ফরিদপুরে অনেক রেলক্রসিং অরক্ষিত। সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জেলার মোট ৯০ কিলোমিটার রেলপথের মাঝে, ১৫টি স্টেশন এবং ২৭টি রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ২২টি অরক্ষিত। এ কারণে মাঝে মাঝে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। গত ৭ জানুয়ারি ফরিদপুর সদর উপজেলায় একটি ট্রেন দুর্ঘটনায় ৫ জন মারা গেছেন।
ফরিদপুরের গেরদা ইউনিয়নের কাফুরা রেলক্রসিংয়ের মতো বেশ কিছু স্থানে রেলক্রসিংগুলোতে গেটম্যান বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। এমনকি কিছু স্থানে দোকান বা অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, এসব অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান নিয়োগ এবং ব্যারিয়ার স্থাপন করা হলে দুর্ঘটনা অনেকটা কমে যাবে।
অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ের সমস্যা শুধু একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দেশের বিভিন্ন জেলার রেলপথে রয়েছে অরক্ষিত রেলক্রসিং। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী এবং পথচারীকে এসব ক্রসিং পেরিয়ে চলাচল করতে হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে, এসব রেলক্রসিংয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনো নিশ্চিত হয়নি। যখন কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, শুধু তখন বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে কিছুদিনের মধ্যে আবারও একই অবস্থা ফিরে আসে।
এই সমস্যা সমাধানে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একদিকে যেখানে অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলোতে গেটম্যান নিয়োগ এবং ব্যারিয়ার স্থাপন জরুরি, সেখানে অন্যদিকে জনগণকে সচেতন করতে হবে, যাতে তারা রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় সতর্ক থাকে। শুধু ফরিদপুরে নয়, দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও রেলক্রসিংয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে দেশের সব রেলক্রসিং নিরাপদ এবং দুর্ঘটনামুক্ত হয়। এছাড়া, রেলপথের সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে জনসাধারণের মধ্যে নিরাপদ যাতায়াতের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। যাত্রী, পথচারী এবং যানবাহন চালকদের সচেতনতা বাড়ানো গেলে অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেবে।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
ফরিদপুরে অনেক রেলক্রসিং অরক্ষিত। সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জেলার মোট ৯০ কিলোমিটার রেলপথের মাঝে, ১৫টি স্টেশন এবং ২৭টি রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ২২টি অরক্ষিত। এ কারণে মাঝে মাঝে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। গত ৭ জানুয়ারি ফরিদপুর সদর উপজেলায় একটি ট্রেন দুর্ঘটনায় ৫ জন মারা গেছেন।
ফরিদপুরের গেরদা ইউনিয়নের কাফুরা রেলক্রসিংয়ের মতো বেশ কিছু স্থানে রেলক্রসিংগুলোতে গেটম্যান বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। এমনকি কিছু স্থানে দোকান বা অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, এসব অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান নিয়োগ এবং ব্যারিয়ার স্থাপন করা হলে দুর্ঘটনা অনেকটা কমে যাবে।
অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ের সমস্যা শুধু একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দেশের বিভিন্ন জেলার রেলপথে রয়েছে অরক্ষিত রেলক্রসিং। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী এবং পথচারীকে এসব ক্রসিং পেরিয়ে চলাচল করতে হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে, এসব রেলক্রসিংয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনো নিশ্চিত হয়নি। যখন কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, শুধু তখন বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে কিছুদিনের মধ্যে আবারও একই অবস্থা ফিরে আসে।
এই সমস্যা সমাধানে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একদিকে যেখানে অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলোতে গেটম্যান নিয়োগ এবং ব্যারিয়ার স্থাপন জরুরি, সেখানে অন্যদিকে জনগণকে সচেতন করতে হবে, যাতে তারা রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় সতর্ক থাকে। শুধু ফরিদপুরে নয়, দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও রেলক্রসিংয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে দেশের সব রেলক্রসিং নিরাপদ এবং দুর্ঘটনামুক্ত হয়। এছাড়া, রেলপথের সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে জনসাধারণের মধ্যে নিরাপদ যাতায়াতের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। যাত্রী, পথচারী এবং যানবাহন চালকদের সচেতনতা বাড়ানো গেলে অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেবে।