alt

মতামত » সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা

: বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

গত মঙ্গলবার সশস্ত্র দুর্বৃত্তের গুলিতে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুজন রোহিঙ্গা মারা গেছে। দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হয়েছে এক রোহিঙ্গা। উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী এলাকার ১৩ নম্বর ক্যাম্পে দুর্বৃত্তরা হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। মায়ানমারের সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এই হামলার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, আধিপত্য বিস্তার এবং পূর্বশত্রুতার জেরে হামলা চালানো হয়েছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ বা পূর্বশত্রুতার কারণে অতীতেও হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুধু আরাসা নয়, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়শিবির কেন্দ্র করে একাধিক সশস্ত্র গ্রুপ সক্রিয় আছে বলে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিটি সশস্ত্রগোষ্ঠীই ক্যাম্পে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। রাতের আঁধারে এসব গোষ্ঠীর অপতৎপরতা শুরু হয়। তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে আশ্রিত রোহিঙ্গারা তো বটেই, সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরাও নিরাপদ বোধ করেন না।

সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলো ক্যাম্পে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কোন কোন গোষ্ঠীর রয়েছে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য। যাদের অনেকেই চায় না রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশ মায়ানমারে ফিরে যাক। অতীতে দেশের নীতি-নির্ধারকদের এ কথা বলতে শোনা গেছে যে, রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠালে যাদের স্বার্থে আঘাত লাগবে তারাই ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলা ঘটাচ্ছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, সশস্ত্র এসব গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী কর্মাকান্ডে লাগাম টানা যাচ্ছে না কেন। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বাহিনী কি যথাযথবাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না? সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতার কারণ খুঁজে ব্যবস্থা নিতে হবে।

গোয়েন্দা কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সন্ত্রাসীদের হামলার বিষয়ে তারা আগাম তথ্য দিতে পারছে কিনা বা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন- সেই প্রশ্ন উঠেছে। কর্তৃপক্ষ দাবি করে, ক্যাম্পে নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। জোরদার নিরাপত্তা ও নজরদারির মধ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢুকতে পারে কী করে আর অপরাধ করে নির্বিঘ্নে গা-ঢাকা দেয় কিভাবে সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা বলতে চাই, ওই ঘটনার জন্য দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিভিন্ন সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর তৎপরতার কারণে ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়েছে। সরকারকে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ক্যাম্পে যেন আগামীতে আর কোন সন্ত্রাসী ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা

বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

গত মঙ্গলবার সশস্ত্র দুর্বৃত্তের গুলিতে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুজন রোহিঙ্গা মারা গেছে। দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হয়েছে এক রোহিঙ্গা। উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী এলাকার ১৩ নম্বর ক্যাম্পে দুর্বৃত্তরা হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। মায়ানমারের সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এই হামলার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, আধিপত্য বিস্তার এবং পূর্বশত্রুতার জেরে হামলা চালানো হয়েছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ বা পূর্বশত্রুতার কারণে অতীতেও হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুধু আরাসা নয়, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়শিবির কেন্দ্র করে একাধিক সশস্ত্র গ্রুপ সক্রিয় আছে বলে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিটি সশস্ত্রগোষ্ঠীই ক্যাম্পে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। রাতের আঁধারে এসব গোষ্ঠীর অপতৎপরতা শুরু হয়। তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে আশ্রিত রোহিঙ্গারা তো বটেই, সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরাও নিরাপদ বোধ করেন না।

সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলো ক্যাম্পে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কোন কোন গোষ্ঠীর রয়েছে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য। যাদের অনেকেই চায় না রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশ মায়ানমারে ফিরে যাক। অতীতে দেশের নীতি-নির্ধারকদের এ কথা বলতে শোনা গেছে যে, রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠালে যাদের স্বার্থে আঘাত লাগবে তারাই ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলা ঘটাচ্ছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, সশস্ত্র এসব গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী কর্মাকান্ডে লাগাম টানা যাচ্ছে না কেন। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বাহিনী কি যথাযথবাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না? সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতার কারণ খুঁজে ব্যবস্থা নিতে হবে।

গোয়েন্দা কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সন্ত্রাসীদের হামলার বিষয়ে তারা আগাম তথ্য দিতে পারছে কিনা বা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন- সেই প্রশ্ন উঠেছে। কর্তৃপক্ষ দাবি করে, ক্যাম্পে নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। জোরদার নিরাপত্তা ও নজরদারির মধ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢুকতে পারে কী করে আর অপরাধ করে নির্বিঘ্নে গা-ঢাকা দেয় কিভাবে সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা বলতে চাই, ওই ঘটনার জন্য দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিভিন্ন সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর তৎপরতার কারণে ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়েছে। সরকারকে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ক্যাম্পে যেন আগামীতে আর কোন সন্ত্রাসী ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

back to top