alt

চিঠিপত্র

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

: বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

হেমন্তের শেষে উত্তরের ঠান্ডা হাওয়া বইতে শুরু করলেই বোঝা যায় প্রকৃতিতে শীতের আগমন ঘটেছে। শীত প্রকৃতিতে নিয়ে আসে রিক্ততা। চারদিকে গাছপালা হয়ে উঠে ফুল ও পাতাহীন। এ সময় নদী-নালা, খাল-বিলগুলোতে পানি শুকাতে শুরু হয়। ঠিক তখনই ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে অতিথি পাখিরা। এসব পাখিদের আগমন ঘটে সাইবেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, এন্টার্কটিকাসহ উওর মেরুর বিভিন্ন দেশ থেকে। যখন এসবাই দেশে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় এবং তাপমাত্রা মাইনাস শূন্য ডিগ্রিতে নেমে আসে তখন দেশগুলোতে খাদ্যভাব দেখা দেয়।

শীতের তীব্রতায় পাখির জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়। প্রচন্ড শীতে পাখির দেহ থেকে পালক খসে পড়ে। তাই এসব পাখিরা খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য কম শীত ও অনুকূল পরিবেশের দেশে অতিথি হয়ে আসে। আর বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের দেশ হওয়ায় প্রতিবছর সাদরে গ্রহণ করে নেয় এসব পাখি। রাজহাঁস, গিরিয়া হাঁস, বালিহাঁস, গ্রাসওয়ার, ভোলাপাখি, বারহেড, খয়রা, খঞ্জনা, জলপিপি, লালশির, নীলশির, বড় সারস পাখি, ছোট সারস পাখিসহ বহু প্রজাতির পাখিদের আগমন ঘটে।

দেশর নানা প্রান্তে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। পাখির কিচিরমিচিরে মুখর হয়ে উঠে বাংলার প্রকৃতি। এছাড়া এসব পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবুও একশ্রেণির অসাধু, লোভী ও বিবেকবর্জিত লোকেরা অতিথি পাখি শিকারের আনন্দে মেতে উঠে। তারা বিভিন্ন ফাঁদ তৈরি করেন পাখি শিকারের জন্য। কেউ কেউ নিজেদের খাওয়ার জন্য আবার কেউ কেউ বিক্রির জন্য এসব পাখি শিকার করে থাকেন। সূদুর মেরু অঞ্চল থেকে জীবন বাঁচানোর জন্য উড়ে আসে এসব পাখি অথচ সেই পাখিদেরকেই শিকারীদের সামান্য স্বার্থের কাছে জীবন বিসর্জন দিতে হচ্ছে। প্রতিবছরই এভাবেই শিকারীদের ফাঁদে পড়ে হাজার হাজার পাখি প্রাণ হারাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়তই এসব পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

এভাবে যদি ভবিষ্যতেও পাখি নিধন চলতে থাকে তাহলে অচিরেই প্রকৃতি তার সৌন্দর্য হারাবে এবং বহু প্রজাতির পাখিরও বিলুপ্তি ঘটবে। আমাদের উচিত নিজেদের সামান্য স্বার্থ ত্যাগ করে শীতের প্রকোপ কমলে এসব অতিথি পাখিদের পুনরায় নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া। তাদের আশ্রয়কালীন সময়টুকুতে তাদের জন্য খাদ্য ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। প্রশাসনের উচিত শিকারিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা। পাখি নিধনের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এ বিষয়ে প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া উচিত বলে মনে করি।

খাদিজা আক্তার

ভাঙা হতে ফরিদপুর সদর সড়ক সংস্কার করুন

১০ম গ্রেড মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের ন্যায্য অধিকার

টিসিবির কার্যক্রম

শীতের সবজি সহজলভ্য করতে পদক্ষেপ প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি : সমাধান কোথায়

বিনোদপুর বাজারে ব্যানার অপসারণের দাবি

অভয়ারণ্যে মানুষের আনাগোনা

ঢাকা কলেজের শৌচাগারের বেহাল দশা

অভিভাবকদের প্রতি একটি ছোট্ট নিবেদন

নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের স্বাক্ষরতার হার বাড়ানো সময়ের দাবি

হোসেনপুর টু টোক সড়কের বেহাল অবস্থা

পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ হোক

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে পোষ্যকোটা

আসুন শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই

শীতে শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যতেœর প্রয়োজন

চাঁদাবাজি : নতুন সরকারের পুরোনো চ্যালেঞ্জ

প্রাণী নির্যাতন বন্ধ করুন

ভর্তিতে লটারি, জীবনে অভিশাপ

গুজব একটি সামাজিক ব্যাধি

জলবায়ু পরিবর্তন : বাংলাদেশের বর্তমান সংকট ও অভিযোজনের চ্যালেঞ্জ।

গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল চাই

ফসলের জন্য বন্ধুপোকা

নকল প্রসাধনীতে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ছাগলে চাটে বাঘের গাল

উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়তে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফার্মাসিস্ট

হল আবাসন আমার অধিকার

ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন

শব্দদূষণে অতিষ্ঠ শহরের জনজীবন

থার্টিফার্স্ট নাইট হোক স্বাভাবিক

বর্ষবরণে পরিবেশ দূষণ কাম্য নয়

লক্ষ্মীবাজার ও নারিন্দার রাস্তা শোচনীয়

প্রকৃতিকে বাঁচাতেই হবে

প্রাণীদের প্রতি সদয় হোন

সহকারী শিক্ষকরা কাদের সহকারী?

শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বাতিল করুন

স্বাস্থ্যসেবায় সংকট : রেফারেল ব্যবস্থার অভাব ও সমাধানের উপায়

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

হেমন্তের শেষে উত্তরের ঠান্ডা হাওয়া বইতে শুরু করলেই বোঝা যায় প্রকৃতিতে শীতের আগমন ঘটেছে। শীত প্রকৃতিতে নিয়ে আসে রিক্ততা। চারদিকে গাছপালা হয়ে উঠে ফুল ও পাতাহীন। এ সময় নদী-নালা, খাল-বিলগুলোতে পানি শুকাতে শুরু হয়। ঠিক তখনই ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে অতিথি পাখিরা। এসব পাখিদের আগমন ঘটে সাইবেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, এন্টার্কটিকাসহ উওর মেরুর বিভিন্ন দেশ থেকে। যখন এসবাই দেশে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় এবং তাপমাত্রা মাইনাস শূন্য ডিগ্রিতে নেমে আসে তখন দেশগুলোতে খাদ্যভাব দেখা দেয়।

শীতের তীব্রতায় পাখির জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়। প্রচন্ড শীতে পাখির দেহ থেকে পালক খসে পড়ে। তাই এসব পাখিরা খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য কম শীত ও অনুকূল পরিবেশের দেশে অতিথি হয়ে আসে। আর বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের দেশ হওয়ায় প্রতিবছর সাদরে গ্রহণ করে নেয় এসব পাখি। রাজহাঁস, গিরিয়া হাঁস, বালিহাঁস, গ্রাসওয়ার, ভোলাপাখি, বারহেড, খয়রা, খঞ্জনা, জলপিপি, লালশির, নীলশির, বড় সারস পাখি, ছোট সারস পাখিসহ বহু প্রজাতির পাখিদের আগমন ঘটে।

দেশর নানা প্রান্তে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। পাখির কিচিরমিচিরে মুখর হয়ে উঠে বাংলার প্রকৃতি। এছাড়া এসব পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবুও একশ্রেণির অসাধু, লোভী ও বিবেকবর্জিত লোকেরা অতিথি পাখি শিকারের আনন্দে মেতে উঠে। তারা বিভিন্ন ফাঁদ তৈরি করেন পাখি শিকারের জন্য। কেউ কেউ নিজেদের খাওয়ার জন্য আবার কেউ কেউ বিক্রির জন্য এসব পাখি শিকার করে থাকেন। সূদুর মেরু অঞ্চল থেকে জীবন বাঁচানোর জন্য উড়ে আসে এসব পাখি অথচ সেই পাখিদেরকেই শিকারীদের সামান্য স্বার্থের কাছে জীবন বিসর্জন দিতে হচ্ছে। প্রতিবছরই এভাবেই শিকারীদের ফাঁদে পড়ে হাজার হাজার পাখি প্রাণ হারাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়তই এসব পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

এভাবে যদি ভবিষ্যতেও পাখি নিধন চলতে থাকে তাহলে অচিরেই প্রকৃতি তার সৌন্দর্য হারাবে এবং বহু প্রজাতির পাখিরও বিলুপ্তি ঘটবে। আমাদের উচিত নিজেদের সামান্য স্বার্থ ত্যাগ করে শীতের প্রকোপ কমলে এসব অতিথি পাখিদের পুনরায় নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া। তাদের আশ্রয়কালীন সময়টুকুতে তাদের জন্য খাদ্য ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। প্রশাসনের উচিত শিকারিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা। পাখি নিধনের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এ বিষয়ে প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া উচিত বলে মনে করি।

খাদিজা আক্তার

back to top