alt

সম্পাদকীয়

সেতু নির্মাণ করুন

: শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সাত গ্রামের হাজারো বাসিন্দার পারাপারের একমাত্র ভরসা জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো। ফতেহপুর গ্রামে ভাটা নদীর ওপর নির্মিত এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় তাদের। সেখানে প্রায়ই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। সম্প্রতি কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থী সাঁকো থেকে পড়ে আহত হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রায় ৩০ বছর আগে স্থানীয়দের অর্থায়নে এখানে ৩০০ মিটার দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। সাঁকোটি এখন জারাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়রা এখানে দীর্ঘদিন ধরেই একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। স্থানীয় প্রশাসনহ জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও সেতু নির্মাণের কোন উদ্যোগই নেয়া হয়নি।

ফতেপুর গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নানা কারণেই প্রতিনিয়ত আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের আসতে হয়। তাছাড়া উপজেলা সদরের সঙ্গেও যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ বাঁশের সাঁকো। সেখানে এতদিনে কেন একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলো না-সেটা একটা প্রশ্ন।

কোন এলাকায় আর্থসামাজিক উন্নয়নে সেতু বা কালভার্টের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রত্যন্ত এলাকাকে জেলা, উপজেলার সঙ্গে সহজেই যুক্ত করা যায় এর মাধ্যমে। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি কৃষিপণ্য ও মালামাল পরিবহনে গতি সঞ্চার করে।

দেশে বিভিন্ন সময়ই সেতু নির্মাণ নিয়ে নানা অনিয়ম আমাদের চোখে পড়ে। নির্মাণ হওয়ার পর একদিনও ব্যবহার না হওয়া সেতুর দেখাও মেলে। রাস্তাহীন সেসব সেতু নিয়ে কদিন পরপরই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হয়। আবার প্রয়োজন না থাকলেও কোথাও কোথাও সেতু নির্মাণ করা হয়। অথচ ফতেহপুর গ্রামের ভাটা নদীর উপর প্রয়োজনীয় সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে না।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন, সেখানে একটি সেতু অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করতে চাই, উক্ত নদীতে দ্রুত একটি সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। সেতুর জন্য এলাকার বাসিন্দাদের যেন যুগের পর যুগ অপেক্ষা করতে না হয়। দ্রুত তাদের ভোগান্তির অবসান হোক সেটাই প্রত্যাশা।

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

সেতু নির্মাণ করুন

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সাত গ্রামের হাজারো বাসিন্দার পারাপারের একমাত্র ভরসা জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো। ফতেহপুর গ্রামে ভাটা নদীর ওপর নির্মিত এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় তাদের। সেখানে প্রায়ই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। সম্প্রতি কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থী সাঁকো থেকে পড়ে আহত হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রায় ৩০ বছর আগে স্থানীয়দের অর্থায়নে এখানে ৩০০ মিটার দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। সাঁকোটি এখন জারাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়রা এখানে দীর্ঘদিন ধরেই একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। স্থানীয় প্রশাসনহ জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও সেতু নির্মাণের কোন উদ্যোগই নেয়া হয়নি।

ফতেপুর গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নানা কারণেই প্রতিনিয়ত আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের আসতে হয়। তাছাড়া উপজেলা সদরের সঙ্গেও যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ বাঁশের সাঁকো। সেখানে এতদিনে কেন একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলো না-সেটা একটা প্রশ্ন।

কোন এলাকায় আর্থসামাজিক উন্নয়নে সেতু বা কালভার্টের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রত্যন্ত এলাকাকে জেলা, উপজেলার সঙ্গে সহজেই যুক্ত করা যায় এর মাধ্যমে। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি কৃষিপণ্য ও মালামাল পরিবহনে গতি সঞ্চার করে।

দেশে বিভিন্ন সময়ই সেতু নির্মাণ নিয়ে নানা অনিয়ম আমাদের চোখে পড়ে। নির্মাণ হওয়ার পর একদিনও ব্যবহার না হওয়া সেতুর দেখাও মেলে। রাস্তাহীন সেসব সেতু নিয়ে কদিন পরপরই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হয়। আবার প্রয়োজন না থাকলেও কোথাও কোথাও সেতু নির্মাণ করা হয়। অথচ ফতেহপুর গ্রামের ভাটা নদীর উপর প্রয়োজনীয় সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে না।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন, সেখানে একটি সেতু অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করতে চাই, উক্ত নদীতে দ্রুত একটি সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। সেতুর জন্য এলাকার বাসিন্দাদের যেন যুগের পর যুগ অপেক্ষা করতে না হয়। দ্রুত তাদের ভোগান্তির অবসান হোক সেটাই প্রত্যাশা।

back to top