alt

opinion » editorial

ডেঙ্গু পরিস্থিতি কি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ¬চলে যাচ্ছে

: সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গুজ্বর এখন আর মৌসুমি রোগ বলার উপায় নেই। আমাদের দেশে এটি একটি স্থায়ী সংকটে পরিণত হয়েছে। সাধারণত প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এর প্রকোপ বেড়ে যায়। নভেম্বরে সাধারণত ডেঙ্গুর সংক্রমণ কমে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত মাসে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার ১০ জন মারা গেছেন। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক মাসের অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের ফলে মশার প্রজননস্থল বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ, মশা নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম যথেষ্ট কার্যকর হয়নি। অনেক হাসপাতালে চিকিৎসক ও সেবার ঘাটতি রয়েছে। এখনি যদি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে নজর দেয়া না হয়, মানুষকে যদি সচেতন করা না হয়, তাহলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে পারে। ডেঙ্গুর বিস্তার যে শুধু আবহাওয়ার পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল, তা নয়। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, মশার ঘনত্ব বেড়েছে। এতে করে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে, মশা নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম আরও জোরালো করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামোকে আরও উন্নত ও ঢেলে সাজানোর সময় এসেছে। চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসকদের অভাব, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ঘাটতি এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার অভাবÑএগুলো সবই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কাজকে কঠিন করে তুলছে।

ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার প্রজনন রোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। পরিবার থেকে শুরু করে স্থানীয় কমিউনিটি সবার উচিত মশার প্রজনন স্থানগুলো পরিষ্কার রাখা। নাগরিকদের ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। স্কুল, কলেজ, এবং স্থানীয় সংগঠনগুলোকে এই বিষয়ে শিক্ষা ও প্রচারে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, জনগণের অংশগ্রহণই পারে এই সংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করতে।

একক প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু মোকাবিলা করা অসম্ভব। ডেঙ্গু প্রতিরোধের কাজ হচ্ছে একটি সম্মিলিত আন্দোলন। সচেতনতা বাড়িয়ে, এই অসুখের প্রকোপ কমানোর জন্য সবাই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ডেঙ্গুর মতো রোগ মোকাবিলা করে আমাদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে আমাদেরকেই।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

ডেঙ্গু পরিস্থিতি কি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ¬চলে যাচ্ছে

সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গুজ্বর এখন আর মৌসুমি রোগ বলার উপায় নেই। আমাদের দেশে এটি একটি স্থায়ী সংকটে পরিণত হয়েছে। সাধারণত প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এর প্রকোপ বেড়ে যায়। নভেম্বরে সাধারণত ডেঙ্গুর সংক্রমণ কমে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত মাসে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার ১০ জন মারা গেছেন। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক মাসের অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের ফলে মশার প্রজননস্থল বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ, মশা নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম যথেষ্ট কার্যকর হয়নি। অনেক হাসপাতালে চিকিৎসক ও সেবার ঘাটতি রয়েছে। এখনি যদি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে নজর দেয়া না হয়, মানুষকে যদি সচেতন করা না হয়, তাহলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে পারে। ডেঙ্গুর বিস্তার যে শুধু আবহাওয়ার পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল, তা নয়। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, মশার ঘনত্ব বেড়েছে। এতে করে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে, মশা নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম আরও জোরালো করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামোকে আরও উন্নত ও ঢেলে সাজানোর সময় এসেছে। চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসকদের অভাব, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ঘাটতি এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার অভাবÑএগুলো সবই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কাজকে কঠিন করে তুলছে।

ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার প্রজনন রোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। পরিবার থেকে শুরু করে স্থানীয় কমিউনিটি সবার উচিত মশার প্রজনন স্থানগুলো পরিষ্কার রাখা। নাগরিকদের ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। স্কুল, কলেজ, এবং স্থানীয় সংগঠনগুলোকে এই বিষয়ে শিক্ষা ও প্রচারে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, জনগণের অংশগ্রহণই পারে এই সংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করতে।

একক প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু মোকাবিলা করা অসম্ভব। ডেঙ্গু প্রতিরোধের কাজ হচ্ছে একটি সম্মিলিত আন্দোলন। সচেতনতা বাড়িয়ে, এই অসুখের প্রকোপ কমানোর জন্য সবাই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ডেঙ্গুর মতো রোগ মোকাবিলা করে আমাদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে আমাদেরকেই।

back to top