিকভাবে প্রয়োগ হলো কিনা এবং জনগণ এর সুবিধাভোগ করতে পারছে কিনা সেটাও নজরদারির প্রয়োজন।
বাংলাদেশে ১০০ কারখানায় প্রতিদিন ১ লাখ ৪০ হাজার টন প্লাস্টিক উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে- পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা যাচ্ছে না। আর এটা বন্ধ না হওয়ায় খেসারত দিতে হচ্ছে পাটশিল্পকে। পাটশিল্পকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আইনের কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে স্থায়ীভাবে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
পাশাপাশি এটাও ভাবতে হবে যে, দেশে পাটশিল্পের দুরবস্থার পেছনে শুধু পলিথিনের ব্যবহারই এককভাবে দায়ী নয়। কৃষিনির্ভর দেশে অর্থকারী সোনালি আঁশের পাট আজ বিলুপ্তির পথে। এর কারণ কী সেটা গবেষণা করে বের করতে হবে। পাটশিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। সবার আগে জরুরি হচ্ছে, কৃষককে ন্যায্যমূল্য দেয়া। কৃষক যদি পাট বিক্রি করে উৎপাদন খরচ ওঠাতে না পারেন তাহলে তারা পাট চাষে নিরুৎসাহিত হবেন। ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে কালিয়াকৈরের কৃষকরা পাটের সঠিক দাম পান না বলে যে অভিযোগ তুলেছেন সেটা আমলে নিতে হবে এবং তারা যাতে ন্যায্য দাম পান সে ব্যবস্থা করতে হবে।