alt

মতামত » সম্পাদকীয়

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

: সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

গত বছরে ৩১০ জন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক মারাত্মক সংকটের সংকেত। আঁচল ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬১ শতাংশই মেয়ে, এবং সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে (৪৯.৪%)। এটি শুধু পরিবারের জন্যই একটি অভিশাপ নয়, বরং পুরো সমাজের জন্য একটি উদ্বেগজনক বিষয়।

সমীক্ষায় উঠে এসেছে, আত্মহত্যার কারণ হিসেবে অভিমান এবং পড়ালেখার চাপ অন্যতম বড় কারণ। প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা ঘটেছে, বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষাভিত্তিক চাপ, পরিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের জটিলতা, প্রেমের সম্পর্কের প্রতিকূলতাÑএসব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির একটি চিত্র ফুটে উঠছে।

এটি আমাদের সমাজের শিক্ষাব্যবস্থা এবং পরিবারগুলোর মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতির অভাবের একটি স্পষ্ট ছবি। বিশেষ করে, যখন দেখা যায় যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে, তখন সেই অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাব্যবস্থার ওপর নতুন করে চিন্তা করার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়।

যত দ্রুত সম্ভব, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা একীভূত করা প্রয়োজন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং সাহায্যের জন্য ‘স্বেচ্ছাসেবী অ্যাম্বাসেডর’ নিয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক চাপ এবং হতাশা কাটাতে, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃজনশীল থেরাপিÑযেমন আর্ট, মিউজিক, ড্যান্স থেরাপিÑচালু করা যেতে পারে।

অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের সাহায্য করার পরামর্শ দেয়া উচিত। শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা এবং আত্মবিশ্বাস উন্নয়ন নিশ্চিত করতে, নিয়মিত কর্মশালার আয়োজন করা উচিত। মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনার সূচনা করা যেতে পারে। আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে গবেষণা তহবিল এবং সরকারের উদ্যোগে কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হতে পারে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা গড়ে তোলা, তাদের সমস্যার সমাধানে সহায়তা প্রদান এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মাধ্যমে মানসিক চাপ হ্রাস করা সম্ভব।

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

গত বছরে ৩১০ জন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক মারাত্মক সংকটের সংকেত। আঁচল ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬১ শতাংশই মেয়ে, এবং সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে (৪৯.৪%)। এটি শুধু পরিবারের জন্যই একটি অভিশাপ নয়, বরং পুরো সমাজের জন্য একটি উদ্বেগজনক বিষয়।

সমীক্ষায় উঠে এসেছে, আত্মহত্যার কারণ হিসেবে অভিমান এবং পড়ালেখার চাপ অন্যতম বড় কারণ। প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা ঘটেছে, বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষাভিত্তিক চাপ, পরিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের জটিলতা, প্রেমের সম্পর্কের প্রতিকূলতাÑএসব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির একটি চিত্র ফুটে উঠছে।

এটি আমাদের সমাজের শিক্ষাব্যবস্থা এবং পরিবারগুলোর মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতির অভাবের একটি স্পষ্ট ছবি। বিশেষ করে, যখন দেখা যায় যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে, তখন সেই অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাব্যবস্থার ওপর নতুন করে চিন্তা করার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়।

যত দ্রুত সম্ভব, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা একীভূত করা প্রয়োজন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং সাহায্যের জন্য ‘স্বেচ্ছাসেবী অ্যাম্বাসেডর’ নিয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক চাপ এবং হতাশা কাটাতে, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃজনশীল থেরাপিÑযেমন আর্ট, মিউজিক, ড্যান্স থেরাপিÑচালু করা যেতে পারে।

অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের সাহায্য করার পরামর্শ দেয়া উচিত। শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা এবং আত্মবিশ্বাস উন্নয়ন নিশ্চিত করতে, নিয়মিত কর্মশালার আয়োজন করা উচিত। মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনার সূচনা করা যেতে পারে। আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে গবেষণা তহবিল এবং সরকারের উদ্যোগে কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হতে পারে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা গড়ে তোলা, তাদের সমস্যার সমাধানে সহায়তা প্রদান এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মাধ্যমে মানসিক চাপ হ্রাস করা সম্ভব।

back to top