চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বালু সিন্ডিকেটের বেপরোয়া কার্যকলাপ এখন আর শুধু পরিবেশ দূষণ বা জনস্বাস্থ্যের হুমকির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; এটি এখন একটি সামাজিক ও প্রশাসনিক সংকটে রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন বালুভর্তি ট্রাক ও ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট ধুলোবালি শুধু বাতাসকে বিষাক্ত করছে না, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্কুলে যাওয়ার পথ বন্ধ করে দিচ্ছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনকে নরকতুল্য করে তুলছে। পুঁইছড়ি ছড়ার মতো প্রাকৃতিক সম্পদকে ধ্বংস করে, বসতবাড়ি বিলীন করে এবং পাহাড়ি এলাকার পরিবেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়ে এই সিন্ডিকেট যে অপরাধ সংঘটিত করছে, তা আর নীরবে মেনে নেয়ার সময় নেই।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো সত্ত্বেও বালু উত্তোলনের এই অবৈধ ব্যবসা থামছে না। রাতের আঁধারে মেশিন বসিয়ে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই চক্র তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এমনকি ইজারাকৃত জায়গা ছেড়ে অন্যত্র বালি উত্তোলনের মতো কার্যকলাপও তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ছড়া খালে পরিণত হয়েছে, বসতি ভেঙে পড়ছে এবং পাহাড়ি এলাকার পরিবেশ ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদকে হুমকি-ধমকি দিয়ে দমন করার অভিযোগও উঠেছে, যা প্রমাণ করে এই সিন্ডিকেট কতটা প্রভাবশালী ও নির্ভীক হয়ে উঠেছে।
এই পরিস্থিতির জন্য শুধু বালু সিন্ডিকেটকে দায়ী করলে চলবে না; প্রশাসনের দুর্বলতাও এখানে স্পষ্ট। অভিযান চালানোর পরও অপরাধীদের ধরতে না পারা, তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের কাছে হার মানা এবং শাস্তি কার্যকর করতে ব্যর্থতাÑএসবই প্রশ্ন তুলছে প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়ে।
বাঁশখালীর এই সংকট শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়, এটি পরিবেশ ধ্বংস ও অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর লড়াইয়ের প্রতীক। প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবেÑশুধু জরিমানা বা অভিযান নয়, এই সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে, পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয়দের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে হবে এবং বালি উত্তোলনের বৈধ প্রক্রিয়াকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বাঁশখালীবাসীর জীবন ও প্রকৃতি রক্ষায় আর দেরি নয়Ñএখনই সময় কঠোর পদক্ষেপের।
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বালু সিন্ডিকেটের বেপরোয়া কার্যকলাপ এখন আর শুধু পরিবেশ দূষণ বা জনস্বাস্থ্যের হুমকির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; এটি এখন একটি সামাজিক ও প্রশাসনিক সংকটে রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন বালুভর্তি ট্রাক ও ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট ধুলোবালি শুধু বাতাসকে বিষাক্ত করছে না, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্কুলে যাওয়ার পথ বন্ধ করে দিচ্ছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনকে নরকতুল্য করে তুলছে। পুঁইছড়ি ছড়ার মতো প্রাকৃতিক সম্পদকে ধ্বংস করে, বসতবাড়ি বিলীন করে এবং পাহাড়ি এলাকার পরিবেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়ে এই সিন্ডিকেট যে অপরাধ সংঘটিত করছে, তা আর নীরবে মেনে নেয়ার সময় নেই।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো সত্ত্বেও বালু উত্তোলনের এই অবৈধ ব্যবসা থামছে না। রাতের আঁধারে মেশিন বসিয়ে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই চক্র তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এমনকি ইজারাকৃত জায়গা ছেড়ে অন্যত্র বালি উত্তোলনের মতো কার্যকলাপও তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ছড়া খালে পরিণত হয়েছে, বসতি ভেঙে পড়ছে এবং পাহাড়ি এলাকার পরিবেশ ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদকে হুমকি-ধমকি দিয়ে দমন করার অভিযোগও উঠেছে, যা প্রমাণ করে এই সিন্ডিকেট কতটা প্রভাবশালী ও নির্ভীক হয়ে উঠেছে।
এই পরিস্থিতির জন্য শুধু বালু সিন্ডিকেটকে দায়ী করলে চলবে না; প্রশাসনের দুর্বলতাও এখানে স্পষ্ট। অভিযান চালানোর পরও অপরাধীদের ধরতে না পারা, তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের কাছে হার মানা এবং শাস্তি কার্যকর করতে ব্যর্থতাÑএসবই প্রশ্ন তুলছে প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়ে।
বাঁশখালীর এই সংকট শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়, এটি পরিবেশ ধ্বংস ও অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর লড়াইয়ের প্রতীক। প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবেÑশুধু জরিমানা বা অভিযান নয়, এই সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে, পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয়দের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে হবে এবং বালি উত্তোলনের বৈধ প্রক্রিয়াকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বাঁশখালীবাসীর জীবন ও প্রকৃতি রক্ষায় আর দেরি নয়Ñএখনই সময় কঠোর পদক্ষেপের।