সুন্দরবনে হরিণের সংখ্যা ১৯ বছরে প্রায় ৫৩ হাজার বেড়েছে, এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) জরিপ অনুযায়ী, এখন সেখানে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৪টি হরিণের বসবাস। কিন্তু এই বৃদ্ধি শুধু প্রাকৃতিক ভারসাম্যের সমৃদ্ধি নয়, বরং এক নতুন সংকটের ইঙ্গিতও দেয়, যেটি হলোÑ হরিণ শিকার।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করেন, সুন্দরবনে হরিণের সংখ্যা বাড়ার পেছনে কিছু ইতিবাচক কারণ রয়েছে, যেমনÑ বন বিভাগের নিয়মিত টহল ও দস্যুদের দমন। তবে, এই উন্নতির পরেও চোরাশিকারি চক্রের তৎপরতা এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে হরিণের মাংসের চাহিদা বাড়ার কারণে, সুন্দরবনসংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা এই অবৈধ শিকারে জড়িয়ে পড়ছেন।
এরই মধ্যে কিছু স্থানীয় চোরাশিকারি চক্র নিয়মিত হরিণ শিকার করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। আইন প্রয়োগে দুর্বলতার অভিযোগ রয়েছে। ফলস্বরূপ, শুধু হরিণের সংখ্যাই কমছে না, বরং সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
হরিণ শিকার শুধু পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক নয়, এটি সুন্দরবনের সুরক্ষিত বাস্তুসংস্থানকেও ধ্বংস করতে পারে। বাঘের প্রধান খাবার হরিণ এবং যখন হরিণের সংখ্যা কমে যাবে, তখন নতুন বিপদ হাজির হবে; এ কারণে হরিণ শিকার বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।
এই পরিস্থিতিতে, সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। বন বিভাগের টহল বাড়ানো, চোরাশিকারিদের ধরার জন্য বিশেষ অভিযান এবং শক্তিশালী আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এছাড়া বন সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় জনগণকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে, যাতে তারা বনসংলগ্ন জীববৈচির্ত্যের গুরুত্ব বুঝতে পারে এবং অবৈধ শিকার থেকে বিরত থাকে।
সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প জীবিকা এবং সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন বনজীবীরা জীবিকা অর্জনের জন্য বনভিত্তিক কর্মকা-ে যুক্ত হন, তখন তাদের বিকল্প সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন, যাতে তারা চোরাশিকারি চক্রে যোগ না দেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
সুন্দরবনে হরিণের সংখ্যা ১৯ বছরে প্রায় ৫৩ হাজার বেড়েছে, এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) জরিপ অনুযায়ী, এখন সেখানে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৪টি হরিণের বসবাস। কিন্তু এই বৃদ্ধি শুধু প্রাকৃতিক ভারসাম্যের সমৃদ্ধি নয়, বরং এক নতুন সংকটের ইঙ্গিতও দেয়, যেটি হলোÑ হরিণ শিকার।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করেন, সুন্দরবনে হরিণের সংখ্যা বাড়ার পেছনে কিছু ইতিবাচক কারণ রয়েছে, যেমনÑ বন বিভাগের নিয়মিত টহল ও দস্যুদের দমন। তবে, এই উন্নতির পরেও চোরাশিকারি চক্রের তৎপরতা এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে হরিণের মাংসের চাহিদা বাড়ার কারণে, সুন্দরবনসংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা এই অবৈধ শিকারে জড়িয়ে পড়ছেন।
এরই মধ্যে কিছু স্থানীয় চোরাশিকারি চক্র নিয়মিত হরিণ শিকার করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। আইন প্রয়োগে দুর্বলতার অভিযোগ রয়েছে। ফলস্বরূপ, শুধু হরিণের সংখ্যাই কমছে না, বরং সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
হরিণ শিকার শুধু পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক নয়, এটি সুন্দরবনের সুরক্ষিত বাস্তুসংস্থানকেও ধ্বংস করতে পারে। বাঘের প্রধান খাবার হরিণ এবং যখন হরিণের সংখ্যা কমে যাবে, তখন নতুন বিপদ হাজির হবে; এ কারণে হরিণ শিকার বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।
এই পরিস্থিতিতে, সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। বন বিভাগের টহল বাড়ানো, চোরাশিকারিদের ধরার জন্য বিশেষ অভিযান এবং শক্তিশালী আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এছাড়া বন সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় জনগণকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে, যাতে তারা বনসংলগ্ন জীববৈচির্ত্যের গুরুত্ব বুঝতে পারে এবং অবৈধ শিকার থেকে বিরত থাকে।
সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প জীবিকা এবং সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন বনজীবীরা জীবিকা অর্জনের জন্য বনভিত্তিক কর্মকা-ে যুক্ত হন, তখন তাদের বিকল্প সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন, যাতে তারা চোরাশিকারি চক্রে যোগ না দেন।