alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

: মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

সুন্দরবনে হরিণের সংখ্যা ১৯ বছরে প্রায় ৫৩ হাজার বেড়েছে, এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) জরিপ অনুযায়ী, এখন সেখানে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৪টি হরিণের বসবাস। কিন্তু এই বৃদ্ধি শুধু প্রাকৃতিক ভারসাম্যের সমৃদ্ধি নয়, বরং এক নতুন সংকটের ইঙ্গিতও দেয়, যেটি হলোÑ হরিণ শিকার।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করেন, সুন্দরবনে হরিণের সংখ্যা বাড়ার পেছনে কিছু ইতিবাচক কারণ রয়েছে, যেমনÑ বন বিভাগের নিয়মিত টহল ও দস্যুদের দমন। তবে, এই উন্নতির পরেও চোরাশিকারি চক্রের তৎপরতা এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে হরিণের মাংসের চাহিদা বাড়ার কারণে, সুন্দরবনসংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা এই অবৈধ শিকারে জড়িয়ে পড়ছেন।

এরই মধ্যে কিছু স্থানীয় চোরাশিকারি চক্র নিয়মিত হরিণ শিকার করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। আইন প্রয়োগে দুর্বলতার অভিযোগ রয়েছে। ফলস্বরূপ, শুধু হরিণের সংখ্যাই কমছে না, বরং সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।

হরিণ শিকার শুধু পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক নয়, এটি সুন্দরবনের সুরক্ষিত বাস্তুসংস্থানকেও ধ্বংস করতে পারে। বাঘের প্রধান খাবার হরিণ এবং যখন হরিণের সংখ্যা কমে যাবে, তখন নতুন বিপদ হাজির হবে; এ কারণে হরিণ শিকার বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।

এই পরিস্থিতিতে, সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। বন বিভাগের টহল বাড়ানো, চোরাশিকারিদের ধরার জন্য বিশেষ অভিযান এবং শক্তিশালী আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এছাড়া বন সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় জনগণকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে, যাতে তারা বনসংলগ্ন জীববৈচির্ত্যের গুরুত্ব বুঝতে পারে এবং অবৈধ শিকার থেকে বিরত থাকে।

সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প জীবিকা এবং সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন বনজীবীরা জীবিকা অর্জনের জন্য বনভিত্তিক কর্মকা-ে যুক্ত হন, তখন তাদের বিকল্প সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন, যাতে তারা চোরাশিকারি চক্রে যোগ না দেন।

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

সুন্দরবনে হরিণের সংখ্যা ১৯ বছরে প্রায় ৫৩ হাজার বেড়েছে, এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) জরিপ অনুযায়ী, এখন সেখানে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৪টি হরিণের বসবাস। কিন্তু এই বৃদ্ধি শুধু প্রাকৃতিক ভারসাম্যের সমৃদ্ধি নয়, বরং এক নতুন সংকটের ইঙ্গিতও দেয়, যেটি হলোÑ হরিণ শিকার।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করেন, সুন্দরবনে হরিণের সংখ্যা বাড়ার পেছনে কিছু ইতিবাচক কারণ রয়েছে, যেমনÑ বন বিভাগের নিয়মিত টহল ও দস্যুদের দমন। তবে, এই উন্নতির পরেও চোরাশিকারি চক্রের তৎপরতা এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে হরিণের মাংসের চাহিদা বাড়ার কারণে, সুন্দরবনসংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা এই অবৈধ শিকারে জড়িয়ে পড়ছেন।

এরই মধ্যে কিছু স্থানীয় চোরাশিকারি চক্র নিয়মিত হরিণ শিকার করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। আইন প্রয়োগে দুর্বলতার অভিযোগ রয়েছে। ফলস্বরূপ, শুধু হরিণের সংখ্যাই কমছে না, বরং সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।

হরিণ শিকার শুধু পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক নয়, এটি সুন্দরবনের সুরক্ষিত বাস্তুসংস্থানকেও ধ্বংস করতে পারে। বাঘের প্রধান খাবার হরিণ এবং যখন হরিণের সংখ্যা কমে যাবে, তখন নতুন বিপদ হাজির হবে; এ কারণে হরিণ শিকার বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।

এই পরিস্থিতিতে, সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। বন বিভাগের টহল বাড়ানো, চোরাশিকারিদের ধরার জন্য বিশেষ অভিযান এবং শক্তিশালী আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এছাড়া বন সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় জনগণকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে, যাতে তারা বনসংলগ্ন জীববৈচির্ত্যের গুরুত্ব বুঝতে পারে এবং অবৈধ শিকার থেকে বিরত থাকে।

সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প জীবিকা এবং সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন বনজীবীরা জীবিকা অর্জনের জন্য বনভিত্তিক কর্মকা-ে যুক্ত হন, তখন তাদের বিকল্প সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন, যাতে তারা চোরাশিকারি চক্রে যোগ না দেন।

back to top