ডেঙ্গুজ্বর এখন আর মৌসুমি রোগ বলার উপায় নেই। আমাদের দেশে এটি একটি স্থায়ী সংকটে পরিণত হয়েছে। সাধারণত প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এর প্রকোপ বেড়ে যায়। নভেম্বরে সাধারণত ডেঙ্গুর সংক্রমণ কমে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত মাসে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার ১০ জন মারা গেছেন। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক মাসের অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের ফলে মশার প্রজননস্থল বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ, মশা নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম যথেষ্ট কার্যকর হয়নি। অনেক হাসপাতালে চিকিৎসক ও সেবার ঘাটতি রয়েছে। এখনি যদি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে নজর দেয়া না হয়, মানুষকে যদি সচেতন করা না হয়, তাহলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে পারে। ডেঙ্গুর বিস্তার যে শুধু আবহাওয়ার পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল, তা নয়। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, মশার ঘনত্ব বেড়েছে। এতে করে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে, মশা নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম আরও জোরালো করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামোকে আরও উন্নত ও ঢেলে সাজানোর সময় এসেছে। চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসকদের অভাব, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ঘাটতি এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার অভাবÑএগুলো সবই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কাজকে কঠিন করে তুলছে।
ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার প্রজনন রোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। পরিবার থেকে শুরু করে স্থানীয় কমিউনিটি সবার উচিত মশার প্রজনন স্থানগুলো পরিষ্কার রাখা। নাগরিকদের ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। স্কুল, কলেজ, এবং স্থানীয় সংগঠনগুলোকে এই বিষয়ে শিক্ষা ও প্রচারে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, জনগণের অংশগ্রহণই পারে এই সংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করতে।
একক প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু মোকাবিলা করা অসম্ভব। ডেঙ্গু প্রতিরোধের কাজ হচ্ছে একটি সম্মিলিত আন্দোলন। সচেতনতা বাড়িয়ে, এই অসুখের প্রকোপ কমানোর জন্য সবাই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ডেঙ্গুর মতো রোগ মোকাবিলা করে আমাদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে আমাদেরকেই।
সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪
ডেঙ্গুজ্বর এখন আর মৌসুমি রোগ বলার উপায় নেই। আমাদের দেশে এটি একটি স্থায়ী সংকটে পরিণত হয়েছে। সাধারণত প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এর প্রকোপ বেড়ে যায়। নভেম্বরে সাধারণত ডেঙ্গুর সংক্রমণ কমে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত মাসে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার ১০ জন মারা গেছেন। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক মাসের অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের ফলে মশার প্রজননস্থল বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ, মশা নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম যথেষ্ট কার্যকর হয়নি। অনেক হাসপাতালে চিকিৎসক ও সেবার ঘাটতি রয়েছে। এখনি যদি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে নজর দেয়া না হয়, মানুষকে যদি সচেতন করা না হয়, তাহলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে পারে। ডেঙ্গুর বিস্তার যে শুধু আবহাওয়ার পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল, তা নয়। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, মশার ঘনত্ব বেড়েছে। এতে করে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে, মশা নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম আরও জোরালো করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামোকে আরও উন্নত ও ঢেলে সাজানোর সময় এসেছে। চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসকদের অভাব, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ঘাটতি এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার অভাবÑএগুলো সবই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কাজকে কঠিন করে তুলছে।
ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার প্রজনন রোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। পরিবার থেকে শুরু করে স্থানীয় কমিউনিটি সবার উচিত মশার প্রজনন স্থানগুলো পরিষ্কার রাখা। নাগরিকদের ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। স্কুল, কলেজ, এবং স্থানীয় সংগঠনগুলোকে এই বিষয়ে শিক্ষা ও প্রচারে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, জনগণের অংশগ্রহণই পারে এই সংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করতে।
একক প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু মোকাবিলা করা অসম্ভব। ডেঙ্গু প্রতিরোধের কাজ হচ্ছে একটি সম্মিলিত আন্দোলন। সচেতনতা বাড়িয়ে, এই অসুখের প্রকোপ কমানোর জন্য সবাই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ডেঙ্গুর মতো রোগ মোকাবিলা করে আমাদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে আমাদেরকেই।