alt

সম্পাদকীয়

কৃষককে পাটের ন্যায্যমূল্য দিতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কৃষকরা পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে কম মূল্যে পাট কিনছে। এছাড়া বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্লাস্টিক। এর প্রভাবে পাটজাত দ্রব্যের বেচাকেনা কমে গেছে। পাশাপাশি কালিয়াকৈরের কৃষকরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহার আমাদের জীবনে কী কী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তার একটি উদাহরণ হচ্ছে কালিয়াকৈরের ঘটনা। সেখানে বাজারঘাটে নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটের অস্তিত্বই আজ সংকটের মুখে পড়েছে।

শুধু কালিয়াকৈরে নয়, সারাদেশে পলিথিনের ব্যবহার বেড়েছে। সরকার ২০০২ সালে পলিথিন উৎপাদন, ব্যবহার, বিপণন ও বাজারজাতকরণের ওপর আইন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু আইনের কঠোর প্রয়োগের অভাবে সেটা দুই যুগেও কার্যকর হয়নি। একটা আইন করলেই সব কাজ শেষ হয়ে যায় না। সেটা সঠিকভাবে প্রয়োগ হলো কিনা এবং জনগণ এর সুবিধাভোগ করতে পারছে কিনা সেটাও নজরদারির প্রয়োজন।

বাংলাদেশে ১০০ কারখানায় প্রতিদিন ১ লাখ ৪০ হাজার টন প্লাস্টিক উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে- পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা যাচ্ছে না। আর এটা বন্ধ না হওয়ায় খেসারত দিতে হচ্ছে পাটশিল্পকে। পাটশিল্পকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আইনের কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে স্থায়ীভাবে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

পাশাপাশি এটাও ভাবতে হবে যে, দেশে পাটশিল্পের দুরবস্থার পেছনে শুধু পলিথিনের ব্যবহারই এককভাবে দায়ী নয়। কৃষিনির্ভর দেশে অর্থকারী সোনালি আঁশের পাট আজ বিলুপ্তির পথে। এর কারণ কী সেটা গবেষণা করে বের করতে হবে। পাটশিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। সবার আগে জরুরি হচ্ছে, কৃষককে ন্যায্যমূল্য দেয়া। কৃষক যদি পাট বিক্রি করে উৎপাদন খরচ ওঠাতে না পারেন তাহলে তারা পাট চাষে নিরুৎসাহিত হবেন। ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে কালিয়াকৈরের কৃষকরা পাটের সঠিক দাম পান না বলে যে অভিযোগ তুলেছেন সেটা আমলে নিতে হবে এবং তারা যাতে ন্যায্য দাম পান সে ব্যবস্থা করতে হবে।

ধোপাজান নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নিন

চলনবিলে পাখি শিকার : জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

কর্ণফুলী নদীর সাম্পান মাঝিদের অভিযোগ আমলে নিন

অপরিকল্পিত উন্নয়নে বন-জলাশয়ের বিপর্যয়

নওগাঁয় আমন ধানে পচন, কৃষকদের পাশে দাঁড়ান

কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন : নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি

সংরক্ষিত বনভূমিতে অবৈধ বালু উত্তোলন

মতপ্রকাশের কারণে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি!

আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির প্রকল্প : একটি ভালো উদ্যোগ

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : জেলেদের খাদ্য সহায়তার ঘাটতি ও সমাধানের পথ

দারিদ্র্যের উদ্বেগজনক চিত্র

চড়া বাজারের চাপে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন জনবল সংকট দূর করুন

উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশ রক্ষা করে

নদীর পাড় দখল : পরিবেশ এবং সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি

বিচার বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগ করা কাম্য নয়

অবৈধ ইটভাটা : আইনের অমান্যতা ও প্রশাসনের নীরবতা

ভবদহের জলাবদ্ধতা ও আত্মঘাতী প্রকল্পের বিপর্যয়

চায়না দুয়ারী জাল : জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি

চাল সংরক্ষণের সাইলো : অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতা : কৃষকদের দুর্দশার শেষ কোথায়?

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : টেকসই মৎস্যসম্পদ রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা

জলাবদ্ধতার প্রভাব ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষা : জরুরি সমাধান প্রয়োজন

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

tab

সম্পাদকীয়

কৃষককে পাটের ন্যায্যমূল্য দিতে হবে

বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কৃষকরা পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে কম মূল্যে পাট কিনছে। এছাড়া বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্লাস্টিক। এর প্রভাবে পাটজাত দ্রব্যের বেচাকেনা কমে গেছে। পাশাপাশি কালিয়াকৈরের কৃষকরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহার আমাদের জীবনে কী কী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তার একটি উদাহরণ হচ্ছে কালিয়াকৈরের ঘটনা। সেখানে বাজারঘাটে নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটের অস্তিত্বই আজ সংকটের মুখে পড়েছে।

শুধু কালিয়াকৈরে নয়, সারাদেশে পলিথিনের ব্যবহার বেড়েছে। সরকার ২০০২ সালে পলিথিন উৎপাদন, ব্যবহার, বিপণন ও বাজারজাতকরণের ওপর আইন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু আইনের কঠোর প্রয়োগের অভাবে সেটা দুই যুগেও কার্যকর হয়নি। একটা আইন করলেই সব কাজ শেষ হয়ে যায় না। সেটা সঠিকভাবে প্রয়োগ হলো কিনা এবং জনগণ এর সুবিধাভোগ করতে পারছে কিনা সেটাও নজরদারির প্রয়োজন।

বাংলাদেশে ১০০ কারখানায় প্রতিদিন ১ লাখ ৪০ হাজার টন প্লাস্টিক উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে- পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা যাচ্ছে না। আর এটা বন্ধ না হওয়ায় খেসারত দিতে হচ্ছে পাটশিল্পকে। পাটশিল্পকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আইনের কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে স্থায়ীভাবে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

পাশাপাশি এটাও ভাবতে হবে যে, দেশে পাটশিল্পের দুরবস্থার পেছনে শুধু পলিথিনের ব্যবহারই এককভাবে দায়ী নয়। কৃষিনির্ভর দেশে অর্থকারী সোনালি আঁশের পাট আজ বিলুপ্তির পথে। এর কারণ কী সেটা গবেষণা করে বের করতে হবে। পাটশিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। সবার আগে জরুরি হচ্ছে, কৃষককে ন্যায্যমূল্য দেয়া। কৃষক যদি পাট বিক্রি করে উৎপাদন খরচ ওঠাতে না পারেন তাহলে তারা পাট চাষে নিরুৎসাহিত হবেন। ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে কালিয়াকৈরের কৃষকরা পাটের সঠিক দাম পান না বলে যে অভিযোগ তুলেছেন সেটা আমলে নিতে হবে এবং তারা যাতে ন্যায্য দাম পান সে ব্যবস্থা করতে হবে।

back to top