alt

opinion » editorial

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

হাইল হাওরের জলাভূমি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ধনাঢ্য গোষ্ঠীর দখলে চলে যাচ্ছে। কোনো নিয়মনীতি, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন বা কৃষিজমি রক্ষার বিধান মানা হচ্ছে না। সরকারি খাস জমি, ছড়া, খাল এমনকি ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষিজমিও জাল দলিল, ভয়ভীতি, প্রলোভন ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দখল করা হচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, একটি গোষ্ঠী এক হাজার একরের বেশি হাওরভূমি দখল করে এক্সকাভেটর দিয়ে খনন ও ব্যক্তিগত ফিশারি গড়ে তুলছে। পরিবেশবিদ, স্থানীয় কৃষক ও মৎস্যজীবীরা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে বারবার প্রতিবাদ জানালেও তাদের কণ্ঠরোধে ব্যবহৃত হচ্ছে মিথ্যা মামলা, হুমকি এবং ভয়ভীতি।

এই হাওর শুধু একটি জলাভূমি নয়, এটি একটি বাস্তুসংস্থান। যেখানে প্রায় ১৬০ প্রজাতির পাখির বিচরণ, শত শত বিল ও ছড়ার অস্তিত্ব ছিল। এই হাওর স্থানীয় কৃষকদের সেচের উৎস, মৎস্যজীবীদের জীবিকার ভরসা এবং পরিবেশের ভারসাম্যের প্রধান উপাদান। অথচ এই সম্পদ আজ এক নিষ্ঠুর লোভের শিকার।

প্রশ্ন হচ্ছে, পরিবেশ, জনজীবন, কৃষি ও প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংস করে কীভাবে উন্নয়ন সম্ভব? কীভাবে কোনো রাষ্ট্র একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত অঞ্চলকে কেবল কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠীর স্বার্থে ধ্বংস হতে দেয়?

আমরা বলতে চাই, হাইল হাওরের শ্রেণী পরিবর্তন করে শিল্পায়ন বন্ধ করতে হবে। বিল, ছড়া ও খালের স্বাভাবিক প্রবাহ পুনঃস্থাপন করে জলজ সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে হবে।

জনস্বার্থে, পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হাইল হাওর রক্ষা করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। এই দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে হাওরের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হবেÑ এখনই। নয়তো সামনে যে বিপর্যয় আসবে, তা শুধুই হাওরের নয়, আমাদের জাতির অস্তিত্বের ওপরই আঘাত হানবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

হাইল হাওরের জলাভূমি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ধনাঢ্য গোষ্ঠীর দখলে চলে যাচ্ছে। কোনো নিয়মনীতি, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন বা কৃষিজমি রক্ষার বিধান মানা হচ্ছে না। সরকারি খাস জমি, ছড়া, খাল এমনকি ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষিজমিও জাল দলিল, ভয়ভীতি, প্রলোভন ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দখল করা হচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, একটি গোষ্ঠী এক হাজার একরের বেশি হাওরভূমি দখল করে এক্সকাভেটর দিয়ে খনন ও ব্যক্তিগত ফিশারি গড়ে তুলছে। পরিবেশবিদ, স্থানীয় কৃষক ও মৎস্যজীবীরা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে বারবার প্রতিবাদ জানালেও তাদের কণ্ঠরোধে ব্যবহৃত হচ্ছে মিথ্যা মামলা, হুমকি এবং ভয়ভীতি।

এই হাওর শুধু একটি জলাভূমি নয়, এটি একটি বাস্তুসংস্থান। যেখানে প্রায় ১৬০ প্রজাতির পাখির বিচরণ, শত শত বিল ও ছড়ার অস্তিত্ব ছিল। এই হাওর স্থানীয় কৃষকদের সেচের উৎস, মৎস্যজীবীদের জীবিকার ভরসা এবং পরিবেশের ভারসাম্যের প্রধান উপাদান। অথচ এই সম্পদ আজ এক নিষ্ঠুর লোভের শিকার।

প্রশ্ন হচ্ছে, পরিবেশ, জনজীবন, কৃষি ও প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংস করে কীভাবে উন্নয়ন সম্ভব? কীভাবে কোনো রাষ্ট্র একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত অঞ্চলকে কেবল কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠীর স্বার্থে ধ্বংস হতে দেয়?

আমরা বলতে চাই, হাইল হাওরের শ্রেণী পরিবর্তন করে শিল্পায়ন বন্ধ করতে হবে। বিল, ছড়া ও খালের স্বাভাবিক প্রবাহ পুনঃস্থাপন করে জলজ সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে হবে।

জনস্বার্থে, পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হাইল হাওর রক্ষা করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। এই দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে হাওরের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হবেÑ এখনই। নয়তো সামনে যে বিপর্যয় আসবে, তা শুধুই হাওরের নয়, আমাদের জাতির অস্তিত্বের ওপরই আঘাত হানবে।

back to top