হাইল হাওরের জলাভূমি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ধনাঢ্য গোষ্ঠীর দখলে চলে যাচ্ছে। কোনো নিয়মনীতি, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন বা কৃষিজমি রক্ষার বিধান মানা হচ্ছে না। সরকারি খাস জমি, ছড়া, খাল এমনকি ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষিজমিও জাল দলিল, ভয়ভীতি, প্রলোভন ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দখল করা হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, একটি গোষ্ঠী এক হাজার একরের বেশি হাওরভূমি দখল করে এক্সকাভেটর দিয়ে খনন ও ব্যক্তিগত ফিশারি গড়ে তুলছে। পরিবেশবিদ, স্থানীয় কৃষক ও মৎস্যজীবীরা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে বারবার প্রতিবাদ জানালেও তাদের কণ্ঠরোধে ব্যবহৃত হচ্ছে মিথ্যা মামলা, হুমকি এবং ভয়ভীতি।
এই হাওর শুধু একটি জলাভূমি নয়, এটি একটি বাস্তুসংস্থান। যেখানে প্রায় ১৬০ প্রজাতির পাখির বিচরণ, শত শত বিল ও ছড়ার অস্তিত্ব ছিল। এই হাওর স্থানীয় কৃষকদের সেচের উৎস, মৎস্যজীবীদের জীবিকার ভরসা এবং পরিবেশের ভারসাম্যের প্রধান উপাদান। অথচ এই সম্পদ আজ এক নিষ্ঠুর লোভের শিকার।
প্রশ্ন হচ্ছে, পরিবেশ, জনজীবন, কৃষি ও প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংস করে কীভাবে উন্নয়ন সম্ভব? কীভাবে কোনো রাষ্ট্র একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত অঞ্চলকে কেবল কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠীর স্বার্থে ধ্বংস হতে দেয়?
আমরা বলতে চাই, হাইল হাওরের শ্রেণী পরিবর্তন করে শিল্পায়ন বন্ধ করতে হবে। বিল, ছড়া ও খালের স্বাভাবিক প্রবাহ পুনঃস্থাপন করে জলজ সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে হবে।
জনস্বার্থে, পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হাইল হাওর রক্ষা করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। এই দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে হাওরের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হবেÑ এখনই। নয়তো সামনে যে বিপর্যয় আসবে, তা শুধুই হাওরের নয়, আমাদের জাতির অস্তিত্বের ওপরই আঘাত হানবে।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
হাইল হাওরের জলাভূমি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ধনাঢ্য গোষ্ঠীর দখলে চলে যাচ্ছে। কোনো নিয়মনীতি, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন বা কৃষিজমি রক্ষার বিধান মানা হচ্ছে না। সরকারি খাস জমি, ছড়া, খাল এমনকি ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষিজমিও জাল দলিল, ভয়ভীতি, প্রলোভন ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দখল করা হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, একটি গোষ্ঠী এক হাজার একরের বেশি হাওরভূমি দখল করে এক্সকাভেটর দিয়ে খনন ও ব্যক্তিগত ফিশারি গড়ে তুলছে। পরিবেশবিদ, স্থানীয় কৃষক ও মৎস্যজীবীরা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে বারবার প্রতিবাদ জানালেও তাদের কণ্ঠরোধে ব্যবহৃত হচ্ছে মিথ্যা মামলা, হুমকি এবং ভয়ভীতি।
এই হাওর শুধু একটি জলাভূমি নয়, এটি একটি বাস্তুসংস্থান। যেখানে প্রায় ১৬০ প্রজাতির পাখির বিচরণ, শত শত বিল ও ছড়ার অস্তিত্ব ছিল। এই হাওর স্থানীয় কৃষকদের সেচের উৎস, মৎস্যজীবীদের জীবিকার ভরসা এবং পরিবেশের ভারসাম্যের প্রধান উপাদান। অথচ এই সম্পদ আজ এক নিষ্ঠুর লোভের শিকার।
প্রশ্ন হচ্ছে, পরিবেশ, জনজীবন, কৃষি ও প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংস করে কীভাবে উন্নয়ন সম্ভব? কীভাবে কোনো রাষ্ট্র একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত অঞ্চলকে কেবল কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠীর স্বার্থে ধ্বংস হতে দেয়?
আমরা বলতে চাই, হাইল হাওরের শ্রেণী পরিবর্তন করে শিল্পায়ন বন্ধ করতে হবে। বিল, ছড়া ও খালের স্বাভাবিক প্রবাহ পুনঃস্থাপন করে জলজ সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে হবে।
জনস্বার্থে, পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হাইল হাওর রক্ষা করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। এই দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে হাওরের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হবেÑ এখনই। নয়তো সামনে যে বিপর্যয় আসবে, তা শুধুই হাওরের নয়, আমাদের জাতির অস্তিত্বের ওপরই আঘাত হানবে।