গত বছরে ৩১০ জন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক মারাত্মক সংকটের সংকেত। আঁচল ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬১ শতাংশই মেয়ে, এবং সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে (৪৯.৪%)। এটি শুধু পরিবারের জন্যই একটি অভিশাপ নয়, বরং পুরো সমাজের জন্য একটি উদ্বেগজনক বিষয়।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে, আত্মহত্যার কারণ হিসেবে অভিমান এবং পড়ালেখার চাপ অন্যতম বড় কারণ। প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা ঘটেছে, বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষাভিত্তিক চাপ, পরিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের জটিলতা, প্রেমের সম্পর্কের প্রতিকূলতাÑএসব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির একটি চিত্র ফুটে উঠছে।
এটি আমাদের সমাজের শিক্ষাব্যবস্থা এবং পরিবারগুলোর মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতির অভাবের একটি স্পষ্ট ছবি। বিশেষ করে, যখন দেখা যায় যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে, তখন সেই অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাব্যবস্থার ওপর নতুন করে চিন্তা করার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়।
যত দ্রুত সম্ভব, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা একীভূত করা প্রয়োজন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং সাহায্যের জন্য ‘স্বেচ্ছাসেবী অ্যাম্বাসেডর’ নিয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক চাপ এবং হতাশা কাটাতে, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃজনশীল থেরাপিÑযেমন আর্ট, মিউজিক, ড্যান্স থেরাপিÑচালু করা যেতে পারে।
অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের সাহায্য করার পরামর্শ দেয়া উচিত। শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা এবং আত্মবিশ্বাস উন্নয়ন নিশ্চিত করতে, নিয়মিত কর্মশালার আয়োজন করা উচিত। মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনার সূচনা করা যেতে পারে। আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে গবেষণা তহবিল এবং সরকারের উদ্যোগে কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হতে পারে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা গড়ে তোলা, তাদের সমস্যার সমাধানে সহায়তা প্রদান এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মাধ্যমে মানসিক চাপ হ্রাস করা সম্ভব।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
গত বছরে ৩১০ জন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক মারাত্মক সংকটের সংকেত। আঁচল ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬১ শতাংশই মেয়ে, এবং সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে (৪৯.৪%)। এটি শুধু পরিবারের জন্যই একটি অভিশাপ নয়, বরং পুরো সমাজের জন্য একটি উদ্বেগজনক বিষয়।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে, আত্মহত্যার কারণ হিসেবে অভিমান এবং পড়ালেখার চাপ অন্যতম বড় কারণ। প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা ঘটেছে, বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষাভিত্তিক চাপ, পরিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের জটিলতা, প্রেমের সম্পর্কের প্রতিকূলতাÑএসব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির একটি চিত্র ফুটে উঠছে।
এটি আমাদের সমাজের শিক্ষাব্যবস্থা এবং পরিবারগুলোর মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতির অভাবের একটি স্পষ্ট ছবি। বিশেষ করে, যখন দেখা যায় যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে, তখন সেই অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাব্যবস্থার ওপর নতুন করে চিন্তা করার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়।
যত দ্রুত সম্ভব, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা একীভূত করা প্রয়োজন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং সাহায্যের জন্য ‘স্বেচ্ছাসেবী অ্যাম্বাসেডর’ নিয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক চাপ এবং হতাশা কাটাতে, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃজনশীল থেরাপিÑযেমন আর্ট, মিউজিক, ড্যান্স থেরাপিÑচালু করা যেতে পারে।
অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের সাহায্য করার পরামর্শ দেয়া উচিত। শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা এবং আত্মবিশ্বাস উন্নয়ন নিশ্চিত করতে, নিয়মিত কর্মশালার আয়োজন করা উচিত। মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনার সূচনা করা যেতে পারে। আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে গবেষণা তহবিল এবং সরকারের উদ্যোগে কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হতে পারে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা গড়ে তোলা, তাদের সমস্যার সমাধানে সহায়তা প্রদান এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মাধ্যমে মানসিক চাপ হ্রাস করা সম্ভব।