alt

মতামত » চিঠিপত্র

পানি দূষণ

: শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

পানির অপর নাম জীবন। পানি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের শরীরের একাত্তর ভাগ পানি। পানি ছাড়া একজন সুস্থ সবল মানুষ ভালোভাবে বেঁচে থাকার কল্পনা করা যায় না।তার মাঝে যদি হয় পানি দূষণ তাহলে আর কথাই নাই। পানি দূষণ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ বা রাসায়নিক উপাদান পানিতে মিশে সেটিকে ব্যবহার বা জীবনযাপনের অযোগ্য করে তোলে। এটি পরিবেশ ও জীবজগতের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

বর্তমানে ঢাকা শহরের পানি অনেক বেশি দূষিত হচ্ছে। পানি দূষিত হওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। রাসায়নিক, তেল, এবং ভারী ধাতু সরাসরি নদী বা পুকুরে ফেলে দেয়া। প্লাস্টিকজাত পণ্য পানি প্রবাহে ফেলে দেওয়া, যা ভাঙে না এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য দূষণ ঘটায়।

কীটনাশক ও রাসায়নিক সার বৃষ্টির মাধ্যমে পানির উৎসে মিশে যায় অপরিশোধিত বর্জ্য ও ময়লা পানি সরাসরি পানির উৎসে ফেলা। সমুদ্র বা নদীতে তেলের ট্যাঙ্কার দুর্ঘটনা বা তেল ফেলা।

দূষিত পানি পান করে ডায়রিয়া, কলেরা, এবং অন্যান্য পানিবাহিত রোগ দেখা দেয়। অক্সিজেনের অভাবে মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী মারা যায়। প্রাকৃতিক বাসস্থান নষ্ট হয়। জলজ পরিবেশে ভারসাম্য নষ্ট হয়।

সর্বোপরি, পানি দূষণের মাত্রা কমাতে হলে শিল্পকারখানার বর্জ্য পরিশোধন করে ফেলতে হবে। পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য ব্যবহার ও প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো এবং সঠিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা। সকল মানুষকে পানি দূষণ সম্পর্কে সচেতন করা।

ইমরান ফয়সাল

ঢাকা

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

tab

মতামত » চিঠিপত্র

পানি দূষণ

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

পানির অপর নাম জীবন। পানি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের শরীরের একাত্তর ভাগ পানি। পানি ছাড়া একজন সুস্থ সবল মানুষ ভালোভাবে বেঁচে থাকার কল্পনা করা যায় না।তার মাঝে যদি হয় পানি দূষণ তাহলে আর কথাই নাই। পানি দূষণ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ বা রাসায়নিক উপাদান পানিতে মিশে সেটিকে ব্যবহার বা জীবনযাপনের অযোগ্য করে তোলে। এটি পরিবেশ ও জীবজগতের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

বর্তমানে ঢাকা শহরের পানি অনেক বেশি দূষিত হচ্ছে। পানি দূষিত হওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। রাসায়নিক, তেল, এবং ভারী ধাতু সরাসরি নদী বা পুকুরে ফেলে দেয়া। প্লাস্টিকজাত পণ্য পানি প্রবাহে ফেলে দেওয়া, যা ভাঙে না এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য দূষণ ঘটায়।

কীটনাশক ও রাসায়নিক সার বৃষ্টির মাধ্যমে পানির উৎসে মিশে যায় অপরিশোধিত বর্জ্য ও ময়লা পানি সরাসরি পানির উৎসে ফেলা। সমুদ্র বা নদীতে তেলের ট্যাঙ্কার দুর্ঘটনা বা তেল ফেলা।

দূষিত পানি পান করে ডায়রিয়া, কলেরা, এবং অন্যান্য পানিবাহিত রোগ দেখা দেয়। অক্সিজেনের অভাবে মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী মারা যায়। প্রাকৃতিক বাসস্থান নষ্ট হয়। জলজ পরিবেশে ভারসাম্য নষ্ট হয়।

সর্বোপরি, পানি দূষণের মাত্রা কমাতে হলে শিল্পকারখানার বর্জ্য পরিশোধন করে ফেলতে হবে। পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য ব্যবহার ও প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো এবং সঠিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা। সকল মানুষকে পানি দূষণ সম্পর্কে সচেতন করা।

ইমরান ফয়সাল

ঢাকা

back to top