বরগুনার আমতলী উপজেলায় শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ থাকার ঘটনায় যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ১০টি গুরুত্বপূর্ণ রোগ প্রতিরোধে ব্যবহৃত ভ্যাকসিনের অভাবে অনেক শিশুর স্বাস্থ্য এখন চরম ঝুঁকিতে। এমন পরিস্থিতি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
ইপিআই কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়। এই ভ্যাকসিনগুলো নিউমোনিয়া, পোলিও, হাম, রুবেলা, যক্ষ্মা, হুপিংকাশি, ধনুষ্টাংকার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি এবং হাম রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু টিটির (টিটেনাস টক্সয়েড) টিকা ছাড়া বাকি ৯টি ভ্যাকসিন গত দুই মাস ধরে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায়, শিশুরা রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে, যা তাদের পরিবারের জন্য গভীর দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, সরবরাহ সংকটের কারণে ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। যদিও কর্মকর্তারা আশা করছেন, চলতি মাসের শেষে বা পরবর্তী মাসের শুরুতে ভ্যাকসিন সরবরাহ পুনরায় শুরু হবে। তবে এই প্রতিশ্রুতি এখনো অনিশ্চিত এবং বাস্তবায়ন বিলম্বিত হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
আমরা বলতে চাই, ভ্যাকসিন সরবরাহ ব্যবস্থা দ্রুততর করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং বিতরণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে লজিস্টিক সাপোর্ট এবং সরবরাহ চেইন সঠিকভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন।
একটি জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখার জন্য টিকাদান কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বরগুনার আমতলীতে ভ্যাকসিন সংকটের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, তা অবিলম্বে সমাধান করা প্রয়োজন। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এই সংকট সমাধান করতে হবে, যাতে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হয় এবং অভিভাবকরা দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে পারেন। এ ধরনের সংকট যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
বরগুনার আমতলী উপজেলায় শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ থাকার ঘটনায় যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ১০টি গুরুত্বপূর্ণ রোগ প্রতিরোধে ব্যবহৃত ভ্যাকসিনের অভাবে অনেক শিশুর স্বাস্থ্য এখন চরম ঝুঁকিতে। এমন পরিস্থিতি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
ইপিআই কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়। এই ভ্যাকসিনগুলো নিউমোনিয়া, পোলিও, হাম, রুবেলা, যক্ষ্মা, হুপিংকাশি, ধনুষ্টাংকার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি এবং হাম রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু টিটির (টিটেনাস টক্সয়েড) টিকা ছাড়া বাকি ৯টি ভ্যাকসিন গত দুই মাস ধরে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায়, শিশুরা রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে, যা তাদের পরিবারের জন্য গভীর দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, সরবরাহ সংকটের কারণে ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। যদিও কর্মকর্তারা আশা করছেন, চলতি মাসের শেষে বা পরবর্তী মাসের শুরুতে ভ্যাকসিন সরবরাহ পুনরায় শুরু হবে। তবে এই প্রতিশ্রুতি এখনো অনিশ্চিত এবং বাস্তবায়ন বিলম্বিত হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
আমরা বলতে চাই, ভ্যাকসিন সরবরাহ ব্যবস্থা দ্রুততর করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং বিতরণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে লজিস্টিক সাপোর্ট এবং সরবরাহ চেইন সঠিকভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন।
একটি জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখার জন্য টিকাদান কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বরগুনার আমতলীতে ভ্যাকসিন সংকটের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, তা অবিলম্বে সমাধান করা প্রয়োজন। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এই সংকট সমাধান করতে হবে, যাতে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হয় এবং অভিভাবকরা দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে পারেন। এ ধরনের সংকট যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি।