alt

opinion » editorial

বালু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা জরুরি

: বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বালু সিন্ডিকেটের বেপরোয়া কার্যকলাপ এখন আর শুধু পরিবেশ দূষণ বা জনস্বাস্থ্যের হুমকির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; এটি এখন একটি সামাজিক ও প্রশাসনিক সংকটে রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন বালুভর্তি ট্রাক ও ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট ধুলোবালি শুধু বাতাসকে বিষাক্ত করছে না, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্কুলে যাওয়ার পথ বন্ধ করে দিচ্ছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনকে নরকতুল্য করে তুলছে। পুঁইছড়ি ছড়ার মতো প্রাকৃতিক সম্পদকে ধ্বংস করে, বসতবাড়ি বিলীন করে এবং পাহাড়ি এলাকার পরিবেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়ে এই সিন্ডিকেট যে অপরাধ সংঘটিত করছে, তা আর নীরবে মেনে নেয়ার সময় নেই।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো সত্ত্বেও বালু উত্তোলনের এই অবৈধ ব্যবসা থামছে না। রাতের আঁধারে মেশিন বসিয়ে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই চক্র তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এমনকি ইজারাকৃত জায়গা ছেড়ে অন্যত্র বালি উত্তোলনের মতো কার্যকলাপও তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ছড়া খালে পরিণত হয়েছে, বসতি ভেঙে পড়ছে এবং পাহাড়ি এলাকার পরিবেশ ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদকে হুমকি-ধমকি দিয়ে দমন করার অভিযোগও উঠেছে, যা প্রমাণ করে এই সিন্ডিকেট কতটা প্রভাবশালী ও নির্ভীক হয়ে উঠেছে।

এই পরিস্থিতির জন্য শুধু বালু সিন্ডিকেটকে দায়ী করলে চলবে না; প্রশাসনের দুর্বলতাও এখানে স্পষ্ট। অভিযান চালানোর পরও অপরাধীদের ধরতে না পারা, তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের কাছে হার মানা এবং শাস্তি কার্যকর করতে ব্যর্থতাÑএসবই প্রশ্ন তুলছে প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়ে।

বাঁশখালীর এই সংকট শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়, এটি পরিবেশ ধ্বংস ও অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর লড়াইয়ের প্রতীক। প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবেÑশুধু জরিমানা বা অভিযান নয়, এই সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে, পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয়দের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে হবে এবং বালি উত্তোলনের বৈধ প্রক্রিয়াকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বাঁশখালীবাসীর জীবন ও প্রকৃতি রক্ষায় আর দেরি নয়Ñএখনই সময় কঠোর পদক্ষেপের।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

বালু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা জরুরি

বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বালু সিন্ডিকেটের বেপরোয়া কার্যকলাপ এখন আর শুধু পরিবেশ দূষণ বা জনস্বাস্থ্যের হুমকির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; এটি এখন একটি সামাজিক ও প্রশাসনিক সংকটে রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন বালুভর্তি ট্রাক ও ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট ধুলোবালি শুধু বাতাসকে বিষাক্ত করছে না, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্কুলে যাওয়ার পথ বন্ধ করে দিচ্ছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনকে নরকতুল্য করে তুলছে। পুঁইছড়ি ছড়ার মতো প্রাকৃতিক সম্পদকে ধ্বংস করে, বসতবাড়ি বিলীন করে এবং পাহাড়ি এলাকার পরিবেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়ে এই সিন্ডিকেট যে অপরাধ সংঘটিত করছে, তা আর নীরবে মেনে নেয়ার সময় নেই।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো সত্ত্বেও বালু উত্তোলনের এই অবৈধ ব্যবসা থামছে না। রাতের আঁধারে মেশিন বসিয়ে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই চক্র তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এমনকি ইজারাকৃত জায়গা ছেড়ে অন্যত্র বালি উত্তোলনের মতো কার্যকলাপও তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ছড়া খালে পরিণত হয়েছে, বসতি ভেঙে পড়ছে এবং পাহাড়ি এলাকার পরিবেশ ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদকে হুমকি-ধমকি দিয়ে দমন করার অভিযোগও উঠেছে, যা প্রমাণ করে এই সিন্ডিকেট কতটা প্রভাবশালী ও নির্ভীক হয়ে উঠেছে।

এই পরিস্থিতির জন্য শুধু বালু সিন্ডিকেটকে দায়ী করলে চলবে না; প্রশাসনের দুর্বলতাও এখানে স্পষ্ট। অভিযান চালানোর পরও অপরাধীদের ধরতে না পারা, তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের কাছে হার মানা এবং শাস্তি কার্যকর করতে ব্যর্থতাÑএসবই প্রশ্ন তুলছে প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়ে।

বাঁশখালীর এই সংকট শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়, এটি পরিবেশ ধ্বংস ও অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর লড়াইয়ের প্রতীক। প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবেÑশুধু জরিমানা বা অভিযান নয়, এই সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে, পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয়দের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে হবে এবং বালি উত্তোলনের বৈধ প্রক্রিয়াকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বাঁশখালীবাসীর জীবন ও প্রকৃতি রক্ষায় আর দেরি নয়Ñএখনই সময় কঠোর পদক্ষেপের।

back to top