alt

সম্পাদকীয়

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

: বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

ফরিদপুরে অনেক রেলক্রসিং অরক্ষিত। সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জেলার মোট ৯০ কিলোমিটার রেলপথের মাঝে, ১৫টি স্টেশন এবং ২৭টি রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ২২টি অরক্ষিত। এ কারণে মাঝে মাঝে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। গত ৭ জানুয়ারি ফরিদপুর সদর উপজেলায় একটি ট্রেন দুর্ঘটনায় ৫ জন মারা গেছেন।

ফরিদপুরের গেরদা ইউনিয়নের কাফুরা রেলক্রসিংয়ের মতো বেশ কিছু স্থানে রেলক্রসিংগুলোতে গেটম্যান বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। এমনকি কিছু স্থানে দোকান বা অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, এসব অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান নিয়োগ এবং ব্যারিয়ার স্থাপন করা হলে দুর্ঘটনা অনেকটা কমে যাবে।

অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ের সমস্যা শুধু একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দেশের বিভিন্ন জেলার রেলপথে রয়েছে অরক্ষিত রেলক্রসিং। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী এবং পথচারীকে এসব ক্রসিং পেরিয়ে চলাচল করতে হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে, এসব রেলক্রসিংয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনো নিশ্চিত হয়নি। যখন কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, শুধু তখন বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে কিছুদিনের মধ্যে আবারও একই অবস্থা ফিরে আসে।

এই সমস্যা সমাধানে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একদিকে যেখানে অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলোতে গেটম্যান নিয়োগ এবং ব্যারিয়ার স্থাপন জরুরি, সেখানে অন্যদিকে জনগণকে সচেতন করতে হবে, যাতে তারা রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় সতর্ক থাকে। শুধু ফরিদপুরে নয়, দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও রেলক্রসিংয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে দেশের সব রেলক্রসিং নিরাপদ এবং দুর্ঘটনামুক্ত হয়। এছাড়া, রেলপথের সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে জনসাধারণের মধ্যে নিরাপদ যাতায়াতের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। যাত্রী, পথচারী এবং যানবাহন চালকদের সচেতনতা বাড়ানো গেলে অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেবে।

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

বনাঞ্চলের ধ্বংসের দায় কার

নির্মাণ কাজের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত

খাল-বিল দখল : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা : গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

ফরিদপুরে অনেক রেলক্রসিং অরক্ষিত। সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জেলার মোট ৯০ কিলোমিটার রেলপথের মাঝে, ১৫টি স্টেশন এবং ২৭টি রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ২২টি অরক্ষিত। এ কারণে মাঝে মাঝে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। গত ৭ জানুয়ারি ফরিদপুর সদর উপজেলায় একটি ট্রেন দুর্ঘটনায় ৫ জন মারা গেছেন।

ফরিদপুরের গেরদা ইউনিয়নের কাফুরা রেলক্রসিংয়ের মতো বেশ কিছু স্থানে রেলক্রসিংগুলোতে গেটম্যান বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। এমনকি কিছু স্থানে দোকান বা অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, এসব অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান নিয়োগ এবং ব্যারিয়ার স্থাপন করা হলে দুর্ঘটনা অনেকটা কমে যাবে।

অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ের সমস্যা শুধু একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দেশের বিভিন্ন জেলার রেলপথে রয়েছে অরক্ষিত রেলক্রসিং। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী এবং পথচারীকে এসব ক্রসিং পেরিয়ে চলাচল করতে হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে, এসব রেলক্রসিংয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনো নিশ্চিত হয়নি। যখন কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, শুধু তখন বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে কিছুদিনের মধ্যে আবারও একই অবস্থা ফিরে আসে।

এই সমস্যা সমাধানে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একদিকে যেখানে অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলোতে গেটম্যান নিয়োগ এবং ব্যারিয়ার স্থাপন জরুরি, সেখানে অন্যদিকে জনগণকে সচেতন করতে হবে, যাতে তারা রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় সতর্ক থাকে। শুধু ফরিদপুরে নয়, দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও রেলক্রসিংয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে দেশের সব রেলক্রসিং নিরাপদ এবং দুর্ঘটনামুক্ত হয়। এছাড়া, রেলপথের সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে জনসাধারণের মধ্যে নিরাপদ যাতায়াতের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। যাত্রী, পথচারী এবং যানবাহন চালকদের সচেতনতা বাড়ানো গেলে অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেবে।

back to top