alt

চিঠিপত্র

সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়া

: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সকালে ঘুম ভাঙতে না ভাঙতেই হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম এর নোটিফিকেশন চেক করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পডড়। প্রোফাইলের সবুজ বাতিটি দেখে, খুব সহজেই আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুরা বুঝতে পারে যে, আপনি কখন ঘুমিয়ে যাচ্ছেন বা কখন ঘুম থেকে উঠছেন। কখন, কোথায়, কিভাবে যা কিছু করছেন তা মুহূর্তের মধ্যেই ছডড়য়ে পঙছে হাজারো বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে। বিয়ের পিঁডড় থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্টে বসে এক চিমটি লবণ খাওয়াটাও ফেসবুকে আপলোড হচ্ছে। তাহলে প্রাইভেসি কোথায়? যা বর্তমানে একটি ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। রকমারি রিঅ্যাক্ট আর কমেন্টে ভরে যাচ্ছে নোটিফিকেশন বক্স। ব্যস্ত হয়ে পঙছি টেক্সট আর কমেন্টের রিপ্লাই দিতে। সময়মতো রিয়েক্ট, কমেন্ট বা টেক্সটের রিপ্লাই দিতে না পারলে ইগনোর করছি বলে মনে করা হচ্ছে। সকাল থেকে রাত্রিকালীন এই দীর্ঘ সময় আমরা কোন না কোনভাবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় অজস্র সময় ব্যয় করছি।

ফলে পরিবার ও ছোটছোট ছেলেমেয়েদের ওপর এর প্রভাব তীব্রভাবে পঙছে। ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলা থেকে বিমুখ করে শুধুমাত্র পঙাশোনায় ধাবিত করা হচ্ছে। অ্যাসাইনমেন্টের নাম করে তাদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে স্মার্টফোন। সুলভ মূল্যের এই ইন্টারনেট যা মুহূর্তের মধ্যেই সবকিছু হাতের মুঠো এনে দিতে পারে। যা অল্প বয়সের এই কোমলমতি শিশুদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

দুরন্ত শৈশব, খেলার মাঠ ছেড়ে শিশুরা গৃহবন্দি হয়ে যাচ্ছে। তীব্রভাবে আসক্ত হয়ে পঙছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউবা আসক্ত ভিডিও গেমস, ফ্রী ফায়ার, পাবজি, ইউটিউব ও টিকটকে। আসক্ত হয়ে পড়ছে পর্নোগ্রাফিতে। ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সমাজের ভাবমূর্তি। পরিবারকে চাপ দিয়ে কিনে নেওয়া হচ্ছে নামি-দামি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার। এর মহামারী শুধু শহরে নয় পৌঁছে গিয়েছে গ্রামেগঞ্জে। গ্রামের শিশুরাও খেলার মাঠ ছেঙে, ফোন হাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত। ফেসবুক যা রীতিমতো ‘টাইম কিলিং’ মেশিনে পরিণত হয়েছে। স্কুল পঙুয়া ছেলেমেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে ‘অসুস্থ কনটেন্ট’ বানাচ্ছে।

চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার রাজত্ব। যার বাধ্যগত প্রজা আমরা সবাই। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সুস্থ বিনোদন, পরিবারের সাথে সময় কাটানো, আত্মীয়স্বজনদের খোঁজখবর রাখা সবকিছু থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। নিজ, শিশু, দেশ, জাতি ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক, ভিডিও গেমস ও অসুস্থ কনটেন্ট থেকে দূরে থাকি।

মিরজুল ইসলাম

ইংরেজি বিভাগ (শিক্ষার্থী)

সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ, জামালপুর।

ইলিশ বিচরণে বাধা দূর করতে হবে

কেন এই লোডশেডিং

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

tab

চিঠিপত্র

সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়া

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সকালে ঘুম ভাঙতে না ভাঙতেই হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম এর নোটিফিকেশন চেক করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পডড়। প্রোফাইলের সবুজ বাতিটি দেখে, খুব সহজেই আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুরা বুঝতে পারে যে, আপনি কখন ঘুমিয়ে যাচ্ছেন বা কখন ঘুম থেকে উঠছেন। কখন, কোথায়, কিভাবে যা কিছু করছেন তা মুহূর্তের মধ্যেই ছডড়য়ে পঙছে হাজারো বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে। বিয়ের পিঁডড় থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্টে বসে এক চিমটি লবণ খাওয়াটাও ফেসবুকে আপলোড হচ্ছে। তাহলে প্রাইভেসি কোথায়? যা বর্তমানে একটি ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। রকমারি রিঅ্যাক্ট আর কমেন্টে ভরে যাচ্ছে নোটিফিকেশন বক্স। ব্যস্ত হয়ে পঙছি টেক্সট আর কমেন্টের রিপ্লাই দিতে। সময়মতো রিয়েক্ট, কমেন্ট বা টেক্সটের রিপ্লাই দিতে না পারলে ইগনোর করছি বলে মনে করা হচ্ছে। সকাল থেকে রাত্রিকালীন এই দীর্ঘ সময় আমরা কোন না কোনভাবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় অজস্র সময় ব্যয় করছি।

ফলে পরিবার ও ছোটছোট ছেলেমেয়েদের ওপর এর প্রভাব তীব্রভাবে পঙছে। ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলা থেকে বিমুখ করে শুধুমাত্র পঙাশোনায় ধাবিত করা হচ্ছে। অ্যাসাইনমেন্টের নাম করে তাদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে স্মার্টফোন। সুলভ মূল্যের এই ইন্টারনেট যা মুহূর্তের মধ্যেই সবকিছু হাতের মুঠো এনে দিতে পারে। যা অল্প বয়সের এই কোমলমতি শিশুদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

দুরন্ত শৈশব, খেলার মাঠ ছেড়ে শিশুরা গৃহবন্দি হয়ে যাচ্ছে। তীব্রভাবে আসক্ত হয়ে পঙছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউবা আসক্ত ভিডিও গেমস, ফ্রী ফায়ার, পাবজি, ইউটিউব ও টিকটকে। আসক্ত হয়ে পড়ছে পর্নোগ্রাফিতে। ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সমাজের ভাবমূর্তি। পরিবারকে চাপ দিয়ে কিনে নেওয়া হচ্ছে নামি-দামি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার। এর মহামারী শুধু শহরে নয় পৌঁছে গিয়েছে গ্রামেগঞ্জে। গ্রামের শিশুরাও খেলার মাঠ ছেঙে, ফোন হাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত। ফেসবুক যা রীতিমতো ‘টাইম কিলিং’ মেশিনে পরিণত হয়েছে। স্কুল পঙুয়া ছেলেমেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে ‘অসুস্থ কনটেন্ট’ বানাচ্ছে।

চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার রাজত্ব। যার বাধ্যগত প্রজা আমরা সবাই। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সুস্থ বিনোদন, পরিবারের সাথে সময় কাটানো, আত্মীয়স্বজনদের খোঁজখবর রাখা সবকিছু থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। নিজ, শিশু, দেশ, জাতি ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক, ভিডিও গেমস ও অসুস্থ কনটেন্ট থেকে দূরে থাকি।

মিরজুল ইসলাম

ইংরেজি বিভাগ (শিক্ষার্থী)

সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ, জামালপুর।

back to top