alt

সম্পাদকীয়

হাসি ফুটুক কৃষকের মুখে

: বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০২২

আষাঢ় ফুরিয়ে শ্রাবণ এসেছে। শ্রাবণও যাই যাই করছে। এবারের বর্ষায় কাক্সিক্ষত বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টির মৌসুম গত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় জুলাইয়ে। কিন্তু এবারের জুলাইয়ে সেটা হয়নি। বরং বৃষ্টিহীনতার এক নতুন রেকর্ড হয়েছে এ বছরের জুলাইয়ে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর জুলাইয়ে গড় বৃষ্টি হয়েছে ২১১ মিলিমিটার। অথচ জুলাইয়ে দেশে গড় বৃষ্টিপাত হয় ৫০০ মিলিমিটার।

বৃষ্টির অভাবে বিপাকে পড়েছে চাষিরা। বিশেষ করে আমন ও পাট চাষিরা সংকটে পড়েছেন। কৃষি বিভাগ আশঙ্কা করছে, বৃষ্টির অভাবে অনেক অঞ্চলেই এ বছর আমন আবাদ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ধানের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হলে খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। বাড়বে আমদানি নির্ভরতা। এতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পাটের ফলন এবার ভালো হয়েছে। কিন্তু চাষিরা পাট জাগ দিতে পারছেন না। কারণ সেই একই। বৃষ্টি নেই বা কম। জলাশয়গুলোতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট জাগ দেয়া যাচ্ছে না।

ফসল উৎপাদনের বিভিন্ন স্তরে পানির প্রয়োজন অনস্বীকার্য। বৃষ্টির অভাব কৃষক পূরণ করবে কী দিয়ে সেটা একটা প্রশ্ন। সেচ দিয়ে আমনের আবাদ হয়তো করা যায় কিন্তু পাট জাগ দেয়া সম্ভব নয়। সেচেও দেখা দিয়েছে সংকট। লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক স্থানেই সেচকাজ ব্যাহত হচ্ছে। আবার পানি সেচ দেয়ার খরচের কারণে ফসলের উৎপাদন খরচও বাড়ে। এদিকে ইউরিয়া সারের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ছয় টাকা।

কৃষক স্বস্তি পাবে এমন কোন খবর মিলছে না। কৃষকের অস্বস্তি দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকেও অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি নিয়ে কী ভাবছে সেটা একটা প্রশ্ন। মহামারীতে যে সংকট দেখা দিয়েছিল সেটা কৃষি খাতের বদৌলতে বেশ ভালোভাবে সামলানো গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন বিপদ নিয়ে হাজির হয়েছে। এই বিপদ মোকাবিলা করতে হলেও কৃষি খাতে সাফল্য পেতে হবে, কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। আমরা চাই, দেশের কৃষকের মুখে হাসি ফুটুক। ফসলে ভরে যাক তাদের গোলা। আমরা তাদের সুদিন কামনা করছি।

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

হাসি ফুটুক কৃষকের মুখে

বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০২২

আষাঢ় ফুরিয়ে শ্রাবণ এসেছে। শ্রাবণও যাই যাই করছে। এবারের বর্ষায় কাক্সিক্ষত বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টির মৌসুম গত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় জুলাইয়ে। কিন্তু এবারের জুলাইয়ে সেটা হয়নি। বরং বৃষ্টিহীনতার এক নতুন রেকর্ড হয়েছে এ বছরের জুলাইয়ে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর জুলাইয়ে গড় বৃষ্টি হয়েছে ২১১ মিলিমিটার। অথচ জুলাইয়ে দেশে গড় বৃষ্টিপাত হয় ৫০০ মিলিমিটার।

বৃষ্টির অভাবে বিপাকে পড়েছে চাষিরা। বিশেষ করে আমন ও পাট চাষিরা সংকটে পড়েছেন। কৃষি বিভাগ আশঙ্কা করছে, বৃষ্টির অভাবে অনেক অঞ্চলেই এ বছর আমন আবাদ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ধানের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হলে খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। বাড়বে আমদানি নির্ভরতা। এতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পাটের ফলন এবার ভালো হয়েছে। কিন্তু চাষিরা পাট জাগ দিতে পারছেন না। কারণ সেই একই। বৃষ্টি নেই বা কম। জলাশয়গুলোতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট জাগ দেয়া যাচ্ছে না।

ফসল উৎপাদনের বিভিন্ন স্তরে পানির প্রয়োজন অনস্বীকার্য। বৃষ্টির অভাব কৃষক পূরণ করবে কী দিয়ে সেটা একটা প্রশ্ন। সেচ দিয়ে আমনের আবাদ হয়তো করা যায় কিন্তু পাট জাগ দেয়া সম্ভব নয়। সেচেও দেখা দিয়েছে সংকট। লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক স্থানেই সেচকাজ ব্যাহত হচ্ছে। আবার পানি সেচ দেয়ার খরচের কারণে ফসলের উৎপাদন খরচও বাড়ে। এদিকে ইউরিয়া সারের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ছয় টাকা।

কৃষক স্বস্তি পাবে এমন কোন খবর মিলছে না। কৃষকের অস্বস্তি দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকেও অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি নিয়ে কী ভাবছে সেটা একটা প্রশ্ন। মহামারীতে যে সংকট দেখা দিয়েছিল সেটা কৃষি খাতের বদৌলতে বেশ ভালোভাবে সামলানো গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন বিপদ নিয়ে হাজির হয়েছে। এই বিপদ মোকাবিলা করতে হলেও কৃষি খাতে সাফল্য পেতে হবে, কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। আমরা চাই, দেশের কৃষকের মুখে হাসি ফুটুক। ফসলে ভরে যাক তাদের গোলা। আমরা তাদের সুদিন কামনা করছি।

back to top