alt

সম্পাদকীয়





























  • download

ধর্ষণ, মব ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা : শুধু যেন কথার কথা না হয়

: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

দেশে নৈরাজ্য, ধর্ষণ ও মব জাস্টিসের ঘটনা গত কয়েক মাসে যে হারে বেড়েছে, তা উদ্বেগজনক। মাগুরার আট বছরের শিশু ধর্ষণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তা, গাজীপুরে শিশু ধর্ষণসহ একের পর এক ঘটনা জনমনে ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিদিন গড়ে ১২টি ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে।

এই পরিসংখ্যান শুধু সংখ্যা নয়, এর পেছনে রয়েছে অসংখ্য জীবনের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। সাম্প্রতিক সময়ে অরাজকতা, নৈরাজ্য, ধর্ষণের কারণে মানুষ প্রতিবাদ করছে। এরপর সরকারের টনক নড়েছে। এখন সরকার বলছে দ্রুততার সঙ্গে বিচার হবে। উপদেষ্টারা বলেছেন, স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে মব জাস্টিস, নৈরাজ্য বা ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দেরিতে হলেও তাদের যে শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে সেজন্য ধন্যবাদ। আশা করব, এটা কথার কথা থাকবে না। সব মবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। একজন উপদেষ্টা বলেছেন, সব মবের হিসাব আছে।

ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনে এবং বিচার ৯০ দিনে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা, জামিন না দেয়ার প্রস্তাব এবং আইন সংশোধনের উদ্যোগ ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যায়। তবে, এই বার্তাগুলো যেন শুধু কথার কথা না হয়, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। আমরা আশা করব, পক্ষপাতহীনভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশা করব, যে বার্তা দেয়া হচ্ছে তাতে আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না।

তবে সতর্কও থাকতে হবে। ১৫ দিনে তদন্ত করা হবে। তবে যেনতেন তদন্ত যেন না হয়। দেশে পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। উদোর পি-ি যেন বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া না হয়। সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। অপরাধীদের শনাক্তকরণে ডিএনএ প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকারের উচিত ডিএনএ সংরক্ষণ ও পরীক্ষার সুবিধা সারা দেশে সম্প্রসারণ করা, যাতে তদন্তে কোনো ত্রুটি না থাকে।

ধর্ষণ ও নৈরাজ্যের ঘটনাগুলো শুধু আইনশৃঙ্খলার বিষয় নয়, এর পেছনে রয়েছে গভীর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যা। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা, অপরাধীদের প্রশ্রয় দেয়ার প্রবণতা এবং বিচারে দীর্ঘসূত্রতা এই অপরাধ বাড়ার পেছনে বড় কারণ। সরকারের পাশাপাশি সমাজের সব স্তর থেকে সচেতনতা ও প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ একমাত্র এই অপরাধ কমাতে পারে।

পরিশেষে বলতে চাই, সরকারের আসলেই টনক নড়লে দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতির উন্নতি হবে। দেশ নৈরাজ্যের দিকে চলে গেছে। একে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তার ফল কারও জন্য ভালো হবে না, সরকারের জন্য তো নয়ই।

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

tab

সম্পাদকীয়

ধর্ষণ, মব ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা : শুধু যেন কথার কথা না হয়

  • download

মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

দেশে নৈরাজ্য, ধর্ষণ ও মব জাস্টিসের ঘটনা গত কয়েক মাসে যে হারে বেড়েছে, তা উদ্বেগজনক। মাগুরার আট বছরের শিশু ধর্ষণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তা, গাজীপুরে শিশু ধর্ষণসহ একের পর এক ঘটনা জনমনে ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিদিন গড়ে ১২টি ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে।

এই পরিসংখ্যান শুধু সংখ্যা নয়, এর পেছনে রয়েছে অসংখ্য জীবনের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। সাম্প্রতিক সময়ে অরাজকতা, নৈরাজ্য, ধর্ষণের কারণে মানুষ প্রতিবাদ করছে। এরপর সরকারের টনক নড়েছে। এখন সরকার বলছে দ্রুততার সঙ্গে বিচার হবে। উপদেষ্টারা বলেছেন, স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে মব জাস্টিস, নৈরাজ্য বা ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দেরিতে হলেও তাদের যে শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে সেজন্য ধন্যবাদ। আশা করব, এটা কথার কথা থাকবে না। সব মবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। একজন উপদেষ্টা বলেছেন, সব মবের হিসাব আছে।

ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনে এবং বিচার ৯০ দিনে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা, জামিন না দেয়ার প্রস্তাব এবং আইন সংশোধনের উদ্যোগ ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যায়। তবে, এই বার্তাগুলো যেন শুধু কথার কথা না হয়, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। আমরা আশা করব, পক্ষপাতহীনভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশা করব, যে বার্তা দেয়া হচ্ছে তাতে আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না।

তবে সতর্কও থাকতে হবে। ১৫ দিনে তদন্ত করা হবে। তবে যেনতেন তদন্ত যেন না হয়। দেশে পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। উদোর পি-ি যেন বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া না হয়। সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। অপরাধীদের শনাক্তকরণে ডিএনএ প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকারের উচিত ডিএনএ সংরক্ষণ ও পরীক্ষার সুবিধা সারা দেশে সম্প্রসারণ করা, যাতে তদন্তে কোনো ত্রুটি না থাকে।

ধর্ষণ ও নৈরাজ্যের ঘটনাগুলো শুধু আইনশৃঙ্খলার বিষয় নয়, এর পেছনে রয়েছে গভীর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যা। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা, অপরাধীদের প্রশ্রয় দেয়ার প্রবণতা এবং বিচারে দীর্ঘসূত্রতা এই অপরাধ বাড়ার পেছনে বড় কারণ। সরকারের পাশাপাশি সমাজের সব স্তর থেকে সচেতনতা ও প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ একমাত্র এই অপরাধ কমাতে পারে।

পরিশেষে বলতে চাই, সরকারের আসলেই টনক নড়লে দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতির উন্নতি হবে। দেশ নৈরাজ্যের দিকে চলে গেছে। একে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তার ফল কারও জন্য ভালো হবে না, সরকারের জন্য তো নয়ই।

back to top