মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সকালে ঘুম ভাঙতে না ভাঙতেই হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম এর নোটিফিকেশন চেক করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পডড়। প্রোফাইলের সবুজ বাতিটি দেখে, খুব সহজেই আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুরা বুঝতে পারে যে, আপনি কখন ঘুমিয়ে যাচ্ছেন বা কখন ঘুম থেকে উঠছেন। কখন, কোথায়, কিভাবে যা কিছু করছেন তা মুহূর্তের মধ্যেই ছডড়য়ে পঙছে হাজারো বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে। বিয়ের পিঁডড় থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্টে বসে এক চিমটি লবণ খাওয়াটাও ফেসবুকে আপলোড হচ্ছে। তাহলে প্রাইভেসি কোথায়? যা বর্তমানে একটি ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। রকমারি রিঅ্যাক্ট আর কমেন্টে ভরে যাচ্ছে নোটিফিকেশন বক্স। ব্যস্ত হয়ে পঙছি টেক্সট আর কমেন্টের রিপ্লাই দিতে। সময়মতো রিয়েক্ট, কমেন্ট বা টেক্সটের রিপ্লাই দিতে না পারলে ইগনোর করছি বলে মনে করা হচ্ছে। সকাল থেকে রাত্রিকালীন এই দীর্ঘ সময় আমরা কোন না কোনভাবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় অজস্র সময় ব্যয় করছি।
ফলে পরিবার ও ছোটছোট ছেলেমেয়েদের ওপর এর প্রভাব তীব্রভাবে পঙছে। ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলা থেকে বিমুখ করে শুধুমাত্র পঙাশোনায় ধাবিত করা হচ্ছে। অ্যাসাইনমেন্টের নাম করে তাদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে স্মার্টফোন। সুলভ মূল্যের এই ইন্টারনেট যা মুহূর্তের মধ্যেই সবকিছু হাতের মুঠো এনে দিতে পারে। যা অল্প বয়সের এই কোমলমতি শিশুদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
দুরন্ত শৈশব, খেলার মাঠ ছেড়ে শিশুরা গৃহবন্দি হয়ে যাচ্ছে। তীব্রভাবে আসক্ত হয়ে পঙছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউবা আসক্ত ভিডিও গেমস, ফ্রী ফায়ার, পাবজি, ইউটিউব ও টিকটকে। আসক্ত হয়ে পড়ছে পর্নোগ্রাফিতে। ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সমাজের ভাবমূর্তি। পরিবারকে চাপ দিয়ে কিনে নেওয়া হচ্ছে নামি-দামি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার। এর মহামারী শুধু শহরে নয় পৌঁছে গিয়েছে গ্রামেগঞ্জে। গ্রামের শিশুরাও খেলার মাঠ ছেঙে, ফোন হাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত। ফেসবুক যা রীতিমতো ‘টাইম কিলিং’ মেশিনে পরিণত হয়েছে। স্কুল পঙুয়া ছেলেমেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে ‘অসুস্থ কনটেন্ট’ বানাচ্ছে।
চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার রাজত্ব। যার বাধ্যগত প্রজা আমরা সবাই। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সুস্থ বিনোদন, পরিবারের সাথে সময় কাটানো, আত্মীয়স্বজনদের খোঁজখবর রাখা সবকিছু থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। নিজ, শিশু, দেশ, জাতি ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক, ভিডিও গেমস ও অসুস্থ কনটেন্ট থেকে দূরে থাকি।
মিরজুল ইসলাম
ইংরেজি বিভাগ (শিক্ষার্থী)
সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ, জামালপুর।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সকালে ঘুম ভাঙতে না ভাঙতেই হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম এর নোটিফিকেশন চেক করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পডড়। প্রোফাইলের সবুজ বাতিটি দেখে, খুব সহজেই আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুরা বুঝতে পারে যে, আপনি কখন ঘুমিয়ে যাচ্ছেন বা কখন ঘুম থেকে উঠছেন। কখন, কোথায়, কিভাবে যা কিছু করছেন তা মুহূর্তের মধ্যেই ছডড়য়ে পঙছে হাজারো বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে। বিয়ের পিঁডড় থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্টে বসে এক চিমটি লবণ খাওয়াটাও ফেসবুকে আপলোড হচ্ছে। তাহলে প্রাইভেসি কোথায়? যা বর্তমানে একটি ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। রকমারি রিঅ্যাক্ট আর কমেন্টে ভরে যাচ্ছে নোটিফিকেশন বক্স। ব্যস্ত হয়ে পঙছি টেক্সট আর কমেন্টের রিপ্লাই দিতে। সময়মতো রিয়েক্ট, কমেন্ট বা টেক্সটের রিপ্লাই দিতে না পারলে ইগনোর করছি বলে মনে করা হচ্ছে। সকাল থেকে রাত্রিকালীন এই দীর্ঘ সময় আমরা কোন না কোনভাবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় অজস্র সময় ব্যয় করছি।
ফলে পরিবার ও ছোটছোট ছেলেমেয়েদের ওপর এর প্রভাব তীব্রভাবে পঙছে। ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলা থেকে বিমুখ করে শুধুমাত্র পঙাশোনায় ধাবিত করা হচ্ছে। অ্যাসাইনমেন্টের নাম করে তাদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে স্মার্টফোন। সুলভ মূল্যের এই ইন্টারনেট যা মুহূর্তের মধ্যেই সবকিছু হাতের মুঠো এনে দিতে পারে। যা অল্প বয়সের এই কোমলমতি শিশুদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
দুরন্ত শৈশব, খেলার মাঠ ছেড়ে শিশুরা গৃহবন্দি হয়ে যাচ্ছে। তীব্রভাবে আসক্ত হয়ে পঙছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউবা আসক্ত ভিডিও গেমস, ফ্রী ফায়ার, পাবজি, ইউটিউব ও টিকটকে। আসক্ত হয়ে পড়ছে পর্নোগ্রাফিতে। ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সমাজের ভাবমূর্তি। পরিবারকে চাপ দিয়ে কিনে নেওয়া হচ্ছে নামি-দামি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার। এর মহামারী শুধু শহরে নয় পৌঁছে গিয়েছে গ্রামেগঞ্জে। গ্রামের শিশুরাও খেলার মাঠ ছেঙে, ফোন হাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত। ফেসবুক যা রীতিমতো ‘টাইম কিলিং’ মেশিনে পরিণত হয়েছে। স্কুল পঙুয়া ছেলেমেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে ‘অসুস্থ কনটেন্ট’ বানাচ্ছে।
চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার রাজত্ব। যার বাধ্যগত প্রজা আমরা সবাই। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সুস্থ বিনোদন, পরিবারের সাথে সময় কাটানো, আত্মীয়স্বজনদের খোঁজখবর রাখা সবকিছু থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। নিজ, শিশু, দেশ, জাতি ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক, ভিডিও গেমস ও অসুস্থ কনটেন্ট থেকে দূরে থাকি।
মিরজুল ইসলাম
ইংরেজি বিভাগ (শিক্ষার্থী)
সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ, জামালপুর।