alt

opinion » editorial

পানিশূন্য তিস্তা

: বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

ভারতের উজানে গত শুক্রবার বৃষ্টিপাত হওয়ায় পর গজলডোবা ব্যারেজ দিয়ে গত শনিবার পর্যন্ত তিস্তায় পানি এসেছে ৮শ’ কিউসেক। সেই পানি নদীর চরে মিশে শুকিয়ে গেছে। পানিশূন্য তিস্তার বাংলাদেশ অংশে এখন বিস্তীর্ণ চর। বর্ষার আগে নদীতে পানি প্রবাহের তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, তিস্তা ব্যারেজে নদীর পানি প্রবাহ সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।

উজানে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের প্রভাব পড়েছে তিস্তার ওপর। কাক্সিক্ষত তিস্তা চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে বলেছিলেন, চুক্তি নিয়ে ভারতের ভেতরেই সমস্যা আছে। তিস্তা চুক্তি যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছে। এখন জানা যাচ্ছে, তিস্তার পানি প্রত্যাহারে পশ্চিমবঙ্গ নতুন করে দুটি খাল কাটছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সেচ বিভাগ প্রায় এক হাজার একর পরিমাণ জমির মালিকানাও পেয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের সংকট আরও বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের করণীয় কী- সেটা একটা প্রশ্ন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তিস্তার পানি প্রত্যাহারে ভারতের পরিকল্পনা জানার চেষ্টা চলছে। তবে পানি প্রত্যাহারের এ পদক্ষেপ থেকে ভারতকে বিরত রাখা যাবে কিনা- সেটা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।

তিস্তা পানিশূন্য হয়ে পড়ায় শুধু যে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়। গোটা দেশের ওপরই এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সঙ্গিন হয়ে পড়েছে। প্রকৃতি-পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিস্তার শাখা-উপনদীগুলোও ধুঁকছে। এই করুণ দশার পেছনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্যর্থতাও রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তিস্তা নদী খননে তাদের গাফিলতির কথা শোনা যায়। পাউবো কোনো কোনো শাখা নদীর উৎস মুখ বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিয়মিত নদী খনন করা হলে শুকনো মৌসুমে পানি ধরে রাখা যেত বলে অনেকেই মনে করেন।

দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে। এটা বাস্তবায়ন করা গেলে নদীর সার্বিক পানি ব্যবস্থাপনা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনমত গড়ে উঠেছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারও আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি। আমরা আশা করব, এ বিষয়ে সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে। সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে জনমতকে আমলে নিতে হবে, জাতীয় স্বার্থকে অগ্রগণ্য করতে হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

পানিশূন্য তিস্তা

বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

ভারতের উজানে গত শুক্রবার বৃষ্টিপাত হওয়ায় পর গজলডোবা ব্যারেজ দিয়ে গত শনিবার পর্যন্ত তিস্তায় পানি এসেছে ৮শ’ কিউসেক। সেই পানি নদীর চরে মিশে শুকিয়ে গেছে। পানিশূন্য তিস্তার বাংলাদেশ অংশে এখন বিস্তীর্ণ চর। বর্ষার আগে নদীতে পানি প্রবাহের তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, তিস্তা ব্যারেজে নদীর পানি প্রবাহ সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।

উজানে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের প্রভাব পড়েছে তিস্তার ওপর। কাক্সিক্ষত তিস্তা চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে বলেছিলেন, চুক্তি নিয়ে ভারতের ভেতরেই সমস্যা আছে। তিস্তা চুক্তি যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছে। এখন জানা যাচ্ছে, তিস্তার পানি প্রত্যাহারে পশ্চিমবঙ্গ নতুন করে দুটি খাল কাটছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সেচ বিভাগ প্রায় এক হাজার একর পরিমাণ জমির মালিকানাও পেয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের সংকট আরও বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের করণীয় কী- সেটা একটা প্রশ্ন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তিস্তার পানি প্রত্যাহারে ভারতের পরিকল্পনা জানার চেষ্টা চলছে। তবে পানি প্রত্যাহারের এ পদক্ষেপ থেকে ভারতকে বিরত রাখা যাবে কিনা- সেটা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।

তিস্তা পানিশূন্য হয়ে পড়ায় শুধু যে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়। গোটা দেশের ওপরই এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সঙ্গিন হয়ে পড়েছে। প্রকৃতি-পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিস্তার শাখা-উপনদীগুলোও ধুঁকছে। এই করুণ দশার পেছনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্যর্থতাও রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তিস্তা নদী খননে তাদের গাফিলতির কথা শোনা যায়। পাউবো কোনো কোনো শাখা নদীর উৎস মুখ বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিয়মিত নদী খনন করা হলে শুকনো মৌসুমে পানি ধরে রাখা যেত বলে অনেকেই মনে করেন।

দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে। এটা বাস্তবায়ন করা গেলে নদীর সার্বিক পানি ব্যবস্থাপনা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনমত গড়ে উঠেছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারও আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি। আমরা আশা করব, এ বিষয়ে সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে। সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে জনমতকে আমলে নিতে হবে, জাতীয় স্বার্থকে অগ্রগণ্য করতে হবে।

back to top