alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ শিকার বন্ধ করুন

: সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

সুন্দরবনের প্রায় ৭১৫ বর্গকিলোমিটার অভয়ারণ্য এলাকায় অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে। সাধারণ জেলেদের কাছে ওই এলাকার খাল ইজারা দিয়ে বছরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। খুলনার দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য এ চক্রের মূলহোতা বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।

বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সুন্দরবনের ৫২ শতাংশ এলাকা অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও মাছ প্রজননের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় ও খালে মাছ ধরা, কাঠ কাটাসহ সব ধরনের বনজ দ্রব্য আহরণ নিষিদ্ধ। কারণ বঙ্গোপসাগর থেকে বয়ে আসা এসব খাল ও নদ-নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মা-মাছ এসে ডিম ছাড়ে। এ কারণে সুন্দরবনের অন্যান্য নদী-খালের তুলনায় এসব খালে বেশি মাছ পাওয়া যায়।

অথচ এসব অভয়ারণ্যেই অবাধে চলছে মাছ শিকার। তাও সাধারণ প্রক্রিয়ায় নয়, ‘অসাধারণ প্রক্রিয়ায়’! গণমাধ্যমের প্রতিবেদন জানাচ্ছে- সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জের অভয়ারণ্য এলাকায় জেলেরা ঘন ফাঁসের জাল দিয়ে মাছ ধরছে। শুধু তাই নয়, এই এলাকায় কীটনাশক দিয়ে মাছ শিকার করছে জেলে নামের একশ্রেণির দুবর্ৃৃত্তরা। এভাবে মাছ শিকার করার কারণে সুন্দরবনের মাছের প্রজননক্ষেত্রগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ঘন ফাঁসের জালে মাছ শিকার করলে শুধু ছোট মাছই নয়, সব প্রজাতির জলজ প্রাণী উঠে আসে। আর কীটনাশক যেখানে প্রয়োগ করা হয়, সেখানে ছোট-বড় সব প্রজাতির মাছ মারা যায়। দুষ্কৃতকারীরা শুধু বড় মাছগুলো সংগ্রহ করে, ছোট মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী ফেলে দেয়। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলো বড় মাছের খাবার। ফলে ওই এলাকার খাদ্যচক্রেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে। আবার এই কীটনাশক মিশ্রিত পানি ভাটার টানে গভীর সমুদ্রের দিকে যাওয়ায় সেই এলাকার মাছও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, যেসব খালে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়, তার বিষক্রিয়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় চার মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত থাকে।

সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকার কথা। কারণ বনের নির্দিষ্ট এলাকার দায়িত্বে বনবিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে। রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারিও। এরপরও সেখানে নির্বিচারে মাছ শিকার করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, বনবিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ কী? তারা আসলে কী দায়িত্ব পালন করছে।

কীটনাশক প্রয়োগে মাছ শিকার, বনজ সম্পদ পাচার, বন্যপ্রাণী নিধনসহ বন ধ্বংসকারী পদক্ষেপ ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। তাই এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ শিকার বন্ধ করুন

সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

সুন্দরবনের প্রায় ৭১৫ বর্গকিলোমিটার অভয়ারণ্য এলাকায় অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে। সাধারণ জেলেদের কাছে ওই এলাকার খাল ইজারা দিয়ে বছরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। খুলনার দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য এ চক্রের মূলহোতা বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।

বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সুন্দরবনের ৫২ শতাংশ এলাকা অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও মাছ প্রজননের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় ও খালে মাছ ধরা, কাঠ কাটাসহ সব ধরনের বনজ দ্রব্য আহরণ নিষিদ্ধ। কারণ বঙ্গোপসাগর থেকে বয়ে আসা এসব খাল ও নদ-নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মা-মাছ এসে ডিম ছাড়ে। এ কারণে সুন্দরবনের অন্যান্য নদী-খালের তুলনায় এসব খালে বেশি মাছ পাওয়া যায়।

অথচ এসব অভয়ারণ্যেই অবাধে চলছে মাছ শিকার। তাও সাধারণ প্রক্রিয়ায় নয়, ‘অসাধারণ প্রক্রিয়ায়’! গণমাধ্যমের প্রতিবেদন জানাচ্ছে- সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জের অভয়ারণ্য এলাকায় জেলেরা ঘন ফাঁসের জাল দিয়ে মাছ ধরছে। শুধু তাই নয়, এই এলাকায় কীটনাশক দিয়ে মাছ শিকার করছে জেলে নামের একশ্রেণির দুবর্ৃৃত্তরা। এভাবে মাছ শিকার করার কারণে সুন্দরবনের মাছের প্রজননক্ষেত্রগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ঘন ফাঁসের জালে মাছ শিকার করলে শুধু ছোট মাছই নয়, সব প্রজাতির জলজ প্রাণী উঠে আসে। আর কীটনাশক যেখানে প্রয়োগ করা হয়, সেখানে ছোট-বড় সব প্রজাতির মাছ মারা যায়। দুষ্কৃতকারীরা শুধু বড় মাছগুলো সংগ্রহ করে, ছোট মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী ফেলে দেয়। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলো বড় মাছের খাবার। ফলে ওই এলাকার খাদ্যচক্রেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে। আবার এই কীটনাশক মিশ্রিত পানি ভাটার টানে গভীর সমুদ্রের দিকে যাওয়ায় সেই এলাকার মাছও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, যেসব খালে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়, তার বিষক্রিয়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় চার মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত থাকে।

সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকার কথা। কারণ বনের নির্দিষ্ট এলাকার দায়িত্বে বনবিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে। রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারিও। এরপরও সেখানে নির্বিচারে মাছ শিকার করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, বনবিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ কী? তারা আসলে কী দায়িত্ব পালন করছে।

কীটনাশক প্রয়োগে মাছ শিকার, বনজ সম্পদ পাচার, বন্যপ্রাণী নিধনসহ বন ধ্বংসকারী পদক্ষেপ ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। তাই এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

back to top